ফুটবল
ম্যান ইউর স্ট্রাইকার ম্যাসন গ্রিনউড আটক
বান্ধবীকে পেটানো ও ধর্ষণের অভিযোগে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ২০ বছর বয়সী ইংলিশ স্ট্রাইকার ম্যাসন গ্রিনউডকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল (৩০ জানুয়ারি) গ্রিনউডের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন তাঁর বান্ধবী।অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ভিডিও এবং ছবিও পোস্ট করেছেন গ্রিনউডের বান্ধবী। যদিও পরে ইনস্টাগ্রামে গ্রিনউডের বান্ধবীর একাউন্ট থেকে সেই ছবি-ভিডিওগুলো মুছে ফেলা হয়েছে।
গ্রেটার ম্যানচেস্টারের পুলিশ জানিয়েছে, ‘শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন নারীর পোস্ট করা ছবি ও ভিডিও’ তাঁদের নজরে এসেছে। সেটির ভিত্তিতেই ২০ বছরের কাছাকাছি বয়সের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া লোকটি গ্রিনউডই। গতকাল (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেলে প্রকাশিত বিবৃতিতে পুলিশ আরও জানায়, ‘তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আমরা নিশ্চিত করতে পারি, ২০-এর কাছাকাছি বয়সের একজনকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আপাতত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনি পুলিশ হেফাজতেই থাকবেন।’
এর আগে গতকাল (৩০ জানুয়ারি) অভিযোগ ওঠার পরই গ্রিনউডের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রথমে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওগুলো তাদের নজরে এসেছে।
আরো নির্দিষ্ট করে না জানা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করবে না বলে জানিয়ে দেয় ক্লাব। তবে ইউনাইটেড যে সব সময়ই এমন ঘৃণিত অপরাধের বিরুদ্ধে, সেটি তখনই জানিয়ে দিয়েছিলো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-পল পগবাদের ক্লাবটি। এরপর আরেক বিবৃতিতে ইউনাইটেড জানিয়ে দেয়, গ্রিনউডের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাপারে ক্লাবের পক্ষ থেকেও আলাদা তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন সময়ে গ্রিনউডের কী হবে, সেটিও জানিয়ে দেয় ইউনাইটেড, ‘পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ম্যাসন গ্রিনউড অনুশীলনে ফিরতে পারবেন না, ম্যাচও খেলতে পারবেন না।’ এই বিবৃতির কিছুক্ষণ পরই জানা যায়, পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে গ্রিনউডকে।
এদিকে ম্যান ইউ’র সমর্থকদের সংগঠনও (এমইউএসটি) টুইটারে এক বার্তায় জানিয়েছে, তারাও গ্রিনউডের বিরুদ্ধে নেওয়া ক্লাবের সিদ্ধান্তের পক্ষে, ‘ক্লাব একটু আগে নিশ্চিত করেছে, পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত ম্যাসন গ্রিনউড ক্লাবের হয়ে অনুশীলতে যেতে পারবেন না, খেলতেও পারবেন না। এমইউএসটি এ ব্যাপারে ক্লাবের এই সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি সমর্থন জানাচ্ছে।’
হাসিব মোহাম্মদ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//