অপরাধ
রাজশাহীতে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, তিনজন গ্রেপ্তার
রাজশাহী নগরীতে এক আইসিটি সেন্টারের মালিককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করার ঘটনায় ৩ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গেলো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর দামকুড়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জোতরাবোন এলাকায় তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, আকাশ আলী শিমুল (২৬), শফিকুল ইসলাম বাপ্পি (২৪) ও নূর ইসলাম (২৫)। আকাশ রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার চন্ডিপুরের বরজাহান আলির ছেলে, শফিকুল ইসলাম একই এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে এবং নূর ইসলাম কোর্ট বুলুন পুরের রুহুল আমিনের ছেলে। বর্তমানে তিনি কাশিয়াডাঙ্গা থানার বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেলে নগর পুলিশ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রাজশাহীর নগরীর দামকুড়া থানার দামকুড়া হাট গোন্দিপুরের সৈয়দ মনিরুল ইসলাম একটি আইসিটি সেন্টারের মালিক। ওই আইসিটি সেন্টারের অংশীদার হওয়াকে কেন্দ্র করে মনিরুলের সাথে গ্রেপ্তারকৃতসহ অন্যান্যদের বিরোধ চলছিলো। এরই জের ধারে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত আকাশ, শফিকুল ও নূর ইসলাম বোয়ালিয়া থানার অলকার মোড়ে মনিরুলের আইসিটি ট্রেনিং সেন্টারে এসে তাকে ছুড়ির ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে মাদক অথবা নারী দিয়ে ফাঁসিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। মনিরুল চাঁদা দিতে না চাইলে আসামিরা তাকে অপহরণ করে কাশিয়াডাঙ্গা থানার বালিয়া গ্রামের একটি বাড়িতে আটক করে রাখা হয়। সেখানে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করে এবং একটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে মনিরুল ইসলামের স্বাক্ষর নেয়। এরপর আসামিরা মনিরুলের মোবাইল হতে তার ভাই মেহেদি হাসানের কাছে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং টাকা নিয়ে দামকুড়া থানার জোতরাবোন এলাকায় আসতে বলে। মেহেদি হাসান বিষয়টি দামকুড়া থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে নগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (কাশিয়াডাঙ্গা) বিভূতি ভূষণ বানার্জীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (কাশিয়াডাঙ্গা) ড. রুহুল আমিন সরকারে নেতৃত্বে দামকুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমান সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে মনিরুল ইসলামকে উদ্ধারসহ অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের অভিযানে নামে।
মেহেদি হাসান ঘটনার দিন রাত ৮টার দামকুড়া থানার জোতরাবোন এলাকায় মুক্তিপণের টাকা নিয়ে আসামিদের সাথে দেখা করতে গেলে দামকুড়া থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে আকাশ, শফিকুল ও নুর ইসলামকে আটক করে এবং ভিকটিম মনিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, অন্যান্য অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপহরণের ঘটনায় দামকুড়া থানায় সোপর্দ করে তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এএম/
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন