আইন-বিচার
কক্সবাজারের উখিয়ায় বিপুল অস্ত্র, গোলাবারুদসহ ৭ জন গ্রেপ্তার
কক্সবাজার উখিয়া থানাধীন তেলখোলা বটতলী গহীন পাহাড়ী এলাকা থেকে দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রাসেল বাহিনীর প্রধান শেখ রাসেল ওরফে ডাকাত রাসেল ও তার ছয় সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৬আগষ্ট) দুপুরে র্যাব-১৫ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী তথ্য নিশ্চিত করেন।
মোঃ আবু সালাম চৌধুরী জানান, গত ১৫ আগস্ট ২০২৩ তারিখ রাত অনুমান সাড়ে ৮ টার দিকে- র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর একটি চৌকস আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা বটতলী গহীন পাহাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। র্যাবের আভিযানিক দলকে দেখে পাহাড়ী এলাকার আস্তানা হতে পলায়নকালে ধাওয়া করে দুর্ধর্ষ ডাকাত রাসেল বাহিনীর প্রধান শেখ রাসেল ওরফে ডাকাত রাসেল ও ছয় সহযোগীসহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
আটক আসামীরা হচ্ছেন, থাইংখালী এলাকার মৃত শেখ হাবিবুর রহমান এর পুত্র শেখ রাসেল ওরফে ডাকাত রাসেল (৩২), টেকনাফ রঙ্গীখালী এলাকার দুদু মিয়ার পুত্র মো: ছলিম (৩৮), টেকনাফ রঙ্গীখালী এলাকার কবির আহাম্মদ এর পুত্র নুরুল আমিন (৪২), টেকনাফ রঙ্গীখালী এলাকার নুরুল আমিনের পুত্র কায়সার উদ্দিন (২০), টেকনাফ রঙ্গীখালী এলাকার মৃত দিল মোহাম্মদের পুত্র মোঃ সাদেক হোসেন (৩০), টেকনাফ কাঞ্জর পাড়ার নুরুল ইসলামের পুত্র সাহাব উদ্দিন (২৫) ও থাইংখালী ঘোনার পাড়া এলাকার আবদুর শরীফের পুত্র নুরুল হাকিম(৪০)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, শেখ রাসেল একজন তালিকাভুক্ত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এবং ডাকাত রাসেল নামে খ্যাত। গ্রেফতারকৃত ডাকাত রাসেলের সাথে স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধি সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের ছত্র-ছায়ায় সে উল্লেখিত অপরাধ করে থাকে। ডাকাত রাসেলের নেতৃত্বে একাধিকবার বিজিবি, পুলিশ এবং ফরেস্টের ফোর্সদের উপর সশস্ত্র হামলা করেছে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে না এসে অবৈধ বালু ব্যবসা, অস্ত্র ব্যবসা, খুনসহ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় নারীদের অপহরণসহ ধর্ষণের একাধিক অভিযোগ ডাকাত রাসেল বিরুদ্ধে রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে অলে তিনি উলেখ করেন।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন