বাংলাদেশ
শুধু সিরিজ-ই নয়, প্রত্যাশা-প্রাপ্তির সমীকরণে আফগান পরীক্ষায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ক্রিকেট সিরিজ। তিন ম্যাচের এই আয়োজনের শুরুটা হচ্ছে তামিম-সাকিবদের পয়া ভেন্যু হিসেবে স্বীকৃত চট্টগ্রামের জহুর আহম্মেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন আফগান দল তখন ভেন্যুর ভাগ্যের উপর নির্ভর করাটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই হবে না। কারণ ২২ গজের ময়দান যার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, সেই শেষ হাসটা জিতবে। অন্তত তামিম বাহিনী সেই বিশ্বাসই করে।
আজ মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানান,‘মাঠের লড়াই নিয়েই বেশি চিন্তা করছি। দলের প্রত্যেক খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলেছে বেশ কয়েকদিন ধরে। তবে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফেরার অপেক্ষায় তারা। সময়টাকে কোনোভাবেই কঠিন মনে করছেন না।’
দলের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে নানা সময় নানা পরীক্ষা চালিয়েছে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। খুব একটা সফল হয়নি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে আনুষ্ঠানিক প্রেস কনফারেন্সে কাপ্তান তামিম জানিয়ে দেন, ‘পাঁচ নম্বর ব্যাটিং পজিশনটা এখনো ফাঁকা আছে। সেখানে দুই ব্যাটসম্যান বেশ ভালোভাবে ভাবনায় আছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে আলো ছড়ানো মাহমুদুল হাসান জয় আর ইয়াসির আলি রাব্বি। ’
জাতীয় দলের এই দুই তরুণ পেয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটের স্বাদ। তবে ওয়ানডের ক্যাপটা এখনো মাথায় ওঠেনি কারো। জয়-ইয়াসিরের মধ্যে একজন যে ওয়ানডে ফরম্যাটের স্বাদ পেতে চলছেন, সেটি পরিষ্কার করলেন তামিম। সুযোগে কতোটা সফল হবেন সেটা সময়ই বলে দিবে।
এই বিষয়ে তামিম আরো যোগ করেন, ‘শেষ ছয় ওয়ানডেতে একজনই তিন নম্বরে ব্যাট করেছে। তিন নম্বর ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে আমি বেশি উদ্বিগ্ন নই। নম্বর ফাইভ নিয়ে একটা দুশ্চিন্তা অবশ্যই ছিলো। ইয়াসির নাকি জয়-সেটা সময়ই বলে দিবে। আমাদের হাতে অপশন আছে। এখানে যথার্থ একজনকে পেলে আমাদের জন্য খুবই ভালো। কখনো দ্রুত রান তুলতে হতে পারে, কখনো-বা দ্রুত উইকেট পড়ে গেলে পুরো ইনিংস ধরে রাখতে হতে পারে। ঘরোয়া ক্রিকেটে যারা ভালো করছে তাদের আমরা সুযোগ দিচ্ছি।’
রাব্বির প্রসঙ্গে উঠতে তামিমের জবাব, ‘গত কয়েক বছর ধরে ভালো খেলছে, সুযোগ পেলেই কাজে লাগাচ্ছে। দেখা যাক কে ব্যাট করে। এই দুইজন থেকে কেউ খেললে সে পাঁচে থাকবে, এটুকু বলতে পারি।’
যদিও টেস্ট ওপেন করা জয়ের পক্ষ নিয়েও ব্যাট করলেন তামিম, ‘যখন জয় টেস্টে ওপেন করেছিল, আপনারা বলেছিলেন সে তো মিডল অর্ডার, সে ওপেন করছে কেন? এখন টেস্টে ওপেন করেছে, এখানে বলছেন সে মিডল অর্ডার না, ওপেনার (হাসি)। জয়কে আমি যতটুকু দেখেছি, সে ওয়ানডেতে মিডল অর্ডারেই খেলে। ৩-৪ নম্বরেও ব্যাট করেছে। শীর্ষ তিনে ব্যাট করার সামর্থ্যও তার আছে। যদি টিম ম্যানেজমেন্ট বা আমরা মনে।’
এই সিরিজে স্বাগতিকদের সামনে সুযোগ থাকছে আইসিসি ওডিআই সুপার লিগের শীর্ষে উঠার। দেশটির বিপক্ষে সিরিজ জিতলেই ইংল্যান্ডকে টপকে শীর্ষে উঠবে টাইগাররা। ওয়ানডে সুপার লিগে বাংলাদেশের বর্তমান পয়েন্ট ৮০। সুপার লিগ চালু হওয়ার পর থেকে ১২ ম্যাচে ৮ জয় টাইগারদের। শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ৯৫। ১৫ ম্যাচে ৯ জয় রয়েছে ইংলিশদের। ম্যাচ প্রতি ১০ পয়েন্ট করে দুটি জয় পেলেই শীর্ষে উঠে আসবে বাংলাদেশ। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে বাংলাদেশের পরেই অবস্থান ভারতের।
এবার আসা যাক অন্য বিষয়ে। পুরোনো কথা। হয়তো বা নতুন কিছু। কিন্তু বিসিবি এই বিষয়টিকে একেবারেই পাত্তা দিচ্ছে না। দিবেই বা কেন! তাতে তো নিজেদেরই তোপের মুখে পড়তে হবে। বিষয়টি হলো ‘টিমের অন্তকোন্দল!’ কিন্তু তামিম বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়ে জানান, ‘আমার এখন সবাই এক। পুরো দলটাই বাংলাদেশ। রাসেল ডমিঙ্গো এবং জেমি সিডন্সের মধ্যেও কোনো সমস্যা নেই। আমরা আমাদের লক্ষ্য স্থির থাকবে।’
এসব বিষয়ের মাঝে আরেকটি বিষয় বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে হোম সিরিজে। জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার নাফিস ইকবালকে সাথে নিয়ে তামিম ইকবাল অংশ নেন সংবাদ সম্মেলনে। ক্রিকেট জীবনে তামিম-নাফিস দুই জনেই ওপেনার। নাফিসের নামের পাশে যোগ হয়েছে ‘সাবেক’ শব্দটি। তামিমকে দেশের ক্রিকেটে বর্তমান সময়ে সেরা ওপেনার বলা হয়। বড় ভাই নাফিসও ছিলেন তাই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে একসঙ্গে জুটি গড়ে ওপেন করার স্বপ্ন ছিলো তামিম-নাফিসের। সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি দুই ভাইয়ের। তবে এবার অন্য একখানে জুটি বেঁধেছেন তারা। তামিম বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক, নাফিস লজিস্টিক ম্যানেজারের গুরুদায়িত্বে। দুই ভাইয়ের রসায়নটা এবার জমেছে।
ঘরের মাঠে খেলতে নামার আগে এক প্রশ্নের জবাবে পেশাদারিত্বটাকেই সামনে রাখলেন তামিম।‘এই জায়গায় আমাদের অনেক পেশাদার হতে হবে। তিনি আমার ভাই, এটা আমাদের সম্পর্ক। তবে জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় আমি তাকে ম্যানেজার হিসেবে আর তিনি আমাকে খেলোয়াড় হিসেবে সম্মান করবেন। পেশাদারিত্বে জায়গায়টা আগে আসবে, সম্পর্ক পরে।’
এদিকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি হবে চট্টগ্রামে। আগামীকাল (২৩ ফেব্রুয়ারি) বুধবার সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এ ম্যাচের আগে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নিজেদের ঝালিয়ে নেয় বাংলাদেশ দল। চট্টগ্রামে ছেলে তামিম ঘরের মাঠে খেলতে নামার আগে জানালেন, চট্টগ্রামের জন্য হৃদয়ে বিশেষ একটি জায়গা আছে তার। গ্যালারিতে বসার সুযোগ পাওয়া সমর্থকদের সামনে নিজেকে উজাড় করে দিতে চান তামিম।
হাসিব মোহাম্মদ
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ