আওয়ামী লীগ
খালেদা-তারেক কোনো দিনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না : নানক
বিএনপি নির্বাচন নিয়ে পুতুল নাচ শুরু করেছে। এই পুতুল নাচ করে লাভ নেই। বিএনপির বন্ধুরা এখনও সময় আছে, খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, তারেক জিয়া একজন পালাতক আসামি, তারা কোনো দিন নির্বাচন করতে পারবে না। খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান কোনো দিনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সুতরাং বিএনপির বন্ধুরা আপনাদের প্রতিবাদ করতে হবে, প্রতিরোধ করে বিএনপিকে গণতান্ত্রিক ধারায় নিয়ে আসুন। তাহলে বিএনপির শেষ রক্ষা হওয়ার সুযোগ রয়েছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা পরিষদ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, গণতন্ত্রের পথে নির্বাচনের পথে না এসে আবার আব্দুর রহমান, বাঙলা ভাই জঙ্গি জেএমবি তৈরি করে কুলাউড়ায় গোপনে ট্রেনিং দেওয়াবেন, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য অস্ত্র ঠেকিয়ে সন্ত্রাস করবেন, তা আর হবে না। এই দেশ আমাদের, এই দেশ আপনাদের, এই দেশের জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি। তাই স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল বিএনপি। মাত্র তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল। বিএনপির আমলে বিদ্যুৎ কবে আসবে সেই খবর মানুষ জানতে চাইতো। আজকে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে নিরাপদে বিদেশে পাঠিয়েছে, এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় জিয়াউর রহমান এই খুনে জড়িত। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছে। যেই গ্রেনেড পাকিস্তান আর্মি ব্যবহার করে, সেই গ্রেনেড দিয়ে হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করেছে।
উল্লেখ্য, আলোচনা সভা শেষে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের এককালীন ২৫ লাখ টাকার বৃত্তি, ১০০ সেলাই মেশিন, ২৫ লাখ টাকার ক্রিড়া সামগ্রী বিতরণ ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণার্থীদের সনদ প্রদান করা হয়।
এএম/
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন