জাতীয়
নিরাপত্তার চাদরে বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর
বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করা হবে আজ। এ উপলক্ষে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর পর্যন্ত নিরাপত্তার চাদরে ঢেকেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে ভিভিআইপি, ভিআইপি, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ব্যক্তি, বিভিন্ন মন্ত্রী, জাতীয় সংসদের সদস্য, সরকারি-বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপক লোকসমাগম ঘটবে রাজধানীতে। অনুষ্ঠান ঘিরে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ডিএমপি। পাশাপাশি আগত অতিথিদের যানবাহন গমনাগমন ও সুষ্ঠু পার্কিং ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগ বিশেষ ট্রাফিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
জানা গেছে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্ত থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত উভয় দিকে আগামীকাল রোববার ভোর ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর যেকোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ। পথচারী চলাচলও সম্পূর্ণ নিষেধ। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ২ এবং ৩ চাকার যানবাহন চলাচলও নিষেধ। এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার এবং ওঠানামার জন্য সর্বোচ্চ গতিসীমা ৪০ কিলোমিটার।
ডিএমপি জানিয়েছে, পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠ প্রাঙ্গণ ও পুরো রাজধানীজুড়ে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশসহ নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
পুলিশ বলছে, সমাবেশস্থল ও এর আশপাশের এলাকার বাইরেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রয়েছে পুলিশ ও র্যাবের টহল টিম। অনুষ্ঠানে আগতদের তল্লাশির মধ্য দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতে হবে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কেউ বা কোনো গোষ্ঠী যাতে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনে সন্দেহভাজনদের তল্লাশির আওতায় আনা হবে। কেউ যদি কোনো অপকর্ম করার চেষ্টা করে তাকে কঠোর আইনের আওতায় নেয়া হবে।
শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠ ও আশপাশের এলাকাগুলো নজরদারিতে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম রয়েছে। সেখান থেকে মাঠ ও আশপাশের এলাকা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে।
ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ঢাকার বিমানবন্দর প্রান্ত থেকে ফার্মগেট প্রান্ত পর্যন্ত সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও ভিভিআইপিসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের গমনাগমন নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিংয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন উপলক্ষে সমাবেশ অনুষ্ঠানে আগতদের নির্দিষ্ট রাস্তা দিয়ে গমনাগমনের জন্যও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
নিরাপত্তার বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন জানান, ‘অনুষ্ঠানে ভিভিআইপি, ভিআইপি, বিভিন্নদেশের কূটনীতিক ব্যক্তি, বিভিন্ন মন্ত্রী, জাতীয় সংসদের সদস্য, সরকারি-বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপক লোকসমাগম ঘটবে। সবার নিরাপত্তার স্বার্থে ডিএমপি পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ মোতায়েন থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভিভিআইপি ব্যক্তিদের গমনাগমনে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকেও রোড ডাইভারশন দেওয়া হয়েছে।’
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক বলেন, ‘নিরাপত্তার দায়িত্বে সবাই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকেও পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।’
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-শেরেবাংলা নগরসহ রাজধানীতে র্যাবের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।’
ট্রাফিক নির্দেশনা
পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠকেন্দ্রিক সুষ্ঠু ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ব্যানার ও স্টিকার ছাড়া অন্যান্য সব ধরনের যানবাহনকে বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কিছু রাস্তা ব্যতীত বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
১. শ্যামলী, শিশু মেলা ক্রসিং এবং ৬০ ফিট থেকে আগারগাঁও লাইট ক্রসিং হয়ে রোকেয়া সরণি পর্যন্ত রাস্তা।
২. লাভরোড পূর্ব মাথা, বিজয় সরণি ক্রসিং-উড়োজাহাজ ক্রসিং, ক্রিসেন্ট লেক হয়ে গণভবন ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তা।
৩. সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের দক্ষিণ পাশে নতুন রাস্তার মুখ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশ রাস্তা মুখ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গ্যাপ থেকে পরিকল্পনা কমিশন হয়ে বিআইসিসি ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তা।
৪. আড়ং ক্রসিং, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, বঙ্গবন্ধু চত্বর ও ইন্দিরা রোড হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত।
৫. রোকেয়া সরণির তালতলা, আগারগাঁও লাইট ক্রসিং, বিআইসিসি ক্রসিং এবং উড়োজাহাজ ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তা।
৬. মিরপুর রোডের শ্যামলী থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্ত (আড়ং ক্রসিং) রাস্তা সীমিত পরিসরে ব্যবহার করা যাবে।
তবে জরুরি সেবাপ্রদানকারী গাড়ি, রোগী বহনকারী গাড়ি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিসে নিয়োজিত গাড়িগুলোর ক্ষেত্রে এ বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনার আওতাবহির্ভূত থাকবে।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
স্টিকারযুক্ত গাড়ির ক্ষেত্রে নির্দেশনা
১. উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসা গাড়িগুলোর অনুকূলে সরবরাহ করা সব স্টিকার তাদের গাড়ির উইন্ডশিল্ডের দৃশ্যমানভাবে প্রদর্শন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
২. আমন্ত্রিত অতিথিদের যানবাহনের চালকদের নিজ নিজ গাড়িতে অবস্থান করার জন্য পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি গাড়ির ড্রাইভারের মোবাইল নম্বর গাড়ির উইন্ডশিল্ডে দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।
৩.পদ্মা স্টিকারযুক্ত যানবাহনগুলোকে উড়োজাহাজ ক্রসিং থেকে বিআইসিসিতে নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত প্রবেশ গেট দিয়ে প্রবেশ ও নির্দেশিত স্থানে গাড়ি পার্ক করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
৪. মেঘনা ও যমুনা স্টিকারযুক্ত গাড়িগুলো উড়োজাহাজ ক্রসিং থেকে বিআইসিসি ক্রসিংয়ে নামিয়ে দিয়ে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ৫ নম্বর গেট দিয়ে প্যারেড গ্রাউন্ডে পার্কিং করবে।
ব্যানারযুক্ত গাড়ি ও জনসাধারণের ক্ষেত্রে নির্দেশনা
১. মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ধামরাই, সাভার, মিরপুর-১ ও ২ থেকে আগত ব্যানারযুক্ত গাড়িগুলো শ্যামলী হয়ে শিশুমেলা ক্রসিংয়ে ড্রপ করে নির্দেশনা মোতাবেক আগারগাঁও রাস্তায় পার্কিং করবে। আগত লোকজন র্যাব-২ এর সামনে দিয়ে পায়ে হেঁটে ভেন্যুতে প্রবেশ করবে।
২. গাজীপুর, নরসিংদী, ঢাকা উত্তরের ব্যানারযুক্ত গাড়িগুলোকে রেডিসন হোটেলের সামনের কালসী ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে মিরপুর-১০ দিয়ে বেগম রোকেয়া সরণি হয়ে আগারগাঁও ক্রসিংয়ে ড্রপ করে নির্দেশনা মোতাবেক আগারগাঁও রাস্তায় পার্কিং করবে। আগত লোকজন র্যাব-২ এর সামনে দিয়ে পায়ে হেঁটে ভেন্যুতে প্রবেশ করবে।
৩. নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকা দক্ষিণ থেকে আগত ব্যানারযুক্ত গাড়িগুলোকে শাহবাগ-সোনারগাঁও ক্রসিং-লেফট টার্ন-পান্থপথ–ধানমন্ডি-৩২ হয়ে মানিকমিয়া অ্যাভিনিউ পশ্চিম প্রান্তে (আড়ং ক্রসিং) ড্রপ করে এসব রাস্তায় এবং রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পার্কিং করবে। এসব এলাকা থেকে আগত লোকজন আড়ং ক্রসিং থেকে মিরপুর রোড দিয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের নতুন রাস্তা নিয়ে পায়ে হেঁটে ভেন্যুতে প্রবেশ করবে।
৪. কেরানীগঞ্জ, দোহার, ঢাকা দক্ষিণ থেকে ব্যানারযুক্ত গাড়িগুলোকে ধানমন্ডি-৩২ হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পশ্চিম প্রান্তে (আড়ং আসিং) ড্রপ করে ওই রাস্তায় এবং রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পার্কিং করবে। আগত লোকজন আড়ং ক্রসিং থেকে মিরপুর রোড দিয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের নতুন রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে ভেন্যুতে প্রবেশ করবে।
দেশের বিভিন্নস্থান থেকে আসা মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে নির্দেশনা
১. মিরপুর রোড দিয়ে আগত মোটরসাইকেল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিম পাশের রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে নির্দিষ্ট স্থানে পার্কিং করবে।
২. রোকেয়া সরণি রোড দিয়ে আগত মোটরসাইকেল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ব পাশের রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে শেরেবাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে নির্দিষ্ট স্থানে পার্কিং করবে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত) উদ্বোধন উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন