ফুটবল
ভয়ংকর সেই দুর্ঘটনায় বড় শাস্তি পেলেন মার্সেলো
যদিও ঘটনাটি ছিল মার্সেলোর অনিচ্ছাকৃত, তবে যা ঘটেছে তা ছিল খুবই ভয়াবহ। বল নিয়ে কাটাতে গিয়ে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার লুসিয়ানো সানচেজের পা মাড়িয়ে দিয়েছিলেন মার্সেলো। এতে সানচেজের বাঁ পায়ের হাড়ের দুই অংশ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার ১০ দিন পর বড় শান্তির মুখে পড়লো মার্সেলো। তাঁকে ৩ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সংস্থা কনমেবল। ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ছয় হাজার ইউরো জরিমানাও গুনতে হবে ব্রাজিল ও রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক তারকাকে।
ঘটনাটি বুয়েনস এইরেস স্টেডিয়ামে কোপা লিবার্তাদোরেসে শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে আর্জেন্টিনো জুনিয়র্সের ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সর ম্যাচের। খেলার ৫৬ মিনিটে বল পায়ে দৌড়ানোর সময় জুনিয়র্সের ডিফেন্ডার লুসিয়ানো সানচেজ মার্সেলোকে বাধা দিতে বাঁ দিক থেকে দৌড়ে এসেছিলেন। এসে সামনে পা বাড়ি দেন। তখনি মার্সেলোও এগিয়ে যেতে বাঁ পা বাড়াতেই দুর্ঘটনাক্রমে লুসিয়ানো সানচেজের বাঁ পা মাড়িয়ে দেন।
তৎক্ষণাৎ পাটকাঠির মতো সানচেজের পা বাঁকা হয়ে ভেঙে যায়। মার্সেলো এ জন্য লাল কার্ড দেখলেও লুসিয়ানো সানচেজের বড় ক্ষতি করে দিয়েছেন এই কষ্টে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছেন। আঘাত পাওয়ার পর সানচেজ মাঠেই ব্যথায় চিৎকার করছিলেন। মার্সেলো তখন তাঁর পাশেই মাথায় দুই হাত দিয়ে হতাশা প্রকাশ করছিলেন। চিকিৎসকের দল আসার পর সানচেজকে স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নেওয়া হয়।
সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) জানিয়েছে, আর্জেন্টিনো জুনিয়র্সের প্রকাশ করা মেডিকেল রিপোর্টে জানা গেছে, হাঁটু থেকে সানচেজের পা পুরোপুরি স্থানচ্যুত হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এপি জানিয়েছে, সানচেজকে যে হাসপাতালে (সানাচোরিয়া ফিনোচিয়েত্তো) ভর্তি করা হয়েছে, সেখানকার চিকিৎসকদের মতে, সুস্থ হয়ে উঠতে তাঁর ৮ থেকে ১২ মাস সময় লাগবে।
এই ঘটনার পর টুইট করেন মার্সেলো লিখেছেন, ‘আজ মাঠে খুব কঠিন এক মুহূর্তের সম্মুখীন হয়েছি। অনিচ্ছাকৃতভাবে এক খেলোয়াড়কে আঘাত করেছি। লুসিয়ানো সানচেজ, আমি তোমার সর্বোচ্চ সুস্থতা কামনা করি। পৃথিবীর সব শক্তি তোমার জন্য।’
মার্সেলোর এই টুইট রি-টুইট করে আর্জেন্টিনো জুনিয়র্সের টুইটে লেখা হয়, ‘আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী, কিন্তু শত্রু নই। পাশে দাঁড়ানোর জন্য মার্সেলো ও ফ্লুমিনেন্সকে ধন্যবাদ।’
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন