আওয়ামী লীগ
তামিজি হককে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের প্রস্তাব
রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে আদম তামিজি হককে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠাবে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। এছাড়াও অব্যাহতি প্রদানপূর্বক দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের প্রস্তাব করা করেছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিন প্রজ্ঞাপন দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মাধ্যমে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বরাবর এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আদম তমিজী হক তার বাংলাদেশের পাসপোর্ট পোড়ানো ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে অশ্লীল গালাগাল এবং লাইভে সম্প্রচারের ভিডিও হাতে আসায় আমরা বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছি।
শেখ বজলুর রহমান জানান, রোববার রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচির বাসায় অনুষ্ঠিত হওয়া বৈঠকে তামিজি হককে অব্যাহতি প্রদানের বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়।
বজলুর রহমান বলেন, কার সঙ্গে কার কী হয়েছে, এটা আমরা জানি না। কিন্তু তার ভিডিওটি আমাদেরকে যথেষ্ট বিব্রত করেছে। তিনি শুধু দলীয় বিষয়ে বলছেন সেটা না, তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়েছেন, এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। সে কারণে আমরা তাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করবো। তিনি আওয়ামী লীগের বিষয়েও অনেক নেতিবাচক কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, কচি ভাইসহ আমরা ১০-১২ জন নেতা তার (কচি) বাসায় বসেছিলাম। কাদের ভাই সিঙ্গাপুর। তিনি এলে দেখা করে অনুমতি নিয়ে ব্যবস্থা নেব।
এর আগে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে ব্যবসার টাকা মেরে দেয়ার অভিযোগ করেন হক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজি হক। সেখানে তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলেন। ব্রিটিশ পাসপোর্ট ব্যবহার করবেন বলে জানান। একইসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তোলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুর পরে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনকে সামনে রেখে ২০১৭ সালে রাজনীতিতে সক্রিয় হন আদম তমিজি হক। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এরপর আদম তমিজি হকের কর্মী-সমর্থকদের আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যায়। সেখানে হক গ্রুপের খাবার সামগ্রী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিতরণ করতে দেখা যেতো।
২০২০ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন আদম তমিজি হক। সে সময় তাকে মনোনয়ন দেয়নি দলটি। এরপর ওই বছরের নভেম্বর মাসে ঘোষিত ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে রাখা হয়। যদিও ঘোষিত কমিটি আরেকজনের নাম কেটে আদম তমিজি হকের নাম লেখা হয়। এর আগে ঢাকা মহানগর উত্তর তাঁতী লীগের প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছিল।
রাজনীতির পাশাপাশি মানবিক বাংলাদেশ নামে একটি সামাজিক সংগঠন গড়ে তোলেন আদম তমিজি হক।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/