আইন-বিচার
নিয়োগ জটিলতা কাটল ৪০ তম বিসিএস নন-ক্যাডারে ৪ হাজার ৩২২ পদে
৪০তম বিসিএসে নন-ক্যাডার পদে ৪ হাজার ৩২২ জনের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তবে স্থগিতই থাকবে স্থানীর সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) ১৫৬ পদে নিয়োগ।
সোমবার (২১ আগস্ট) এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রাগিব রউফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আর এলজিইডির পক্ষে ছিলেন সাঈদ আহমেদ রাজা।
আদেশের পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগিব রউফ বলেন, ৪০ তম বিসিএসের নন ক্যাডার নিয়োগে প্রক্রিয়াধীন ছিল। এ অবস্থায় এলজিইডি তাদের ১৫৬টি পদ প্রত্যাহারের জন্য পিএসসির কাছে আবেদন করে। কিন্তু তাদের আবেদনটি বাতিলের জন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার যারা ছিলেন তারা হাইকোর্টে আবেদন করেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ১৫৬ পদে নিয়োগ বাতিলের আবেদনটি স্থগিত করেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে এলজিইডির আপিল দায়ের করলে চেম্বার আদালত সেটা স্থিতাবস্থা জারি করেন। চেম্বার আদালতের এ আদেশের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। যেটি হলো ৪৪৭৮ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াটাই আটকে যায়। এ কারণে এলজিইডির বাইরে অন্যান্য বিভাগের ২২৫ জন আপিল বিভাগে আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল আদালত আজকে চেম্বার আদালতের স্থিতাবস্থা সংশোধন করে শুধুমাত্র ১৫৬ পদের স্থিতাবস্থা বহাল রেখেছেন। এরফলে বাকী ৪ হাজার ৩২২ পদে নিয়োগে আর কোনো বাধা রইলো না।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের সংশোধিত বিধিমালা অনুসারে বিসিএস নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ কার্যক্রম হয়ে আসছিল। তবে ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার নিয়োগে এসে এ বিধিমালা ফের সংশোধনের উদ্যোগ নেয় প্রতিষ্ঠানটি। যার কারণে গত বছরের নভেম্বরে ৪০তম বিসিএসের ক্যাডার পদে গেজেট হলেও নন-ক্যাডার পদের নিয়োগ দেয়া যায়নি। এ নিয়ে আন্দোলনও করেন অপেক্ষমাণ প্রার্থীরা। প্রার্থীদের দাবি উপেক্ষা করে গত ১৪ জুন নতুন নিয়োগবিধি গেজেট আকারে প্রকাশ পায়। নতুন বিধি অনুযায়ী ১৯ জুন ৪ হাজার ৪৭৮ নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় পিএসসি।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ২০ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত আবেদন নেয়া হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে নন -ক্যাডারে সহকারী প্রকৌশলী পদে ১৫৬ জনকে নেয়ার কথা বলা হয়। ফলে এ পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করেন প্রার্থীরা। কার্যক্রম চলাকালীন হঠাৎ সহকারী প্রকৌশলী পদ বাতিল করে এলজিইডি অধিদপ্তর। বাতিলের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেন ওই পদে নিয়োগ প্রত্যাশী ২২ প্রার্থী। এ রিটে আটকে যায় পুরো ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডার নিয়োগ কার্যক্রম।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন