এশিয়া
সহপাঠীদের দিয়ে মুসলিম ছাত্রকে চড়, বন্ধ হলো সেই স্কুলটি
ভারতের উত্তর প্রদেশে সহপাঠীদের দিয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীকে চড় মারানোর ঘটনার পর ওই স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলাকালীন স্কুলটি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর।
সোমবার (২৮ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্ধ থাকার কারণে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের যেন পড়াশোনার ক্ষতি না হয়, সে জন্য তাদের আশেপাশের স্কুলগুলোতে ভর্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে ওই নোটিশে। এতে শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তারা সহায়তা করবেন বলেও জাননো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরের নেহা পাবলিক স্কুলের একটি ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে দেখা যায়, ক্লাসে নিজের চেয়ারে বসে আছেন ওই শিক্ষিকা। তার টেবিলের ডান পাশে দাঁড়িয়ে এক ছাত্র। শিক্ষিকা ক্লাসের অন্য ছাত্রদের ওই ছাত্রকে চড় মারার নির্দেশ দিচ্ছেন। আর এক এক করে এসে তার গালে চড় মারছে ছাত্ররা।
এ সময় ওই ছাত্রের চোখে পানি দেখা যায়। এখানেই শেষ নয়, ওই ছাত্রকে লক্ষ্য করে ইসলাম-বিদ্বেষী মন্তব্য করতেও শোনা যায়। শিক্ষিকা বলেন, ‘আমি জানিয়ে দিয়েছি, সব মুসলিম শিশুকেই স্কুল ছাড়তে হবে।’
এরপর ভিডিওর এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওই শিক্ষিকা তার ছাত্রদের ওই শিক্ষার্থীকে আরও ‘জোরে’ চড় মারার জন্য বলছেন। এতে তার গাল লাল হয়ে গেলে তার কোমরে আঘাত করার জন্য বলেন তিনি। এই ঘটনায় হইচই পড়ে যায়, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও প্রতিবেদন হয়।
ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি ভারতের একটি ঘটনার ভিডিও ফুটেজ। এতে এক শিক্ষিকাকে ৭ বছর বয়সী এক মুসলিম ছাত্রকে চড় মারতে তার অন্য ছাত্রদের নির্দেশ দিতে দেখা যাচ্ছে। এমনকি ধর্মের কারণে তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করার কথাও বলছেন। এ ঘটনায় দেশটিতে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা তৃপ্তা ত্যাগী বলেন, ওই শিক্ষার্থী সেদিন হোম ওয়ার্ক করেনি, যার কারণে তিনি তার সহপাঠীদের তাকে চড় মারতে বলেন। কারণ, ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের নির্দেশ ছিল ওর সঙ্গে কঠোর ব্যবহার করার। কিন্তু আমি যেহেতু প্রতিবন্ধী তাই আমি অন্যান্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দিয়েছি তাকে চড় মারতে, যেন সে হোমওয়ার্ক করে নিয়ে আসে।
ভিডিওটিতে করা ইসলাম-বিদ্বেষী মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করেন, বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে মোড় ঘোরানোর জন্য ভিডিওটিকে এডিট করা হয়েছে। তিনি বলেন, ক্লাসে ওই শিক্ষার্থীর চাচাতো ভাইও উপস্থিত ছিল। সেই এ ভিডিওটি ধারণ করেছে এবং পরে সেটি ভাইরাল করেছে।
This footage from India has surfaced, showing a teacher instructing children to slap their 7-year-old Muslim classmate and asking him to be expelled because of his religion ⤵️ pic.twitter.com/92qSRG0B5z
— Al Jazeera English (@AJEnglish) August 25, 2023
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন