আইন-বিচার
তথ্যমন্ত্রীকে বিএনপি নেত্রীদের আইনি নোটিশ
প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বিএনপি নেত্রীরা। জাতীয়তাবাদী দলের নারীদের সাজগোজ করে বিদেশিদের কাছে গিয়ে কোনো লাভ হয়নি সংক্রান্ত বক্তব্যের জন্য এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) বিএনপির নারীদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মারইয়াম খন্দকার এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী নিজেই।
তিনি জানান, বিএনপির নারীদের নিয়ে সাজগোজ করে বিদেশিদের কাছে গিয়ে কোনো লাভ হয়নি সংক্রান্ত বক্তব্য দেয়ার বিষয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে। আর ১৪ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ক্ষমা না চাইলে আইনি প্রতিকারের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
নোটিশে বলা হয়, এটা ভিত্তিহীন ও অসম্মানজনক বক্তব্য। এটা নারীদের মর্যাদা ও অধিকারের ওপর আঘাত। নোটিশ গ্রহীতার পদ ও অবস্থানের সঙ্গে এ ধরনের বক্তব্য যায় না। এটি মানহানি, অশালীন, উস্কানিমূলক এবং মিথ্যা বক্তব্য।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা এ কথা বলেন তিনি। জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।
তিনি বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র কি বললো, তাতে কিছু আসে যায় না। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বাংলাদেশে আসার পর বিএনপি আশা করেছিল, তিনি তাদের অভিযোগ, অনুনয়-বিনয়, দাবির ব্যাপারে কিছু একটা বলবেন। কিন্তু তিনি কিছুই বলেননি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল এসেছিল, তারাও কিছু বলেনি। অর্থাৎ, তারা বুঝতে পেরেছে বিদেশিদের পেছনে ছুটে কোনো লাভ নেই। রাত-বিরাতে মহিলা নেত্রীদের সাজগোজ করিয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্না দেওয়া বন্ধ করতে বিএনপির প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। বলেন, এ দেশ বাংলাদেশের মানুষের, অন্য কারও নয়। যদি যেতে হয়, তাহলে জনগণের কাছে যেতে হবে। বিদেশিদের কাছে গিয়ে কোনো লাভ নেই। রাত বিরাতে মহিলা নেত্রীদের সাজগোজ করিয়ে নিয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্না দেওয়া দয়া করে বন্ধ করুন। এতে কোনো লাভ হয় না। ওরাসহ (মহিলা নেত্রী) আপনারা যান, আমরা (সরকার) জানি।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন