বলিউড
কাপড় খুলেই নিয়েছে, এখন আর কী লুকাব?
জনপ্রিয় অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই বলিউডে মাথাচাড়া দেয় স্বজন প্রীতির বিতর্ক। এ বিতর্কে যাকে বার বার বিদ্ধ করা হয়েছে, তিনি হলেন প্রযোজক-পরিচালক করণ জোহর।
মায়ানগরীর বেশির ভাগ তারকাসন্তানের রুপোলি পর্দায় অভিষেক ঘটে করণের হাত ধরে। আলিয়া ভাট, বরুণ ধাওয়ান, জাহ্নবী কপূর, অনন্যা পাণ্ডের মতো তারকাসন্তানেরা তার ছবির মাধ্যমেই বলিউডে অভিনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।
মেধার ভিত্তিতে বহিরাগতদের সুযোগ দেয়ার বদলে বলিপাড়ার অন্দরের তারকাসন্তানদের প্রতিই বেশি নজর দেন করণ, তর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে বার বার। কঙ্গনা সরাসরি কর্ণকে ‘মুভি মাফিয়া’ নাম দিয়েছেন। বলিউডের ‘কুইন’-র এমন মন্তব্যে তার পরিবার কতটা প্রভাবিত হয়েছে জানালেন করণ।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর প্রায় তিন বছর কেটে গিয়েছে। করণ জানান, এ তিন বছরে যে পরিমাণ ঘৃণা কুড়িয়েছেন তাতে সব থেকে বেশি আঘাত পেয়েছেন তার মা।
এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক বলেন, ‘‘আমার মা রীতিমতো কুঁকড়ে গিয়েছিলেন। সব জায়গায় আমাকে নিয়ে আলোচনা। টিভি চ্যানেলগুলোতে আমাকে নিয়ে সমালোচনা। সারাক্ষণ আমাকে নিচু করা হচ্ছে। এক অবস্থা সমাজমাধ্যমেও। কিন্তু আমাকে মায়ের জন্য ও নিজের জন্য শক্ত থাকতে হয়। নিজেকে নগ্ন বলে মনে হত। সকলে মিলে কাপড় খুলেই নিয়েছে, এখন আর কী লুকাব? কার সঙ্গে লড়ব? লোকজন কিছু না জেনেই অনেক কিছু বলেছেন, তারা আমাকে নিয়ে একটা ধারণা তৈরি করে নেন, আমি মাফিয়া। সেটা নিয়ে অনর্গল কথা বলতে থাকেন। তারা আসলে জানেন না একজন প্রযোজককে প্রতি দিন কত কিছু সহ্য করতে হয়।’’
২০১৭ সালে ‘কফি উইথ করণ’ অনুষ্ঠানে এসে রসিকতার ছলেই করণের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। বলিউডে স্বজনপোষণের ধারক ও বাহক তিনি, কর্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন কঙ্গনা। তারপর থেকে একাধিক বার এ অভিযোগে জর্জরিত হয়েছেন কর্ণ। নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি এ কথাও জানিয়েছেন যে, তারকা সন্তানদের মধ্যে সম্ভাবনা দেখে তবেই তাদের সুযোগ দেন তিনি। তাছাড়াও কর্ণের দাবি, তিনি নিজের ছেলেমেয়েকে তো সুযোগ দিচ্ছেন না। অন্য কারও সন্তানকে মঞ্চ তৈরি করে দিচ্ছেন। যাতে তারা নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরতে পারেন।
করণের এ সব সাফাইতেও বিশেষ লাভ হয়নি। সমাজমাধ্যমে তাকে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে আখছাড়ই। এ মুহূর্তে অবশ্য বেশ ভাল সময় যাচ্ছে তার। সাত বছর পর পরিচালনায় ফিরলেন ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি’-র মাধ্যমে। প্রথম সপ্তাহে এ ছবি ১০০ কোটির গণ্ডি পার করেছে। দর্শকের পাশাপাশি সমালোচকদের কাছেও প্রশংসা কুড়িয়েছে এ ছবি।
বলিউড
সামান্থা অতীত, শোভিতার সঙ্গে বাগদান সারলেন নাগা চৈতন্য
সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নতুন জীবনে পা রাখলেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা নাগা চৈতন্য। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) প্রেমিকা শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে বাগদান সারলেন এই অভিনেতা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে হায়দরাবাদের বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাগদান সম্পন্ন করেন নাগা চৈতন্য ও শোবিতা ঢুলিপালার। বাগদান অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যগত সাজে সাজেন তারা। এসময় দুই পরিবারের সদস্য ছাড়াও এ জুটির ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিজাইনার মনীষ মালহোত্রা তার ইনস্টাগ্রামে শোবিতা ও নাগার বাগদানের ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, শোবিতার পরনে পিঙ্ক কালারের সিল্ক শাড়ি। এর সঙ্গে মিলিয়ে সোনার গহনাও পরেন এই অভিনেত্রী।
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটির মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও অভিনেতা নাগা চৈতন্য। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলেন তারা। কিন্তু ২০২১ সালে এ সংসারের ইতি টানেন এই যুগল।
গেল বছর গুঞ্জন চাউর হয়— বিয়েবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন নাগা চৈতন্য। যদিও এ সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি এই জুটি। তারপরও অনেকবার একসঙ্গে দেখা গেছে তাদের। সর্বশেষ বাগদানের মাধ্যমে গুঞ্জনকে বাস্তবে রূপ দিলেন এই জুটি।
এসআই/
ঢালিউড
সমালোচনা ভয় পেতেন শেখ হাসিনা: ভারতীয় নির্মাতা হংসল মেহতা
কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ক্ষমতা ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচনায়। এই প্রসঙ্গে এবার পুরোনো স্মৃতি সামনে আনলেন বলিউড নির্মাতা হংসল মেহতা।
২০২২ সালে হংসল মেহেতার সিনেমা ‘ফারাজ’ মুক্তি পেয়েছিল। তবে ছবির শুটিং-এ লাগাতার হুমকির শিকার হয়েছিলেন পরিচালক। কারণ, ছবিটি ঢাকার হোলি আর্টিজানে সংগঠিত নৃশংস হামলা ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে ছবিটি বাংলাদেশের ঘটনায় নির্মিত হলেও বাংলাদেশেই নিষিদ্ধ হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’-এ সেই স্মৃতি তুলে ধরে হংসল মেহতা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ঘটনাগুলো দেখে আমার ‘ফারাজ’-এর মুক্তির কথা মনে পড়ছে। এটি বাংলাদেশ ছাড়া নেটফ্লিক্সে বিশ্বব্যাপী স্ট্রিম হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ছবিটি নিষিদ্ধ হয়েছিল।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একাধিক কল পেয়েছি। কথিত সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট, সন্ত্রাসী সংগঠনের কাছ থেকে অনুভূত হুমকির কারণে আমাকে শেষ পর্যন্ত পুলিশ সুরক্ষা দেয়া হয়েছিল। ভারতীয় আদালতে দীর্ঘ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অনেক অভদ্র অভিযোগ করা হয়েছিল। আমি এখনও বাংলাদেশের আদালতের মিথ্যা মামলা লড়ছি। এসব একটি চলচ্চিত্রের মুক্তি ঠেকানোর জন্য। যা দৃশ্যত শেখ হাসিনার সরকারকে চিত্রিত করেছিল। সরকার চায়নি যে বাংলাদেশের বাইরে কেউ জানুক যে তারা অযোগ্য এবং স্বৈরাচারী নেতা দ্বারা চালিত, যিনি নিজের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচককে ভয় পেতেন। তারা আমাদের কণ্ঠ চেপে ধরে নিজেদের রক্তাক্ত হাত ঢাকতে চেয়েছেন।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা। সেই ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘ফারাজ’ প্রযোজনা করেছেন অনুভব সিনহা ও ভূষণ কুমার। ছবিটি দিয়ে কারিনা কাপুরের চাচাতো ভাই জাহান কাপুর ও পরেশ রাওয়ালের ছেলে আদিত্য রাওয়ালের অভিষেক হয়েছে।
এসআই/
বলিউড
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ী সানা মকবুল
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ীর মুকুট পরলেন সানা মকবুল। রিয়ালিটি শো জিতে তিনি ঘরে তুলেছেন ট্রফি আর ২৫ লাখ রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৪ লাখ টাকার বেশি।
চলতি বিগবস সিজন ৩-এর শুরু থেকেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন সানা। প্রতিবারই দর্শকদের কাছ থেকে পেয়েছেন বিপুল ভোট। তবে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। আবার সেখান থেকে নিজেকে মুক্তও করেছেন।
বিগবসের ঘরে সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক রেখে চলতেন সানা। তার খেলা দেখে ভীষণ আনন্দ পেতেন দর্শকরা। তাই প্রত্যেকবারই বিপুলসংখ্যক ভোট পেয়েছেন তিনি। শোতে তাকে যখনই কোনো কাজ দেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে পালন করতেন সানা।
বিগবসের আসরে সানার বন্ধু ছিল নাজী। বিজয়ীর মুকুট পরে জয়ের কৃতিত্ব নাজীকেই দিতে চাইলেন তিনি। মজার ব্যাপার, বিগবসে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন নাজী।
‘বিগ বস’-এর চলতি আসরের ফাইনালিস্ট হিসেবে ছিলেন সানা মকবুল ও নাজী, রণবীর শোরে, সাই কেতন রাও, কৃতি মালিক।
এসআই/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন