আওয়ামী লীগ
ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন কৃষিমন্ত্রী
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবের তিনি একথা বলেন।
নিজের লোকজনকে বসানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আগুন দেয়া হয়েছে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব; এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে; ৩০ লক্ষ মা-বোন আত্মাহুতি দিয়েছে। ২ লক্ষ মা-বোন ইজ্জত দিয়েছে। তারপরও এই স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা দেখেছি পাটের গুদামে আগুন দিয়েছে। বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়েছে। দেশকে রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল করার জন্য অনেক দেশে এ রকম হয়। আমাদের দেশে গেলো ৫০ বছরে এরকম ঘটনা আমরা বহু দেখেছি। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে এক টানা ৯০ দিন হরতাল করে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আমি জিজ্ঞাসা করি, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যে অগ্নিসন্ত্রাস করা হয়েছিল; সেই অগ্নি সন্ত্রাস কি এটার অংশ কিনা? সেই জবাব উনি দিয়ে তারপরে যেনো এই ধরনের প্রশ্ন তুলেন। আওয়ামী লীগ কোনোদিন সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগ ধর্মকে ব্যবহার করে না। আওয়ামী লীগ শান্তির রাজনীতি করে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছর আমরা দেশ পরিচালনা করছি। একটা বিএনপির গায়েও আমরা হাত দেই নাই। কোনো জঙ্গিকে আমরা ঠাঁই দেই নাই। তাই এ ধরনের প্রশ্ন খুবই দুঃখজনক। এটা তীব্র নিন্দা জানাই।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি বড় দলের সাধারণ সম্পাদক। আমি আশা করব এ ধরনের মন্তব্য করার জন্য তিনি জাতির কাছে দুঃখ প্রকাশ করবেন। আর যদি না করেন তাহলে আমরা মনে করব অতীতে যেভাবে তারা অগ্নি সন্ত্রাস করেছে, ঠিক সেইভাবে এই ঘটনার সাথেও তারা জড়িত। দেশটাকে অস্থিতিশীল করার জন্য এমন মন্তব্য না করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ান।
এর আগে গত বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ৪টার দিকে কৃষি মার্কেটের ডানদিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। শুরুতে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করলেও পরে একে একে ১৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। একপর্যায়ে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুনে প্রায় ৪০০ দোকান পুড়ে গেছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, মার্কেট ও কাঁচাবাজারে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে ৭০০-৮০০ দোকান ছিল।
তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেছেন, অবৈধ দোকানগুলো ছিল ফুটপাতে। সিটি করপোরেশন থেকে দোকান বরাদ্দ দেয়া ছিল ৩১৭টি। এরমধ্যে পুড়েছে ২১৭টি দোকান।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। সেই সঙ্গে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ইনস্পেক্টর আনোয়ার হোসেন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/