Connect with us

চট্টগ্রাম

সাতকানিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বন্যার শঙ্কা

Avatar of author

Published

on

দুই দিনের টানা ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল। দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার নিচু এলাকা হয়েছে প্লাবিত। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। এদিকে, শঙ্খ ও ডলু নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের ভয়াবহ বন্যার ক্ষত না শুকাতেই আবারও ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রবল বর্ষণের ফলে উপজেলার চরতী, কাঞ্চনা, মাদার্সা, সোনাকানিয়া, ছদাহা ও পুরানগড ইউনিয়নে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উপজেলার নিম্নাঞ্চলের আউশ ধান ও ক্ষেত জমির ফলফলাধি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ধানের বীজতলা। উপজেলার চরতি, আমিলাইষ, নলুয়া, খাগরিয়া, কালিয়াইশ, ধর্মপুর, বাজালিয়া, পুরানগড় ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি এলাকায় শঙ্খনদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে।

কেওচিয়া ইউনিয়নের ১, ২ ৩, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের বেশকিছু গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার মানুষ মূলত গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছে। কেওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কিছু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

Advertisement

আরও কয়েকদিন ভারী বর্ষণ হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আজ রোববার ভোর পর্যন্ত উপজেলার চরতি, নলুয়া, আমিলাইষ, খাগরিয়া, বাজালিয়া, ছদাহা ও পুরানগড়, কালিয়াইশসহ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও বিল অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বাজালিয়া, ছদাহা, কেওচিয়া সোনাকানিয়া, কাঞ্চনা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে এ মাসের শুরুর দিকে বন্যায় ক্ষেত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দেয়ায় কৃষকরা নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কিছু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি আমরা জেলা প্রশাসনকে অবহিত করছি। জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক ও সজাগ থাকার জন্য বলা হয়েছে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

চট্টগ্রাম

কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী

Published

on

কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।

বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।

 

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা

Published

on

সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।

নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম  বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।

আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে  ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত

Published

on

চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।

এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it