লাইফস্টাইল
যে শাড়ি নাম তুলেছে গিনেস বুকে
শাড়িটির বিশেষত্ব হলো এই শাড়িতে ভারতীয় চিত্রকর রাজা রবি বর্মার ১১টি জনপ্রিয় পেইন্টিং নতুন করে তোলা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন দামি পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। শাড়িটি চেন্নাই সিল্কের, খুবই দামি সুতায় বোনা। দীর্ঘ সময় ধরে অনেক দক্ষ কারিগর, বুননশিল্পী ও চিত্রশিল্পীরা মিলে শাড়িটি তৈরি করেছেন। ফলে শাড়ির মূল্যের সঙ্গে তাদের মজুরিও যোগ হয়েছে। ভারতের এই শাড়িটি ২০০৮ সালেই বিশ্বের সবচেয়ে দামি শাড়ি হিসেবে নাম তুলেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।
শাড়িটিতে আরও ছিল ৫৯ গ্রাম ৭০০ মিলিগ্রাম সোনা, ৩ ক্যারেট ৯১৩ সেন্ট হীরা, ১২০ মিলিগ্রাম প্লাটিনাম, ৫ গ্রাম রুপা, ২ ক্যারেট ৯৮৫ সেন্ট রুবি, ৩৫ সেন্ট পান্না, ৩ সেন্ট পোখরাজ, ৫ ক্যারেট নীলা, ১৪ সেন্ট ক্যাট আই স্টোন, ১০ সেন্ট টোপাজ স্টোন, ২ গ্রাম মুক্তা ও ৪০০ মিলিগ্রাম প্রবাল।
শাড়িটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ৪ হাজার ৭৬০ ঘণ্টা। সব মিলিয়ে শাড়িটির ওজন হয়েছিল ৮ কেজি। শাড়িটির ডিজাইন করেন চেন্নাই সিল্কের পরিচালক এস কার্থি। চেন্নাই সিল্কের সিল্ক সেকশনের ফ্লোর হেড রমেশ রাজা জানান, শাড়িটিতে ৯ ধরনের ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী রত্ন বা নবরত্ন ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া সোনা, রুপা আর হীরাও ব্যবহার করা হয়েছে। শাড়িটি কাতারের একজন ব্যবসায়ী তার হবু স্ত্রীর জন্য কিনেছিলেন। তিনি তার পরিচয় জানাতে চাননি।
পরের বছর এই একই রকম শাড়ির আরেকটা অর্ডার আসে, বেঙ্গালুরুর একজন ব্যবসায়ী দ্বিতীয় শাড়িটি কেনেন, তার বিয়ের দশম বার্ষিকীতে স্ত্রীকে উপহার দেয়ার জন্য। অর্থাৎ বিশ্বে এই শাড়ি মাত্র দুটি রয়েছে। দুটিই ৩৯ লাখ ৩১ হাজার রুপি বা প্রায় ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
শাড়ির আঁকা ছবিতে ১৬টি রঙের ৬৪টি শেড ব্যবহার করা হয়েছে। শাড়ির ডিজাইনে ব্যবহার করা হয়েছে ক্যাড সফটওয়্যার। ৩৬ জন দক্ষ বুননশিল্পী শাড়িটি বানিয়েছেন। প্রথম শাড়িটি সম্পূর্ণ করতে প্রায় দুই বছর লাগলেও দ্বিতীয়টি বানাতে লেগেছে ১ বছর ৪ মাস। ভারতের এই শাড়িটি ২০০৮ সালেই বিশ্বের সবচেয়ে দামি শাড়ি হিসেবে নাম তুলেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। মজার ব্যাপার হলো, এই শাড়িটি যদি আপনি এখন কিনতে চান, তাহলে এক কোটির কমে পাবেন না।
প্রসঙ্গত, ‘দ্য হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়ান আর্ট’–এ রাজা রবি বর্মাকে ভারতের সর্বকালের সেরা চিত্রশিল্পীদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। তার মৃত্যুর ১০০ বছর উপলক্ষে ২০০৬ সালে শাড়িটি তৈরির উদ্যোগ নেয় দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর ভেলোরের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড দ্য চেন্নাই সিল্ক। শাড়িটিতে ভারতের ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে এমন ১১টি চিত্র আঁকা হয়। মূল ছবিটি ছিল আঁচলে, ‘দ্য গ্যালাক্সি অব মিউজিশিয়ানস’। সূত্র: বিগ শাড়িজ ও ডিএনএ ইন্ডিয়া
এএম/
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন