এশিয়া
রাশিয়া-সৌদির ‘অপ্রত্যাশিত’ সিদ্ধান্ত, কমলো জ্বালানি তেলের দাম
আরও ৩ মাস তেল উত্তোলন কমিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের দুই শীর্ষ রপ্তানিকারক সৌদি আরব ও রাশিয়া। এতে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) জ্বালানি পণ্যটির দাম ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে পরের দিনই বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) তেলের দর কমলো।
বিশ্বজুড়ে প্রবৃদ্ধি ধীর হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলারের মূল্যমান বেড়েছে। কারণ, নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ঝুঁকেছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে জ্বালানি পণ্যটির দরপতন ঘটলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এদিন বেশ্বিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম নিম্নমুখী হয়েছে ৯ সেন্ট। প্রতি ব্যারেলের দর স্থির হয়েছে ৮৯ ডলার ৯৫ সেন্টে।
একই কার্যদিবসে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) সরবরাহ মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৯ সেন্ট। ব্যারেলপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৮৬ ডলার ৬০ সেন্টে।
প্রধান ৬ মুদ্রার বিপরীতে ডলার সূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। বর্তমানে তা ১০৪ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। গত ৬ মাসের মধ্যে যা প্রায় সর্বোচ্চ। তাতে তেলের চাহিদায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে অন্যান্য মুদ্রা ধারণকারীদের কাছে জ্বালানি পণ্যটি কেনা ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে।
আইএনজি ইকোনমিকস এবং রিস্টাড এনার্জির বিশ্লেষকরা বলছেন, উৎপাদনকারী ও তাদের মিত্রদের জোট ওপেক প্লাসের সদস্যভুক্ত দেশগুলো তেলের উৎপাদন কমিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এতে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে প্রত্যাশার চেয়ে ঘাটতি গভীর হবে। ফলে মূল্য ঊর্ধ্বগামীই থাকবে।
এখন তেলের দাম গত ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে। কেবল গত ৬ মাসেই ব্যারেলে জ্বালানি পণ্যটির দাম বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ ডলার।
ধারণা করা হয়েছিল, আগামী অক্টোবর পর্যন্ত তেলের উৎপাদন কমাবে সৌদি আরব ও রাশিয়া। কিন্তু আসছে ডিসেম্বর পর্যন্ত তা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে তারা। বিনিয়োগকারীদের কাছে সেটি অপ্রত্যাশিত।
চলতি বছরের শেষ মাস পর্যন্ত দৈনিক ১ মিলিয়ন ব্যারেল করে তেল উত্তোলন কমিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি। আর ৩ লাখ ব্যারেল করে উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে রাশিয়া।
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/