বাংলাদেশ
আফ্রিদির জামাই হচ্ছেন আরেক আফ্রিদি
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির মেয়ের জামাই হতে যাচ্ছেন বর্তমান পাকিস্তান দলের তারকা বোলার শাহীন শাহ আফ্রিদি। পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডেইলি পাকিস্তানে এমন খবর প্রকাশের পর দুই পরিবারও খরবটি নিশ্চিত করেছে।
সর্বপ্রথম ইহতেশামুল হক নামে পাকিস্তানের একজন সাংবাদিক টুইট বার্তার জানিয়েছেন, উভয় পরিবারের অনুমতি নিয়েই শাহীন আফ্রিদি এবং শহীদ আফ্রিদির কন্যার মধ্যে বাগদানের হতে চলেছে। আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই, প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে কন্যার পড়াশুনা শেষ হবার পর আনুষ্ঠানিকভাবে সব সম্পন্ন হবে।
তবে পাকিস্তান অবজারভার বলছে, এ বিষয়ে দুই পরিবারের কেউই এখনও কিছু জানায়নি।
এদিকে শাহীন শাহ আফ্রিদির বাবা আয়াজ খান গণমাধ্যমকে বলেছেন, উভয় পরিবারেরই দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে এবং শহীদ আফ্রিদির পরিবার এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। আনুষ্ঠানিক বাগদান শিগগিরই অনুষ্ঠিত হবে।
অপরদিকে শহীদ আফ্রিদির পরিবারের একজন প্রতিনিধি জিও নিউজকে জানান, প্রস্তাবটি গত দু’বছর ধরেই আলোচনায় ছিল। যেহেতু শাহীন ক্রিকেট খেলছে এবং শহীদ আফ্রিদির কন্যা এখনও পড়াশোনা করছে, তাই এই বাগদান এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি।
৪১ বছর বয়সী বিশ্বকাপ জয়ী পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদির পাঁচ জন মেয়ে রয়েছে। তারা হলেন আকসা, আনশা, আজওয়া, আসমারা ও আরওয়া। আকসা তার বড় মেয়ে, যিনি ২০ বছর বয়সী এবং তার সাথেই শাহীন শাহ আফ্রিদির বিয়ে হওয়ার কথা চলছে।
২০১৮ সালে অনূর্র্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আলো কেড়ে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিন ফরম্যাটেই পাকিস্তানের জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল শাহীন শাহ আফ্রিদির। তারপর থেকে তিন ফরমেটেই পাকিস্তানের জার্সিতে নিয়মিত মাঠ মাতাচ্ছেন বাঁহাতি এ পেসার। সম্প্রতি সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০০ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েছেন।
পাকিস্তানের জার্সি গায়ে শাহিন শাহ ১৫ টেস্ট, ২২ ওয়ানডে এবং ২১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন শাহিন আফ্রিদি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে তার উইকেট সংখ্যা ১১৭। যেখানে তিনি প্রতিটি উইকেট নিতে গড়ে ২৬.৭১ রান দিয়েছে এবং প্রতি ৬.৪১ ওভারে একটি করে উইকেট নিয়েছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে তার চেয়ে বেশিবার ৫ উইকেট নেয়ার কীর্তি আছে শুধু লঙ্কান কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গার।
এএ
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ