Connect with us

জাতীয়

বাংলাদেশ নিয়ে চীন-রাশিয়া-আমেরিকার কেন এত আগ্রহ?

Avatar of author

Published

on

বিশ্বের নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণে বাংলাদেশ বৃহৎ শক্তিধর দেশগুলোর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে কী না তা নিয়ে নানা মত আছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন- বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান, সম্ভাবনাময় অর্থনীতি এবং বঙ্গোপসাগরের প্রতি বৈশ্বিক আগ্রহ – এসব কারণে রাজনৈতিক মেরুকরণের নতুন ক্ষেত্র হচ্ছে বাংলাদেশ। এর সাথে দ্বিমতও আছে। বিশ্লেষকদের আরেকটি অংশ মনে করছেন, বাংলাদেশ নিয়ে শক্তিধর দেশগুলোর আগ্রহ থাকলেও সেটা খুব বেশি নয়।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়,  বাংলাদেশ নিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়া যেসব তৎপরতা এবং বক্তব্য দিয়েছে তাতে মেরুকরণের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বর্তমান সরকারের উপর যুক্তরাষ্ট্রর চাপ দৃশ্যমান হলেও চীন এবং রাশিয়ার অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে রাশিয়া ও চীনের বিরোধ এখন দৃশ্যমান। এর প্রভাব বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও পড়ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

আমেরিকা কী চায়?

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর মনে করেন, বাংলাদেশ আসলে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার নতুন ‘মেরুকরণের ক্ষেত্র’ হয়ে উঠেছে। তিনি জানান, বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির একটি অংশ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার’ পক্ষে কাজ করা। এরই অংশ হিসেবে তারা বাংলাদেশের বিষয়ে আগ্রহী হয়েছে।

Advertisement

দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, আমেরিকার একটা ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল আছে যেটি সক্রিয়ভাবে কার্যকর করতে তারা মনোনিবেশ করেছে। এ কারণেই এশিয়া অঞ্চলে বন্ধু সংগ্রহে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।

সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর বলেন,“আমেরিকার লক্ষ্য চীন-রাশিয়া বলয় থেকে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বিশ্বের বলয়ের সাথে সংযুক্ত করা বা সংযুক্তিকে আরো শক্তিশালী করা।”

কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলোও চায় বাংলাদেশে যাতে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়। একই সাথে এসব দেশে বাংলাদেশকে যেসব সুবিধা, বিশেষ করে বাণিজ্য সুবিধা দেয়া হয়, তার পেছনে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী রাখা।

তিনি বলেন, “কোভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধের পর যেহেতু এই অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীতা বাড়ছে, তাই এই দেশগুলো বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে আদর্শগত মিল বাড়ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আমেরিকা বা পাশ্চাত্যের সাথে যেহেতু তাদের আদর্শগত মিল নেই তাই তারাও এই অঞ্চলে বন্ধু সংগ্রহে আগ্রহী।”

আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা এখানে মূল বিষয় হিসেবে কাজ করছে বলে মনে করেন তিনি।

Advertisement

তিনি বলেন, “আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোকে আমরা খুব সংগঠিতভাবে ব্যবস্থা না করার সুযোগটা রাশিয়া-চীন নেয়ার চেষ্টা করছে এবং এ কারণেই আমরা বাংলাদেশকে ঘিরে এই তিন-চার কেন্দ্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা বেশি দেখতে পাচ্ছি।”

সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ?

এদিকে চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশের অবকাঠামো নির্মাণে চীন ব্যাপকভাবে কাজ করছে। চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক মূলত অর্থনৈতিক।

রাশিয়ার সাথেও বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেকটা একই রকম। বাংলাদেশে পারমানবিক বিদ্যুৎখাতে রাশিয়ার বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়া রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কও রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। এছাড়া এই দেশটি থেকে বাংলাদেশ খাদ্য শস্যও আমদানি করে থাকে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান মনে করেন, বাংলাদেশ না চাইলেও ভূ-কৌশলগত অবস্থানের কারণে স্বাভাবিকভাবেই সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

Advertisement

তিনি মনে করেন, গত বেশ কিছু বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ অগ্রগামী ছিল। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কোভিড পরবর্তী সময়েও বেশ স্থিতিশীল ছিল যা একে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির সাথে সম্পৃক্ত করেছে।

ড. সাহাব এনাম খান বলেন, “বাংলাদেশ একদিকে চীন থেকে ব্যাপক আমদানি করে এবং অন্যদিকে আবার পশ্চিমা দেশগুলোতে রপ্তানিও করে। ফলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে স্বার্থের একটা ভারসাম্য বাংলাদেশ রক্ষা করে আসছে।”

কানাডাভিত্তিক অনলাইন প্রকাশনা ‘ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট’ অনুসারে, বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যদি ধরে রাখা যায় তাহলে মধ্যম শক্তিশালী দেশ হয়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। একই সাথে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় বাজারও। যার কারণে এর প্রতি সুপার পাওয়ার দেশগুলো বিনিয়োগের আগ্রহ বেড়েছে।

এর পাশাপাশি বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরের অংশ যা ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরকে যুক্ত করেছে। ফলে এটি অনেকটা ‘স্ট্রাটেজিক লাইন অব কমিউনিকেশন’ বা ‘সাপ্লাই লাইন অব কমিউনিকেশন’ হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এই শিক্ষক। এ কারণে বঙ্গোপসাগেরের গুরুত্ব অনেক।

তবে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং সমর বিশেষজ্ঞ ড. সৈয়দ মাহমুদ আলী মনে করেন, চীন-রাশিয়া-আমেরিকার দ্বন্দ্বে বাংলাদেশ আসলে ‘গৌণ বা উপলক্ষ্য’ মাত্র।

Advertisement

তার মতে, বাংলাদেশের মেরুকরণের ক্ষেত্রে পরিণত হওয়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আর ঘনিষ্ঠতর হওয়া এবং এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আমেরিকার অবস্থান।

ড. সৈয়দ মাহমুদ আলী বলেন, “স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ৯০ এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর সারা বিশ্বে ইউনিফর্ম বা একক পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাদের সেই আধিপত্য পরবর্তী ২৫ বছর পর্যন্ত চলেছে।”

দ্বিতীয় পর্যায়ের শক্তিশালী দেশ ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন, এরা সবাই তখন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রপক্ষের দেশ ছিল। বিপক্ষে কেউ না থাকার কারণে আমেরিকা প্রায় প্রতিদ্বন্দ্বীহীন ছিল।

ড. সৈয়দ মাহমুদ আলী মনে করেন ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া রাশিয়ার অন্তর্ভূক্ত হওয়া এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক শক্তি বাড়ানোর মতো ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে স্পষ্ট হয়ে আসে যে যুক্তরাষ্ট্র আর একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখতে পারছে না। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন-রাশিয়ার মধ্যে একধরণের প্রতিদ্বন্দ্বিতা সামনে আসে।

তিনি বলেন, “যেহেতু ক্ষমতার একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা এই তিনটি রাষ্ট্রের মধ্যে চলছে, তাই বলা যেতে পারে বাংলাদেশ একটি গৌণ বা পরোক্ষভাবে একটি প্রতিদ্বন্দ্বীতার কেন্দ্র বা স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

Advertisement

 

Advertisement

জাতীয়

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা

Published

on

শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা  ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে  শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ

Published

on

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন

বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।

বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”

বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং  জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

Advertisement

জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।

জেডএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ

Published

on

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।

পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।

Advertisement

সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it