রাজশাহী
তুচ্ছ ঘটনায় বাবার পর এবার স্ত্রীকে খুন
রাজশাহীতে তুচ্ছ ঘটনায় বাবাকে খুন করার পর এবার নেশার টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে খুন করেছে এক পাষন্ড মাদকাশক্ত স্বামী। মুরাদ হোসেন (৩৩) নামে যুবক বাবাকে খুনের মামলায় কারাগার থেকে সদ্য জামিনে বেরিয়ে এসে এবার নেশার টাকা ও পারিবারিক কলহের জেরে গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে স্ত্রীকেও খুন করেছে ।
নিহত গৃহবধূর নাম শিলা খাতুন (২৮)। তিনি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার তাঁতারপুর গ্রামের মুরাদ হোসেনের স্ত্রী। ঘটনার পর মুরাদ হোসেন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার তাঁতারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজশাহীর চারঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রজ্ঞাময় মণ্ডল ।
তিনি জানান, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে সকালে চারঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বিকেলে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে।
এসআই প্রজ্ঞাময় মণ্ডল জানান, অভিযুক্ত মুরাদ হোসেন এর আগে দিনেদুপুরে পোলাওয়ের চাল কেনার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজের বাবাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিলেন। এবার নেশার টাকা ও পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে খুন করে পালিয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, মা শিলা খাতুনকে হারিয়ে তার নয় বছরের সন্তান মাহিম ও ৩ বছরের শিশু সন্তান মোস্তাফিজুর নির্বাক হয়ে গেছে। তাদের মায়ের হত্যাকারী হিসেবে যিনি অভিযুক্ত, তিনি তাদের বাবা মুরাদ হোসেন কারিগর।
পরিবার ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ২০২২ সালে ৩১ জানুয়ারি পোলাও চাল কেনা নিয়ে অভিযুক্ত মুরাদ তার বাবা সাদেক আলীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পর সম্প্রতি মুরাদ হোসেন জামিন পেয়ে বাড়িতে আসেন। কিন্তু সংসারের ব্যয় ও নেশার টাকা জোগানো নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মনমালিন্য ঘটায় আজ ভোরে শিলার গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে নিজ শয়ন কক্ষেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন মুরাদ। আর ঘটনার পর থেকে মুরাদ হোসেন পলাতক। তবে মুরাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ