আইন-বিচার
এজলাসে আওয়ামীপন্থী-বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের হট্টগোল
অনলাইনসহ সব গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করতে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) হাইকোর্টে যান সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামসহ আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা।
শুনানির শুরুতেই হাইকোর্টের বিচারপতি. মো. খসরুজ্জামান জানতে চান তারেক রহমানকে তো নোটিশ দেয়া হয়নি, কিভাবে এর শুনানি হবে। এসময় রিটকারি আইনজীবী কামরুল ইসলাম বলেন, উনাকে কোনো ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। তবে এর তীব্র বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
এক পর্যায়ে আওয়ামী পন্থী এক আইনজীবী তারেক রহমানকে পলাতক বলার সঙ্গে সঙ্গেই এজলাসে হট্টগোল শুরু হয়। চলে বাকবিতণ্ডা।
পরে হাইকোর্ট বলেন, নিয়ম অনুযায়ী অবশ্যই নোটিশ দিতে হবে তারেক রহমানকে। তবে সেটা কোন প্রক্রিয়ায় তার উপায় খুঁজতে হবে।
আদালত বলেন, এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে বুধবার (৯ আগস্ট)।
তবে বিএনপির আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বলেন, আপনারা যেহেতু এ মামলার শুনানিতে এসেছেন এক অর্থে তো আপনারা নোটিশ পেয়ে গেছেন। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বলেন, আমরা ন্যায়বিচারের জন্য এখানে এসেছি। নোটিশ পেয়ে নয়।
২০১৫ সালে এক রিট আবদনে গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার নিষিদ্ধ করেন হাইকোর্ট। তবে সাম্প্রতিক সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অনলাইনে বক্তব্য দেয়ায় ফের হাইকোর্টের আসেন রিটকারি নাসরিন সিদ্দিকা লিনা।
এর আগে বুধবার তারেক- জুবাইদার দুর্নীতি মামলার রায় দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে তারেক রহমানের ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের দেয়া হয়। ছাড়া তারেককে তিন কোটি টাকা ও জুবাইদাকে ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
এ রায়ের পরেই সুপ্রিম কোর্টে আওয়ামী ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা মুখোমুখি মিছিল করে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আওয়ামীপন্থি সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর করে।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন