লাইফস্টাইল
শরীরচর্চা করার আগে ৭ রকম পরীক্ষা করে নিন
ভাবছেন জিম করবেন? উৎসবের পর্ব মিটে গেলেই শরীরচর্চা শুরু করবেন। বছর ৫০-এর বাবাকেও সঙ্গে নেবেন বলে মনস্থ করেছেন। কিন্তু চারদিকে ছোট-বড় নানা ঘটনা শুনে ভয়ও পান। জিম করতে করতেই প্রাণ হারিয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সাধারণ মানুষ থেকে বলিউডের তারকা— অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে শরীরচর্চা করতে গিয়ে। তা হলে যে কেউ জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করতে পারেন না? চিকিৎসকেরা বলছেন, বয়সের সঙ্গে জিমে গিয়ে শরীরচর্চার কোনও বিরোধ নেই। বয়স্করাও তা নিয়মিত করতে পারেন। কিন্তু কার শারীরিক অবস্থা কেমন, তা না দেখে জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করার অনুমতি সকলকে দেয়া যায় না। তাই জিমে যোগ দেয়ার আগে কয়েকটি পরীক্ষা করিয়ে নেয়া বিশেষ ভাবে প্রয়োজন।
১) উচ্চ রক্তচাপ
জিমে যাওয়ার আগে পারলে বা়ড়িতেই এক বার রক্তচাপ মেপে নিন। বয়স্কদের তো বটেই, নিজের রক্তচাপের মাত্রাও কমছে না বাড়ছে, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা প্রয়োজন। রক্তের চাপ খুব বেশি অথবা খুব কম হয়ে গেলে জিমে যাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।
২) রক্তে শর্করার মাত্রা
রক্তচাপ মাপার যন্ত্রের মতোই রক্তে শর্করার মাত্রাও কিন্তু প্রাথমিক ভাবে বাড়িতেই মেপে নেয়া যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমে গেলেও অনেক সময় শারীরিক নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই অবস্থায় জিমে গিয়ে গা ঘামানো মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। খাবার খাওয়ার আগে রক্তে শর্করার মাত্রা যদি প্রতি ডেসিলিটারে ১০০ মিলিগ্রাম মতো থাকলে বুঝতে হবে, তা নিরাপদ। সুতরাং সে দিন জিম করলে শারীরিক কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
৩) লিপিড প্রোফাইল
এই পরীক্ষা বাড়িতে করা যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। রক্তে এইচডিএল, এলডিএল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলে হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের আশঙ্কা কমে। ফলে জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করতে করতে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার ভয় এড়ানো যায়।
৪) ইলেকট্রকার্ডিয়োগ্রাম
জিমে যোগ দেয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে ইলেকট্রকার্ডিয়োগ্রাম করে রাখলেও ভাল। তা ছাড়া, আজকাল স্মার্টওয়াচের মাধ্যমেও হৃদ্স্পন্দন মাপা যায়। শরীরচর্চা করার সময়ে এই বিষয়টিও নজরে থাকা প্রয়োজন।
৫) ইকোকার্ডিয়োগ্রাম
শরীরচর্চা কিংবা খেলাধুলা করতে গিয়ে হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে কি না, তা নির্ধারণ করে দিতে সাহায্য করে ইকোকার্ডিয়োগ্রাম। বয়স নির্বিশেষে সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক হতে পারে সকলেরই। তাই জিমে যোগ দেওয়ার আগে আগাম এই পরীক্ষা করিয়ে নেয়া ভাল।
৬) ভিটামিন ডি
জিমে গিয়ে ভারী ভারী যন্ত্রপাতি তুলবেন, কিন্তু হাড়ের জোর আছে কি না, তা দেখে নিতে হবে না? রক্তে ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম কিংবা পটাশিয়ামের পরিমাণ কম থাকলে ওজন তুলতে গিয়ে কোমরের হাড়ে চোট পেলেও পেতে পারেন। পেশিতে টান লাগাও অস্বাভাবিক নয়।
৭) হিমোগ্লোবিন
রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম থাকলে অ্যানিমিয়ার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। যা শরীরচর্চা করাকালীন নানা রকম শারীরিক সমস্যার উদ্রেক ঘটাতেই পারে। কঠোর পরিশ্রম করার ক্ষমতা থাকে না। শরীরচর্চা করতে গিয়ে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ