জাতীয়
বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা: আইজিপি
বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্বাধীনতার রূপকার। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক অভিন্ন সত্ত্বা। বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ। বলেছেন পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম।
আজ বুধবার (১৫ আগস্ট) বিকালে বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম মানেই হলো বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন ও স্বাধীনতা অর্জনের সোনালী ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু তাঁর ৫৫ বছরের জীবনকালের প্রায় ছয় ভাগের এক ভাগই কারাগারে কাটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর সারাটা জীবন বাঙালি ও এই জনপদের জন্য উৎসর্গ করে গেছেন। জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণেও এ জাতির জন্য তিনি ছিলেন দৃঢ়চেতা নেতা।
তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশে যে উন্নয়ন কার্যক্রম তার ভিত্তি বঙ্গবন্ধুর হাতেই হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিগত এক দশকের অধিক সময় ধরে দেশের প্রত্যেক সেক্টরে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। বাংলাদেশ আজ তথাকথিত বটমলেস বাস্কেট থেকে এশিয়ার ‘ইমার্জিং টাইগারে’ রূপান্তরিত হয়েছে।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী প্রজন্মকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। উন্নত দেশের নাগরিক হওয়ার স্বপ্ন তোমাদেরকে বাস্তবায়ন করতে হবে। তোমাদের হাত ধরেই গড়ে উঠবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে পুলিশ সদস্যরা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তারা দেশাত্মবোধ থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম বুলেট ছুঁড়েছে। তিনি বলেন, পুলিশ প্রথম যে বুলেট ছুঁড়েছে সেই বুলেটের শব্দ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃক ঢাকাস্থ বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটে কর্মরত পুলিশ সদস্য ও সিভিল স্টাফদের সন্তানদের মধ্যে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
৩টি ক্যাটাগরিতে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ক-গ্রুপ (প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি), বিষয়- ৭ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১; খ- গ্রুপ (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি), বিষয়- বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং
গ- গ্রুপ (একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি), বিষয়- বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’।
এছাড়া, বাংলাদেশ পুলিশের সকল ইউনিটে কর্মরত পুলিশ সদস্য ও সিভিল স্টাফদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
এএসপি হতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য রচনার বিষয় ছিল ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট পুলিশের ভূমিকা’, এসআই/সার্জেন্ট হতে ইন্সপেক্টদের জন্য রচনার বিষয় ছিল ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও বিচার: জাতির দায় মুক্তি’ এবং কনস্টবল, নায়েক ও এএসআই-দের জন্য রচনার বিষয় ছিল ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’-তে পুলিশ। সিভিল স্টাফদের জন্য রচনার বিষয় ছিল- ‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু’।
অনুষ্ঠানে ‘দিশারী’ নামক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দায়িত্বরত অবস্থায় শহীদ এএসআই সিদ্দিকুর রহমানের পুত্র মুস্তাফিজুর রহমানকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
আইজিপি অন্যান্য অতিথিদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন