বাংলাদেশ
কখনোই পক্ষপাত হয়ে কাজ নয়: নতুন সিইসি
আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি কিংবা জামায়াত কোনো ঘরানার মানুষ নই। পক্ষপাত হওয়ার সুযোগ কতোটা আছে জানা নেই। তবে ব্যাক্তিগতভাবে বলবো, আমি কখনোই পক্ষপাত হয়ে নয়, নিরপেক্ষ হয়েই কাজ করবো। ক্ন্তিু আমার সীমিত সাধ্যের মধ্যে। জানালেন বাংলাদেশের ১৩তম প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
গেলো শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে নতুন সিইসি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, পথটা খুব সুখের নয়, খুব চ্যালেঞ্জিং একটা জব হবে। তবে যেকোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে রাজি। সফল হবো কি বিফল হবো তা ভবিষ্যৎ বলবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, আমার সীমিত জ্ঞান দিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা নিয়ে আগামী নির্বাচন সফলভাবে করতে চাই। সাধারণ জনগণকে নির্বাচনমুখী করতে পারি। ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকারটা প্রয়োগ করতে পারে সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্বটা মূলত আমাদের। আমি এটা বলে রাখবো, নির্বাচন কমিশনকে যেভাবে দায়ি করা হয়, নির্বাচন কমিশন ওতোটা দায়ী নয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, আমি কোনো ঘরনার নই, আমার প্রত্যাশা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা উন্নত হোক। কারণ জাতীয় সংসদ ব্যালেন্স হওয়া দরকার। অনেকে মনে করেন- বিরোধী দল সরকারের অংশ নয়, আসলে বিরোধী দলের এমপিরাও সরকারের অংশ। তারা সরকারি দলের এমপিদের ভুলগুলো সব সময় সতর্ক করে দিচ্ছেন। সতর্ক করে দেয়ার সুবিধাগুলো জনগণ পাচ্ছেন।
নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনের ইস্যু টেনে তিনি বলেন, যদি দেশের পলিটিক্যাল লিডারশীপ দায়িত্বশীল না নয়, পলিটিক্যাল ক্লাইমেটকে নির্বাচনের অনুকূলে আনা সম্ভব না হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন খুব সফল হবে না। দায়িত্ব শুধু নির্বাচন কমিশনের একার নয়, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, পুলিশ, র্যাবিপ অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বিজিবি, আনসার, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, রির্টানিং অফিসার রয়েছেন। তাদের দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করতে হবে।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, বিএনপিকে নির্বাচন মুখী করার চেষ্টা করবো। তাদের প্রতি আস্থা সৃষ্টি করা। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চায়। বিএনপির এই দাবি রাজনৈতিক। এটি কোনোভাবেই নির্বাচন কমিশনারের ইস্যুর মধ্যে পড়ে না। কাজেই নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক নিয়মে নির্বাচন করবে। নির্বাচন কমিশন কখনই আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের কথা বলবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ইস্যু রাজনৈতিক দলগুলো বুঝবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে-বিপক্ষে নির্বাচন কমিশনের কোনো বক্তব্য নেই।
সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের জন্য পাঁচজন কমিশনারকে শপথ গ্রহণ করতে হবে। শপথের প্রতি আমাদের অনুগত থাকতে হবে। সমালোচনা আমাদের ক্ষেত্রে হতে পারে। কারণ নির্বাচনের সমস্ত দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয় বলে জানান সিইসি।
তাসনিয়া রহমান
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ