অপরাধ
খুনি ভাড়া করে মেয়ের জামাইকে হত্যা করা হয় : র্যাব
জয়নুল-জাকিয়া পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। কিন্তু জাকিয়ার পরিবার জয়নুলের কাছ থেকে তাকে জোর করে নিয়ে আসে এবং একজন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর কাছে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সেই স্বামী জাকিয়ার আগের সম্পর্কের কথা জানার পর তাকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ফলে তার পরিবার ক্ষুব্ধ হয়ে জাকিয়ার আগের স্বামী জয়নুলকে হত্যার জন্য দুই লাখ টাকায় একজন খুনিকে ভাড়া করে। সেই খুনির পরিকল্পনা মোতাবেক জয়নুলকে হত্যা করা হয়।
২০১০ সালের আলোচিত এই ঘটনায় আদালত অভিযুক্ত হাফিজুর রহমানকে (৪২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তিনি এতদিন পলাতক ছিলেন। অবশেষে র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মাজহারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, র্যাব-৪ ও র্যাব-৬ এর যৌথ অভিযানে রাজধানীর দারুসসালাম এলাকা থেকে জয়নুল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মাজহারুল ইসলাম বলেন, হত্যার শিকার জয়নুল ও জাকিয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করেন। পরে জাকিয়ার পরিবার তাকে জোরপূর্বক জয়নুলের কাছ থেকে নিয়ে আসে এবং প্রথম বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মাহামুদুল হাসান নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেয়। নিহত জয়নুল ও জাকিয়ার মধ্যে বিয়ের বিষয়টি মাহমুদুলকে জানালে জাকিয়াকে তার বাবার বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেন। ফলে জাকিয়ার পরিবার ক্ষুব্ধ হয়ে জয়নুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সেই অনুযায়ী জাকিয়ার পরিবার দুই লাখ টাকার বিনিময়ে জয়নুলকে হত্যার উদ্দেশে গ্রেপ্তার হাফিজুর রহমানকে ভাড়া করে।
তিনি বলেন, জয়নুলকে হত্যার উদ্দেশে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রথমে অচেতন করেন হাফিজুর। পরে তার গলায় নাইলনের রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশটি দারুসসালাম এলাকার একটি পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলে পালিয়ে যায় হত্যাকারী। এ ঘটনায় মামলা হয়। আদালত হত্যায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে হাফিজুরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। কিন্তু তিনি পলাতক ছিলেন।
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ