ফুটবল
হাল্ককে মনে আছে? মেসিদের ভিড়ে আড়ালে আলো ছড়াচ্ছেন
গিভানিল্ডো ভিয়েরা ডি সুজা তার নাম। তবে শরীরের গঠনের কারণে হাল্ক নামেই তিনি পরিচিত। ২০১৪ সালে ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছিলেন হাল্ক। ইউরোপের বড় দলগুলিতে কখনো খেলার সুযোগ হয়নি তার। ২০১২ সালে জেনিতের সঙ্গে রাশিয়ায় পাড়ি জমানোর আগে ইউরোপের মঞ্চে খেলেছিল পোর্তোর হয়ে। হঠাৎ কেনো হাল্কের কথা বলছি?
গতকাল সোমবার সকালে লিগস কাপে এফসি ডালাসের বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির জয়ের পথে জোড়া গোল করেছেন মেসি। ৮৫ মিনিটে ইন্টার মায়ামি যখন ৪–৩ গোলে পিছিয়ে তখনই দুর্দান্ত এক ফ্রি–কিক গোলে ম্যাচে সমতা ফেরান আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এরপর থেকে সারাদিন আলোচনায় ছিলেন লিওনেল মেসি, বিশেষ করে তার ফ্রি-কিক গোলটি।
তবে মেসির ঠিক কাছাকাছি সময়ে ফ্রি–কিক থেকে দুর্দান্ত এক গোল করেছেন সাবেক ব্রাজিলিয়ান তারকা হাল্কও। ব্রাজিলিয়ান লিগে সাও পাওলোর বিপক্ষে আতলেতিকো মিনেইরোর হয়ে মেসির প্রায় দ্বিগুণ দূর থেকে নেওয়া হাল্কের গোলটিও ছিল চোখে লেগে থাকার মতোই। কিন্তু হাল্কের এই গোল নিয়ে আলোচনা হয়েছে সামান্যই।
THE INCREDIBLE HULK FROM DISTANCE. 🚀 pic.twitter.com/X0nfqVjiV0
— CBS Sports Golazo ⚽️ (@CBSSportsGolazo) August 6, 2023
কাল গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বক্সের ঠিক বাইরে ডান পাশে ফ্রি–কিকটি পায় মায়ামি। ২০ গজ দূরের থেকে মেসির নেওয়া ফ্রি–কিকের দিক বুঝতে পেরে বল লক্ষ্য করে ঠিক দিকেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ডালাস গোলরক্ষক মার্টেন পায়েস। কিন্তু মেসির নিশানা এতটাই নিখুঁত ছিল যে বল পর্যন্ত পৌঁছাতেই পারেননি পায়েস।
OTRO GOLAZO DE NUESTRO CAPITÁN 🫡 🫡🫡#DALvMIA | 4-4 pic.twitter.com/aOhBw7LJGZ
— Inter Miami CF (@InterMiamiCF) August 7, 2023
এবার হাল্কের গোলটি বিশ্লেষণ করা যাক। ব্রাজিলিয়ান সিরি ‘আ’তে খেলার শুরুতেই ৪০ গজ দূরে ফ্রি–কিক পায় মিনেইরো। হাল্ক যান সেই ফ্রি–কিকটি নিতে। কিছুটা দৌড়ে এসে হাল্কের নেওয়া বাঁ পায়ের ফ্রি–কিকটিতে বল বাঁ পাশের ওপরের অংশ ঘেঁষে জড়ায় জালে। মেসির গোলের মতো এই গোলটিতেও আগে থেকে বলের দিক বুঝতে পেরেছিলেন সাও পাওলো গোলরক্ষক রাফায়েল। কিন্তু ৩৭ বছর বয়সী হাল্কের নিখুঁত নিশানা ও গতির কাছে হার মানতে হয় সাও পাওলো গোলরক্ষককে।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন