বলিউড
‘তুষারপাতের পুরো মজা উপভোগ করতে টাক হয়ে যাই’
বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান বক্স অফিসে একের পর এক বাজিমাত করছেন। ‘পাঠান’ এর আকাশচুম্বী সফলতার পর এবার গেলো ৭ সেপ্টেম্বর মুক্তিপ্রাপ্ত তার ‘জওয়ান’ সিনেমাও যাচ্ছে একই পথে। রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্টের তথ্যমতে, ইতিমধ্যেই সিনেমাটি প্রায় ৭০০ কোটি রুপির আয় করেছে।
ব্লকবাস্টার সিনেমাটিতে শাহরুখের অ্যাকশন ঘরানার অভিনয় দর্শকদের মন জয় করেছে। একইসাথে সিনেমায় ‘কিং খান’ এর একাধিক লুকও বেশ প্রশংসিত হচ্ছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে টাক মাথার লুকটি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ সম্পর্কে শাহরুখ বলেন, “সিনেমায় আমি মূলত অলসতার বসে টাক মাথার লুক বেঁছে নিয়েছিলাম। কেননা আমাকে নাহলে টানা দুই ঘণ্টা ধরে মেক-আপ করতে হতো। এরচেয়ে শুধু টাক মাথা বরং ভালো ছিল।”
সিনেমাটি মুক্তির আগে প্রিভিউ ও পোস্টারে শাহরুখের টাক মাথার লুক ভক্তদের চমকে দিয়েছিল। তখন এক ভক্ত মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স (টুইটার) এ পোস্ট করেন যে, “আপনি টাক হয়েছেন কেন? আপনাকে ভয়ংকর লাগছে। কী সমস্যা?”
জবাবে ঠাট্টা করে শাহরুখ ফিরতি পোস্টে বলেন, “আমার বাসার বাইরে তুষারপাত হচ্ছিল। তাই ভাবলাম, টাক হয়ে যাই। তুষারপাতের পুরো মজা উপভোগ করি।”
‘জওয়ান’ সিনেমায় শাহরুখ খল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। চরিত্রটি নিয়ে কথা বলতে যেয়ে শাহরুখ বলেন, “আমি কখনোই হিরো চরিত্রে অভিনয় করতে চাইতাম না। হিরো চরিত্র বেশ বোরিং মনে হয়। সিনেমায় তাদের শুধু ভালো কাজই করতেই দেখা যায়।”
শাহরুখ মূলত একজন অ্যাকশন হিরো হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘কাভি খুশি কাভি গাম’ এর মতো রোমান্টিক ঘরানার সিনেমা দিয়ে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি।
‘জওয়ান’ সিনেমায় শাহরুখের পার্শ্ব চরিত্র হিসেবে পাঁচ ভয়ঙ্কর নারী চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এ সম্পর্কে শাহরুখ বলেন, “এক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য ছিল পাঁচ নারী চরিত্রকে এমনভাবে উপস্থাপন করা যেন তাদের দেখে মনে হয় তারা নেতিবাচক ভূমিকায় অবতীর্ণ। এক্ষেত্রে তাদের সকলে অ্যাকশনের প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে; অনেককে একেবারে প্রথমবারের মতো এটি শিখতে হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ‘জওয়ান’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন দক্ষিণ ভারতীয় পরিচালক অ্যাটলি। এতে দ্বৈত চরিত্রে দেখা গিয়েছে শাহরুখ খানকে। এখানে তিনি বিক্রম রাঠোর এবং আজাদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
সিনেমায় শাহরুখের সঙ্গে প্রধান নারী চরিত্র তথা দুঁদে পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নয়নতারা। খলনায়কের চরিত্রে আছেন বিজয় সেতুপতি। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় সানিয়া মালহোত্রা, সুনীল গ্রোভার, ঋদ্ধি ডোগরা, সঞ্জিতা ভট্টাচার্য প্রমুখ আছেন। ক্যামিও চরিত্রে দেখা মিলেছে দীপিকা পাড়ুকোন এবং সঞ্জয় দত্তের।
বলিউড
সামান্থা অতীত, শোভিতার সঙ্গে বাগদান সারলেন নাগা চৈতন্য
সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নতুন জীবনে পা রাখলেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা নাগা চৈতন্য। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) প্রেমিকা শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে বাগদান সারলেন এই অভিনেতা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে হায়দরাবাদের বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাগদান সম্পন্ন করেন নাগা চৈতন্য ও শোবিতা ঢুলিপালার। বাগদান অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যগত সাজে সাজেন তারা। এসময় দুই পরিবারের সদস্য ছাড়াও এ জুটির ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিজাইনার মনীষ মালহোত্রা তার ইনস্টাগ্রামে শোবিতা ও নাগার বাগদানের ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, শোবিতার পরনে পিঙ্ক কালারের সিল্ক শাড়ি। এর সঙ্গে মিলিয়ে সোনার গহনাও পরেন এই অভিনেত্রী।
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটির মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও অভিনেতা নাগা চৈতন্য। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলেন তারা। কিন্তু ২০২১ সালে এ সংসারের ইতি টানেন এই যুগল।
গেল বছর গুঞ্জন চাউর হয়— বিয়েবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন নাগা চৈতন্য। যদিও এ সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি এই জুটি। তারপরও অনেকবার একসঙ্গে দেখা গেছে তাদের। সর্বশেষ বাগদানের মাধ্যমে গুঞ্জনকে বাস্তবে রূপ দিলেন এই জুটি।
এসআই/
ঢালিউড
সমালোচনা ভয় পেতেন শেখ হাসিনা: ভারতীয় নির্মাতা হংসল মেহতা
কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ক্ষমতা ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচনায়। এই প্রসঙ্গে এবার পুরোনো স্মৃতি সামনে আনলেন বলিউড নির্মাতা হংসল মেহতা।
২০২২ সালে হংসল মেহেতার সিনেমা ‘ফারাজ’ মুক্তি পেয়েছিল। তবে ছবির শুটিং-এ লাগাতার হুমকির শিকার হয়েছিলেন পরিচালক। কারণ, ছবিটি ঢাকার হোলি আর্টিজানে সংগঠিত নৃশংস হামলা ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে ছবিটি বাংলাদেশের ঘটনায় নির্মিত হলেও বাংলাদেশেই নিষিদ্ধ হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’-এ সেই স্মৃতি তুলে ধরে হংসল মেহতা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ঘটনাগুলো দেখে আমার ‘ফারাজ’-এর মুক্তির কথা মনে পড়ছে। এটি বাংলাদেশ ছাড়া নেটফ্লিক্সে বিশ্বব্যাপী স্ট্রিম হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ছবিটি নিষিদ্ধ হয়েছিল।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একাধিক কল পেয়েছি। কথিত সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট, সন্ত্রাসী সংগঠনের কাছ থেকে অনুভূত হুমকির কারণে আমাকে শেষ পর্যন্ত পুলিশ সুরক্ষা দেয়া হয়েছিল। ভারতীয় আদালতে দীর্ঘ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অনেক অভদ্র অভিযোগ করা হয়েছিল। আমি এখনও বাংলাদেশের আদালতের মিথ্যা মামলা লড়ছি। এসব একটি চলচ্চিত্রের মুক্তি ঠেকানোর জন্য। যা দৃশ্যত শেখ হাসিনার সরকারকে চিত্রিত করেছিল। সরকার চায়নি যে বাংলাদেশের বাইরে কেউ জানুক যে তারা অযোগ্য এবং স্বৈরাচারী নেতা দ্বারা চালিত, যিনি নিজের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচককে ভয় পেতেন। তারা আমাদের কণ্ঠ চেপে ধরে নিজেদের রক্তাক্ত হাত ঢাকতে চেয়েছেন।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা। সেই ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘ফারাজ’ প্রযোজনা করেছেন অনুভব সিনহা ও ভূষণ কুমার। ছবিটি দিয়ে কারিনা কাপুরের চাচাতো ভাই জাহান কাপুর ও পরেশ রাওয়ালের ছেলে আদিত্য রাওয়ালের অভিষেক হয়েছে।
এসআই/
বলিউড
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ী সানা মকবুল
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ীর মুকুট পরলেন সানা মকবুল। রিয়ালিটি শো জিতে তিনি ঘরে তুলেছেন ট্রফি আর ২৫ লাখ রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৪ লাখ টাকার বেশি।
চলতি বিগবস সিজন ৩-এর শুরু থেকেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন সানা। প্রতিবারই দর্শকদের কাছ থেকে পেয়েছেন বিপুল ভোট। তবে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। আবার সেখান থেকে নিজেকে মুক্তও করেছেন।
বিগবসের ঘরে সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক রেখে চলতেন সানা। তার খেলা দেখে ভীষণ আনন্দ পেতেন দর্শকরা। তাই প্রত্যেকবারই বিপুলসংখ্যক ভোট পেয়েছেন তিনি। শোতে তাকে যখনই কোনো কাজ দেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে পালন করতেন সানা।
বিগবসের আসরে সানার বন্ধু ছিল নাজী। বিজয়ীর মুকুট পরে জয়ের কৃতিত্ব নাজীকেই দিতে চাইলেন তিনি। মজার ব্যাপার, বিগবসে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন নাজী।
‘বিগ বস’-এর চলতি আসরের ফাইনালিস্ট হিসেবে ছিলেন সানা মকবুল ও নাজী, রণবীর শোরে, সাই কেতন রাও, কৃতি মালিক।
এসআই/