আইন-বিচার
রিজভীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দিলো হিরো আলম
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকা মানহানির মামলার আবেদন করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত মুখ আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
সোমবার (৭ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে তিনি এ আবেদন করেন।
হিরো আলমের আইনজীবী আব্দুল্লাহ মনসুর রিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার (৬ আগস্ট) ডিবিতে অভিযোগের পর মামলা করতে ঢাকার আদালতে যান হিরো আলম। তিনি আদালতে প্রবেশ না করে নম্বর প্লেট ঢাকা একটি হাইয়েস গাড়িতে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পার্কিংয়ে অবস্থান নেন। এসময় তিনি গাড়িতে বসে অ্যাডভোকেট মুনসুর আলী রিপনের সঙ্গে পরামর্শ করে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ত্যাগ করেন।
এসময় হিরো আলম বলেন, আজ মামলা করবো না। আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতে এসেছি।
অ্যাডভোকেট মুনসুর আলী রিপন বলেন, হিরো আলম মামলার বিষয়ে পরামর্শ করেছেন। পরবর্তী সময়ে আমরা সব কিছু জানাবো।
এরও আগে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে হিরো আলম বলেন, বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী অশিক্ষিত বলে গালিগালাজ করেছেন। আমি ডিবিতে এ নিয়ে অভিযোগ করতে এসেছিলাম। কিন্তু তারা বলেছে এ বিষয়ে ডিবি সরাসরি কোনো মামলা নিতে পারে না। তাই এখন আমি কোর্টে মামলা করতে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি অশিক্ষিত। কিন্তু তার দলের নেত্রী এইট পাস। অশিক্ষিত পাগল বলে আমার সম্মানহানি করেছেন। সবাই মনে করে আমি বিএনপির লোক। বিএনপির লোক আমাকে নিয়ে কথাবার্তা বলেছে। তারা একটা লোককে নিয়ে হেয় করে কথা বলেছে। অনেকেই নিচু করে, অপমান করে, তুচ্ছ করে আমার সম্পর্কে কথা বলেন। জাতীয় পার্টির লোকও আমাকে হেয় করে কথা বলেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি ডিবিতে অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখানে এ বিষয়ে কোনো মামলা করা যায় না, তাই কোর্টে যাবো মামলা করার জন্য। আমি এখনই যাবো। কোনো সম্মানিত লোক কাউকে পাগল ছাগল বলে অপমান করতে পারে না।
দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের বিষয়ে হিরো আলম বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলকে ভালোবাসি। কিন্তু এদের কিছু লোকের এমন কর্মের কারণে আজকে তাদের দলের এ অবস্থা।
গেলো ১৮ জুলাই রুহুল কবির রিজভী রাজশাহী নগরীর ভুবন মোহন শহীদ মিনার পার্কে পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে হিরো আলমকে নিয়ে মন্তব্য করেন। এ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ডিবি প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে যান হিরো আলম।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন