Connect with us

অর্থনীতি

খেলাপি ঋণে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় বাংলাদেশ

Avatar of author

Published

on

বাংলাদেশে রিজার্ভ ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স কমে যাচ্ছে।  তবে  প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে ঋণখেলাপ।বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব বলছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এই হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।

বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেল বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়,  আর্থিক খাতে সুশাসনের অভাব, রাজনৈতিক প্রভাব, বিচারহীনতার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।  বড় কোনো ঋণ খেলাপির আইনের আওতায় আসার কোনো নজির বাংলাদেশে নেই। এখানে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ফেরত না দিয়ে ঋণখেলাপি হওয়া একটি শ্রেণির কাছে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটের একটি কৌশলে পরিণত হয়েছে। এই টাকা দেশের বাইরে পাচার হয়। আবার এই ঋণখেলাপিদের ঋণ আদায়ের নামে নানা ‘সুবিধা’ দেয় সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে,চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মোট খেলাপি ঋণ এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা।এটা মোট বিতরণ করা ঋণের ১০.১১ শতাংশ। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা।

গত মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যা ছিল মোট ঋণের ৮.৮ শতাংশ। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ ২৪ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা বেড়ে এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এক বছর আগে, অর্থাৎ গত বছরের জুন শেষে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৮.৯৬ শতাংশ। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩০ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা।

বাংলাদেশে বিতরণ করা ঋণের সঙ্গে খেলাপি ঋণের তুলনা করলে তা এখন মোট ঋণের ১০. ১১ শতাংশ। সেই বিবেচনায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে।  অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কা আছে প্রথম অবস্থানে। তাদের খেলাপি ঋণের হার ১৩.৩৩ শতাংশ, পাকিস্তানে ৭.৪ শতাংশ, ভারতে ৩.৯ শতাংশ।

Advertisement

বেসরকারি যমুনা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. নুরুল আমিন বলেন, “ব্যাংককে হতে হবে ব্যবসায়ীবান্ধব। তারা যদি ব্যবসায়,শিল্পে সহায়তা করে, তাহলে এই খাত শক্তিশালী হবে, অর্থনীতি লাভবান হবে।কিন্তু আমাদের এখানে হয়েছে রাজনীতিবান্ধব। রাজনৈতিক বিবেচনায় তারা কাজ করে বা করতে বাধ্য হয়। ফলে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বাড়ছে। ব্যাংকগুলো দুর্বল হচ্ছে।যারা খেলাপি ঋণের নামে ব্যাংকের টাকা লুটে নিচ্ছে, দেশের বাইরে পাচার করছে,তাদের আমরা শাস্তির আওতায় আসতে দেখিনি।”

এসময় তিনি আরো বলেন,“এখন আত্মীয়-স্বজনরা মিলে ব্যাংক চালায়। তারা নিজেরা ইচ্ছেমতো ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। আবার অন্যদের ঋণ পেতে সহায়তা করে তাদের ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। এটা এখন ঋণ লেনদেনের ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে যা অনেক ক্ষেত্রেই লুটপাট।”

এদিকে বাংলাদেশের রিজার্ভ কমছেই। রেমিট্যান্সও কমছে। কমছে রপ্তানি আয়। বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন ২২ বিলিয়ন ডলারের নীচে নেমে এসেছে। এটা আইএমএফ-এর অনুমোদিত রিজার্ভের চেয়ে কম। অন্যদিকে আইএমএফ-এর দ্বিতীয় কিস্তির ঋণ নিয়েও সংকট তৈরি হয়েছে।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)-এর নির্বাহী পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান বলেন, “এই খেলাপি ঋণের টাকা দেশের বাইরে পাচার হয়ে যায়। আর আমাদের যে রেমিট্যান্স কম আসছে তার পিছনে আছে অর্থ পাচারকারী চক্র। তারা প্রবাসী ভাইদের রেমিট্যান্স ডলারের উচ্চ হার দিয়ে দেশের বাইরে কিনে নিচ্ছে। এরপর এখানে ব্যাংক থেকে নেয়া টাকায় তা পরিশোধ করছে। ফলে ঋণখেলাপিরা যে টাকা নেয় তা দেশের বাইরে পাচার হয়ে যায়। ব্যাংকের মাধ্যমে ডলারও কম আসে। ফলে অর্থনীতির ওপর চাপ পড়ছে। রেমিট্যান্স আসা কমে যাওয়ায় রিজার্ভ অব্যাহতভাবে কমে যাচ্ছে। আমি আশঙ্কা করছি, রিজার্ভ আরো কমে যাবে। আগামী কয়েক মাস নির্বাচনের কারণে সরকারের নজর রাজনীতির দিকে বেশি থাকবে। কম থাকবে অর্থনীতির দিকে। ফলে সরকারে যারা আসবেন তাদের সামনে প্রচুর অর্থনৈতিক সমস্যা থাকবে।”

তিনি আরো বলেন,”ঋণ নিয়ে নানা সংকটের কারণে কেউ ঋণখেলাপি হতেই পারেন।  কিন্তু আমাদের দেশে সেটা খুবই কম। এখানে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ইচ্ছে করে ফেরত দেয়া হয় না। এই কারণেই খেলাপি ঋণ হয় এখানে। তারা ক্ষমতাশালী। তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতাসহ আরো অনেক ক্ষমতা আছে। এটা একটা দুষ্টচক্র। এদের কোনো বিচার না হওয়ায় ব্যাংক থেকে ঋণের নামে টাকা নিয়ে তা ফেরত না দেয়ার একটি সংস্কুতি তৈরি হয়েছে। এটা ব্যাংকের টাকা লুটপাটের একটা কৌশল হিসেবে  দাঁড়িয়ে গেছে।”

Advertisement

বাংলাদেশ ব্যাংক যে হিসেব দেয় বাস্তবে তার চেয়ে খেলাপি ঋণ অনেক বেশি হতে পারে বলে অনেকের ধারণা৷ ব্যাংক খাতে খেলাপি হয়ে যাওয়া আদায় অযোগ্য ঋণকে তিন বছর পর অবলোপন (রাইট) করতে পারে ব্যাংক, যা খেলাপির তালিকায় না রেখে পৃথক হিসাব রাখা হয়।

পুনঃতফসিল করা ঋণের হিসাবও খেলাপি ঋণের তালিকায় থাকে না। আর আদালতে রিট করেও অনেকে খেলাপি হওয়া আটকে রেখেছেন। কয়েক বছর আগে আইএমএফের হিসাবে বাংলাদেশে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ তিন লাখ কোটি টাকা বলা হয়। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, “খেলাপি ঋণ বাস্তবে তিনগুণ বেশি, সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। অনেক ঋণ নিয়ে আদালতে মামলা আছে। এর পরিমাণ দুই লাখ পাঁচ হাজার কোটি টাকা। ফলে তা বাংলাদেশ ব্যাংক দেখাতে পারে না। আর ৫৫ হাজার কোটি টাকা আছে রাইট অফ করা ঋণ। এই দুই লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা বাদ দিয়ে বাকি এক লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ক্লাসিফায়েড ঋণ হিসেবে দেখানো হয়।”

তিনি বলেন, “এইসব খেলাপি ঋণের পেছনে আছে রাজনৈতিক এবং ক্ষমতার প্রভাব। সবচয়ে বড় ঋণখেলাপী প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হয়ে বসে আছে। এরা অনেক পাওয়ারফুল। এভাবেই চলতে থাকবে।”

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নির্বাচনের আগে দেখা যাক কী হয়। যদি সত্যিকার অর্থে রাজনৈতিক সংঘাত বেড়ে যায় তাহলে এই বড় বড় ঋণ খেলাপিরা পালিয়ে যাবে। আর এভাবে চলতে থাকলে অর্থনীতি কলাপসের দিকে যাবে।সূত্র: ডয়চে ভেলে।

Advertisement
Advertisement

অর্থনীতি

বাংলাদেশের পাশে থাকবে আইএমএফ

Published

on

আইএমএফ

ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা।  তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। দেশের এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে শপথ নেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। চলমান পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকতে আইএমএফ ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘প্রাণহানি ও মানুষের আহত হওয়ার ঘটনায়’ আইএমএফ গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা বাংলাদেশ ও দেশটির মানুষের প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে সংস্থাটি পাশে থাকবে।

এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলারের একটি ঋণ অনুমোদন দেয় আইএমএফ। ইতোমধ্যেই তিন কিস্তিতে ২৩০ কোটি ৮২ লাখ ডলার ছাড় করেছে আইএমএফ। আর ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে সংস্থাটির।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের মতে, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেশের জিডিপির প্রায় এক-চতুর্থাংশের সমতুল্য। সুতরাং, তাদের সমর্থন বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অর্থনীতি

আজ ব্যাংক থেকে এক লাখের বেশি টাকা তোলা যাবে না

Published

on

বাংলাদেশ ব্যাংক

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠান আজ (০৮ আগস্ট)। সে জন্য নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সীমা আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক হিসাব থেকে এক লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না। তবে এ সিদ্ধান্ত শুধু আজকের জন্য প্রযোজ্য হবে।

বুধবার (০৭ আগস্ট) রাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এমডিদের এক জরুরি বার্তায় এ নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) এক হিসাব থেকে এক লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না। তবে যেকোনো পরিমাণ নগদ টাকা স্থানান্তর ও ডিজিটাল লেনদেন করা যাবে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক আজকের জন্য প্রধান কার্যালয় থেকে শাখায় টাকা দেয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকদের চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ বেড়েছে। এসব অর্থ যাতে কোনোভাবেই সন্ত্রাসী বা অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সে জন্য নগদ টাকা উত্তোলন কিছুটা নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ধারাবাহিকতায় গত রাতে এ সিদ্ধান্ত জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশে কোনো সরকার নেই এবং আজ নতুন সরকার গঠিত হচ্ছে। এই সময়ে কেউ যাতে নগদ টাকা নিয়ে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে না পারে, সে জন্যই এই সিদ্ধান্ত।’

Advertisement

 

 

এসি//

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অর্থনীতি

এনবিআর চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের দাবিতে বিক্ষোভ

Published

on

ছবি সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে বরখাস্তের দাবিসহ ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।আর বিক্ষোভের মধ্যেই চেয়ারম্যানের পদত্যাগের গুঞ্জন চলছে।

বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকেই এনবিআর এর প্রধান কার্যালয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

এনবিআরের কর্মচারীরা জানান, তারা দীর্ঘ দিন থেকে তাদের নানা দাবি ও অসুবিধা এনবিআর চেয়ারম্যানকে জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু এসব দাবি তিনি পূরণ করেন নাই। বাইরের ক্যাডারের কর্মকর্তারা এনবিআর কর্মচারীদের কষ্ট বুঝতে চান না। তাদের ইচ্ছে মত করে চালাতে চান, সেটা কতটা যৌক্তিক তা ভেবে দেখার এটাই উপযুক্ত সময়।

এসময়ে আন্দোলনরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ৯ দফা দাবি জানান।

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-

Advertisement

১। প্রশাসন ক্যাডার থেকে কোনো কর্মকর্তা প্রেষণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পদায়ন করা যাবে না।

২। স্বৈরাচারী শাসকের ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে অবিলম্বে পদ থেকে বরখাস্ত করে আয়কর/কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ক্যাডার থেকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে হবে।

৩। অবিলম্বে স্বৈরাচারী চেয়ারম্যানের দোসর এবং প্রিয়পাত্র প্রথম সচিব (কর প্রশাসন) মো. শাহিদুজ্জামানকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করে কর ক্যাডারের কর্মকর্তা পদায়ন করতে হবে।

৪। দুই বছর পর পর বদলি বাণিজ্য বন্ধ করে আয়কর আইন-২০২৩ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং আয়কর আদায়ের স্বার্থে অতীতের মতো রাজস্ব বান্ধব এবং প্রযোজ্যতা সাপেক্ষে বদলি করতে হবে।

৫। অবৈধ নিয়োগ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং আউট সোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।

Advertisement

৬। সব কর্মচারীদের পদায়ন কর্মচারীদের জন্য প্রণীত জ্যেষ্ঠতা বিধিমালা ও আইন অনুযায়ী করতে হবে।

৭। আয়কর অনুবিভাগের ১০তম-২০তম গ্রেডের সব শূন্য পদে পদোন্নতি দিতে হবে এবং সব পদ পদোন্নতিযোগ্য হতে হবে, কোনো পদ ব্লক রাখা যাবে না।

৮। কর্মচারীদের নিজ নিজ অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে পরামর্শ করে কর্মচারীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে, অন্যথায় কোনো সিদ্ধান্ত মানা হবে না।

৯। সর্বশেষে আয়কর অনুবিভাগের সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ের সিদ্ধান্ত শুধু আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা নেবে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it