ফুটবল
যে কারণে মেসি-নেইমারকে ‘অসভ্য’ আখ্যা দিলো পিএসজি সমর্থকরা
ফুটবলাররা ক্লাব ছেড়ে চলে গেলে সেই ক্লাবের সমর্থকরা চোখের জল মিশিয়ে বিদায় দেয় সেই খেলোয়াড়কে। গেল মৌসুমে লিভারপুল ছেড়ে দেওয়া রবারতো ফিরমিনহোর কথাই ধরুন না। পুরো অ্যান্ডফিল্ড যেন অলরেডদের সবটুকু লাল নিয়ে হাজির হয়েছিল এই ব্রাজিলিয়ানকে বিদায় জানাতে।
অথচ পিএসজি সমর্থকরা যেন মুদ্রার উলটো পিঠ। ট্রান্সফার বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে নাম লিখিয়েছিলেন নেইমার জুনিয়র। তবে প্যারিসের ক্লাবটি যে হাঁকডাক দিয়ে কিনেছিল এই ব্রাজিলিয়ানকে তা পূরণ করতে পারেননি তিনি। সর্বোচ্চ অর্জন হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে তুলেছিলেন পিএসজিকে।
কিন্তু ৬ বছরের প্যারিসের জার্নির শেষটা থেকে গেল তিক্ততায়। নেইমার প্যারিস ছেড়ে যাওয়া যেন মহা খুশি ক্লাবটির সমর্থকরা। আর তাই তো স্টেডিয়ামে বিশাল একটি ব্যানার নিয়ে এসেছিল পিএসজির সমর্থকদের একটা অংশ। ব্যানারে লেখা ছিল, ‘নেইমার: অবশেষে অসভ্যর হাত থেকে মুক্তি মিলেছে।’
এখানেই শেষ নয়। পিএসজিতে মাত্র দুইটা মৌসুম খেলে গেছেন তর্ক সাপেক্ষে বর্তমান সময়ের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। তবে এই দুই মৌসুম পিএসজিতে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন তিনি। ঘরের মাঠে নিজেদের সমর্থকদের কাছে দুয়ো শোনা, প্যারিসের রাস্তায় তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, বাড়ির সামনে হাঙ্গামা। কি হয়নি!
এখানেই থামেনি ফরাসি ক্লাবটির সমর্থকরা। মায়ামিতে পিএসজির সমর্থকেরা ইন্টার মায়ামির ডিএনভি পিএনকে স্টেডিয়ামের বাইরে ব্যানার নিয়ে হাজির হয়েছিল। সেখানে লেখা ছিল, ‘মেসি: অবশেষে অসভ্যর হাত থেকে মুক্তি মিলেছে’।
মূলত পিএসজির সমর্থকদের অন্যতম সেরা এই দুই তারকার কাছে চাওয়া ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি। যা এনে দিতে ব্যর্থ হন মেসি-নেইমার। তাই এই দুই তারকাকে ‘অসভ্য’ আখ্যা দিল পিএসজির সমর্থকরা।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন