বলিউড
বিয়ের জন্য কেমন পোশাক বাছলেন পরিণীতি
বিয়ে করছেন বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া। চলতি বছরেই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন তিনি। গেলো ১৩ মে ধুমধাম করে আম আদমি পার্টির নেতা তথা সাংসদ রাঘব চড্ডার সঙ্গে বাগ্দান সেরেছেন অভিনেত্রী। এ বার বিয়ের পালা। চলতি মাসেই সাত পাক ঘুরতে চলেছেন পরিণীতি ও রাঘব।
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের উদয়পুরে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন তারা। বিয়ের বাকি আর মাত্র ১০ দিন। এই মুহূর্তে তুঙ্গে বিয়ের তোড়জোড়। তার মধ্যেই সমাজমাধ্যমের পাতায় ফাঁস হয়ে গেল পরিণীতি ও রাঘবের বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র।
ধবধবে সাদা রঙের নিমন্ত্রণপত্রের পরতে পরতে রাজকীয়তার ছাপ। তবে রাজকীয় আমেজ ধরে রাখতে গিয়ে নিমন্ত্রণপত্র ভরিয়ে ফেলেননি রাঘব ও পরিণীতি। বাগ্দানের অনুষ্ঠানের মতোই ছিমছাম অলংকার যুগলের বিয়ের আমন্ত্রণেও। সেই পত্র দেখে ধারণা, বাগ্দানের মতো বিয়ের জন্যও সাদা বা হালকা প্যাস্টেল শেডের পোশাকই বাছতে চলেছেন রাঘব ও পরিণীতি। নিজেদের বাগ্দানের অনুষ্ঠানে আইভরি রঙের পোশাকে সেজেছিলেন যুগল। বিয়ের জন্যও তথাকথিত লাল লেহেঙ্গার বদলে তেমনই কোনও রঙ বেছে নিতে পারেন তারা বলেই অনুমান। ২৩ সেপ্টেম্বর ‘ওয়েলকাম লাঞ্চ’-এর মাধ্যমে দুপুর থেকে শুরু হচ্ছে বিয়ের অনুষ্ঠান। উদয়পুরের তাজ লীলা প্যালেসে আয়োজন করা হয়েছে রাঘব ও পরিণীতির বিয়ের।
২৩ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে সেই ওয়েলকাম লাঞ্চ। তার পরেই আয়োজন করা হয়েছে নব্বইয়ের দশকের আদলে একটি থিম পার্টির। সেই দিনই সম্পন্ন হবে পরিণীতির ‘চূড়া সেরিমনি’। পরের দিন, অর্থাৎ ২৪ সেপ্টেম্বর রাঘবের ‘সেহরাবন্দি’-র মাধ্যমে শুরু হবে বিয়ের অনুষ্ঠান। দুপুর ৩.৩০-এর মধ্যে মালাবদল করবেন পরিণীতি ও রাঘব। তার পরে সাত পাক ঘুরবেন তাঁরা। ‘আ পার্ল হোয়াইট ওয়েডিং’-এর মাধ্যমে চার হাত এক হবে যুগলের। বিয়ের দিনই সন্ধেবেলায় তাজ লীলা প্যালেসে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে নবদম্পতির রিসেপশন। রিসেপশনে উপস্থিত থাকতে চলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান-সহ বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তবে বলিউড থেকে কাদের দেখা যাবে পরিণীতির বিয়ের অনুষ্ঠানে, তা এখনও জানা যায়নি।
ইতিমধ্যেই বলিউডে হাতের সব কাজ সেরে ফেলেছেন পরিণীতি। ছবির শুটিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে চুক্তির সব কাজ শেষ করে এ বার শুধু বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন পরিণীতি। অন্য দিকে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নিজের সব দায়িত্ব সামলে বিয়ের জন্য তৈরি রাঘবও। গেলো ১৩ মে দিল্লির কপূরথলা হাউসে ব্যক্তিগত পরিসরে রাঘবের সঙ্গে আংটিবদল সারেন পরিণীতি। শোনা যাচ্ছে, উদয়পুরে বিয়ের পর দিল্লি ও মুম্বাইয়েও রিসেপশন পার্টির পরিকল্পনা রয়েছে হবু দম্পতির।
বলিউড
সামান্থা অতীত, শোভিতার সঙ্গে বাগদান সারলেন নাগা চৈতন্য
সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নতুন জীবনে পা রাখলেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা নাগা চৈতন্য। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) প্রেমিকা শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে বাগদান সারলেন এই অভিনেতা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে হায়দরাবাদের বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাগদান সম্পন্ন করেন নাগা চৈতন্য ও শোবিতা ঢুলিপালার। বাগদান অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যগত সাজে সাজেন তারা। এসময় দুই পরিবারের সদস্য ছাড়াও এ জুটির ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিজাইনার মনীষ মালহোত্রা তার ইনস্টাগ্রামে শোবিতা ও নাগার বাগদানের ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, শোবিতার পরনে পিঙ্ক কালারের সিল্ক শাড়ি। এর সঙ্গে মিলিয়ে সোনার গহনাও পরেন এই অভিনেত্রী।
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটির মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও অভিনেতা নাগা চৈতন্য। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলেন তারা। কিন্তু ২০২১ সালে এ সংসারের ইতি টানেন এই যুগল।
গেল বছর গুঞ্জন চাউর হয়— বিয়েবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন নাগা চৈতন্য। যদিও এ সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি এই জুটি। তারপরও অনেকবার একসঙ্গে দেখা গেছে তাদের। সর্বশেষ বাগদানের মাধ্যমে গুঞ্জনকে বাস্তবে রূপ দিলেন এই জুটি।
এসআই/
ঢালিউড
সমালোচনা ভয় পেতেন শেখ হাসিনা: ভারতীয় নির্মাতা হংসল মেহতা
কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ক্ষমতা ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচনায়। এই প্রসঙ্গে এবার পুরোনো স্মৃতি সামনে আনলেন বলিউড নির্মাতা হংসল মেহতা।
২০২২ সালে হংসল মেহেতার সিনেমা ‘ফারাজ’ মুক্তি পেয়েছিল। তবে ছবির শুটিং-এ লাগাতার হুমকির শিকার হয়েছিলেন পরিচালক। কারণ, ছবিটি ঢাকার হোলি আর্টিজানে সংগঠিত নৃশংস হামলা ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে ছবিটি বাংলাদেশের ঘটনায় নির্মিত হলেও বাংলাদেশেই নিষিদ্ধ হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’-এ সেই স্মৃতি তুলে ধরে হংসল মেহতা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ঘটনাগুলো দেখে আমার ‘ফারাজ’-এর মুক্তির কথা মনে পড়ছে। এটি বাংলাদেশ ছাড়া নেটফ্লিক্সে বিশ্বব্যাপী স্ট্রিম হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ছবিটি নিষিদ্ধ হয়েছিল।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একাধিক কল পেয়েছি। কথিত সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট, সন্ত্রাসী সংগঠনের কাছ থেকে অনুভূত হুমকির কারণে আমাকে শেষ পর্যন্ত পুলিশ সুরক্ষা দেয়া হয়েছিল। ভারতীয় আদালতে দীর্ঘ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অনেক অভদ্র অভিযোগ করা হয়েছিল। আমি এখনও বাংলাদেশের আদালতের মিথ্যা মামলা লড়ছি। এসব একটি চলচ্চিত্রের মুক্তি ঠেকানোর জন্য। যা দৃশ্যত শেখ হাসিনার সরকারকে চিত্রিত করেছিল। সরকার চায়নি যে বাংলাদেশের বাইরে কেউ জানুক যে তারা অযোগ্য এবং স্বৈরাচারী নেতা দ্বারা চালিত, যিনি নিজের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচককে ভয় পেতেন। তারা আমাদের কণ্ঠ চেপে ধরে নিজেদের রক্তাক্ত হাত ঢাকতে চেয়েছেন।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা। সেই ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘ফারাজ’ প্রযোজনা করেছেন অনুভব সিনহা ও ভূষণ কুমার। ছবিটি দিয়ে কারিনা কাপুরের চাচাতো ভাই জাহান কাপুর ও পরেশ রাওয়ালের ছেলে আদিত্য রাওয়ালের অভিষেক হয়েছে।
এসআই/
বলিউড
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ী সানা মকবুল
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ীর মুকুট পরলেন সানা মকবুল। রিয়ালিটি শো জিতে তিনি ঘরে তুলেছেন ট্রফি আর ২৫ লাখ রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৪ লাখ টাকার বেশি।
চলতি বিগবস সিজন ৩-এর শুরু থেকেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন সানা। প্রতিবারই দর্শকদের কাছ থেকে পেয়েছেন বিপুল ভোট। তবে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। আবার সেখান থেকে নিজেকে মুক্তও করেছেন।
বিগবসের ঘরে সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক রেখে চলতেন সানা। তার খেলা দেখে ভীষণ আনন্দ পেতেন দর্শকরা। তাই প্রত্যেকবারই বিপুলসংখ্যক ভোট পেয়েছেন তিনি। শোতে তাকে যখনই কোনো কাজ দেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে পালন করতেন সানা।
বিগবসের আসরে সানার বন্ধু ছিল নাজী। বিজয়ীর মুকুট পরে জয়ের কৃতিত্ব নাজীকেই দিতে চাইলেন তিনি। মজার ব্যাপার, বিগবসে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন নাজী।
‘বিগ বস’-এর চলতি আসরের ফাইনালিস্ট হিসেবে ছিলেন সানা মকবুল ও নাজী, রণবীর শোরে, সাই কেতন রাও, কৃতি মালিক।
এসআই/