ফুটবল
মেসি ম্যাজিকে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের পর টাইব্রেকারে মায়ামির জয়
খেলার ৭৯ মিনিটেও ইন্টার মায়ামি পিছিয়ে ৪-২ গোলে। কিন্তু দলে যখন আছেন লিওনেল মেসি তখন মায়ামি সমর্থকরা নির্ভার থাকতেই পারে। লিগস কাপের শেষ ষোলোয় ডালাস এফসির বিপক্ষে ইন্টার মায়ামিকে উদ্ধার করলেন আর্জেন্টাইন তারকাই।
৮০ তম মিনিটে মেসির ফ্রি-কিক ক্লিয়ার করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করে ডলাস। এরপর ম্যাচের ৮৫তম মিনিটে দারুণ এক ফ্রি-কিকে বল পাঠালেন জালে। ব্যাস, দলকে নিয়ে গেলেন সমতায়! যে সমতায় চড়ে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শ্যুট আউটে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো মায়ামি।
সোমবার ডালাসের টয়োটা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির হয়ে মেসির প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ। আগের ৩ ম্যাচে ৫ গোল করা আর্জেন্টাইন তারকা প্রতিপক্ষের মাঠে গোল পেয়েছেন ম্যাচের শুরুতেই মাত্র ৬ মিনিটে। মায়ামিতে এটিই মেসির দ্রুততম গোল। তবে এই লিড ধরে রাখতে পারেনি মায়ামি।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে আট মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল দিয়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ডালাস। প্রথমার্ধের শেষদিকের এই ছন্দ দ্বিতীয়ার্ধেও ধরে রাখে ডলাস। যে ধারায় ৬৩ মিনিটে ডালাস পেয়ে যায় তৃতীয় গোলও। পিছিয়ে পড়া মায়ামিকে ম্যাচে ফেরানোর পথ দেখিয়ে দেন বদলি নামা বেঞ্জামিন ক্রেমাশ্চি। আলবার গোলমুখে বাড়ানো বল জালে জড়িয়ে ব্যবধান ৩–২ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। তবে এর ৫ মিনিট পরে মায়ামির বিপদ ডেকে আনেন দলটির মিডফিল্ডার রবার্ট টেলর। করে বসেন আত্মঘাতী গোল।
নাটকের শেষ এখানেই নয়! আত্মঘাতী গোলের বদলা আসে আত্মঘাতী গোল থেকেই। ৮০ মিনিটে মেসির ফ্রি কিক ক্লিয়ার করতে গিয়ে হেডে নিজেদের জালে বল পাঠিয়ে মায়ামিকে আত্মঘাতী গোল ‘উপহার’ দেন ডালাসের মার্কো ফারফান। তখনও দল পিছিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে।
সমতা আনতে বাকি যে গোলটি দরকার ছিল, ৮৫ মিনিটে সেটিই এনে দেন মেসি। বক্সের সামান্য বাইরে পাওয়া ফ্রি কিক কাছের গোল পোস্ট দিয়ে জালে জড়ান আর্জেন্টাইন তারকা। এরপর ম্যাচ টাইব্রেকারের গড়ালে প্রথম শটটি নেন মেসি। সহজেই গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। মায়ামি বাকি ৪ শটেও জালের দেখা খুঁজে পায়। তবে ডালাস প্রথম ৪ শটের একটি থেকে গোল করতে না পারায় পঞ্চম শটটির আর দরকার হয়নি। পেনাল্টি শ্যুট আউটে ৫-৩ ব্যবধানে জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে মায়ামি।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন