বাংলাদেশ
ভারত-ইংল্যান্ড, কে হবে যুবাদের শ্রেষ্ঠ!
যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল আজ। অথচ বাঙালিদের কোনো উল্লাস নেই। কেনই বা থাকবে? এবারতো আর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল পারেনি ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে! গতআসরে যাদের সাথে ফাইনাল খেলেছিলো; বলা ভালো যাদেরকে হারিয়ে স্বপ্নে ট্রফি জিতেছিলো তারা এবারো শিরোপার লড়াইয়ের চূড়ান্ত মঞ্চে উঠেছে। প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে। বয়সভিত্তিক বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল ভারত। আটবার ফাইনাল খেলে চারবার শিরোপা জিতেছে ভারতের যুবারা।
শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে পঞ্চম শিরোপা ঘরে তুলতে লড়তে হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আর তাদের স্পিনেই ঘায়েল করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকেও একই অস্ত্রে ঘায়েল করেছিলো ম্যান ইন ব্লুরা।
ফাইনালের দু’দিন আগে সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি জুম কলের মাধ্যমে যশদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। পরে সে মিটিংয়ে যোগদেন সাবেক ক্রিকেটার লক্ষ্মণও। যিনি এই মুহূর্তে দলের সঙ্গেই রয়েছেন অ্যান্টিগায় রয়েছেন। ২০০৮ সালে ভারতীকে ট্রফি এনে দেয়ার বিরাটের কাছ থেকে নানা মূল্যবান পরামর্শ পেয়ে চাঙ্গা ভারতীয় শিবির।
ভারতের যুবারা ম্যাচের আগের দিন ইংলিশদের প্রত্যেকটি ম্যাচের ভিডিও দেখেছেন। যেখান থেকে নেয়া অভিজ্ঞতা দিয়েই তাদের হারিয়ে শিরোপা জয়ের চোখ সকলের। ভিডিওতে দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ার মতো স্পিনের বিরুদ্ধে তারাও দুর্বল। তাই ভিকি অস্তোয়াল, কৌশল তাম্বে ও নিশান্ত সিন্ধুর কাঁধেই থাকছে ভারতকে জেতানোর মূল দায়িত্ব। সেই সঙ্গেই পেসার রবি কুমারের সুইং ও রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকরের গতি দিয়ে বিপক্ষকে চূর্ণ করে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে চারবারের বিশ্বজয়ী দলটি।
ইংল্যান্ডও যে একেবারে দূর্বল দল তাও নয়। যদিও ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে ২৪ বছর বিশ্বকাপের শিরোপা ছুঁয়ে দেখেনি তারা। সেমিফাইনালে আফগানদের বিপক্ষে হারের মুখ থেকে ফিরে এসেছে থ্রি লায়ন্সরা। তার মূল কারণ ব্যাটিং বিপর্যয়। অধিনায়ক টম প্রেস্ট রান না পাওয়ায় দ্রুত উইকেট হারায় তারা। প্রেস্টই তাদের ব্যাটিং বিভাগের স্তম্ভ। এখনও পর্যন্ত ২৯২ রান করেছেন এই প্রতিযোগিতায়। বাঁ-হাতি পেসার জোশুয়া বোডেন পেয়েছেন ১৩টি উইকেট। ইংল্যান্ড শিবিরে তারাই মুখ্য তারকা।
প্রেস্ট ও জোশুয়ার সঙ্গে রয়েছেন রেহান আহমেদ। ইংল্যান্ডের লেগস্পিনার তার মূল শক্তি গুগলি দিয়ে তটস্থ করে রেখেছেন যুব ক্রিকেটারদের। লেগস্পিন সে ভাবে ঘোরে না। রান আটকানোর ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের প্রধান অস্ত্র রেহান। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের নেটে বল করতে গিয়ে বেন স্টোকস, অ্যালেস্টেয়ার কুককে আউট করেছিলেন তিনি। আজ ভারতের বিরুদ্ধে দেশকে ট্রফি তুলে দেয়ার স্বপ্ন নিয়ে নামছেন তিনিও। ট্রফি যে দলই পাক না কেন বিশ্বকাপ জুড়ে সবচেয়ে বেশি প্রশিংসিত হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররাই। অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে অনেকেই ভবিষ্যতে সিনিয়র দলে সুযোগ পাবেন।
হাসিব মোহাম্মদ
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ