জাতীয়
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পণ্য ও সেবায় আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করা অপরিহার্য : প্রধানমন্ত্রী
বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে সকলের জন্য নিরাপদ ও বাসযোগ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পণ্য ও সেবার জন্য আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করা অপরিহার্য। ডিজিটাল প্রযুক্তি এখানে প্রণিধানযোগ্য। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) আগামীকাল ‘বিশ্ব মান দিবস’ উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের জাতীয় মান সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)-এর উদ্যোগে ১৪ অক্টোবর ২০২৩ ‘বিশ্ব মান দিবস’ পালিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের বিশ্ব মান দিবসে গত বছরের প্রতিপাদ্য ‘সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব-বিনির্মাণে মান’ বহাল রাখা হয়েছে। জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি’র প্রেক্ষাপটে প্রতিপাদ্যটি অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণ। আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতার নেতৃত্ব ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউশন (বিডিএসআই), আইএসও’র এবং ১৯৭৫ সালে কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিয়াস কমিশন (সিএসি) -এর সদস্যপদ লাভ করে। পরবর্তীকালে বিএসটিআই আরো ৪টি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা- ইন্টারন্যাশনাল ব্যুরো অব ওয়েট অ্যান্ড মেজারস (বিআইপিএম), ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব লিগ্যাল মেট্রোলজি (ওআইএমএল) ও এশিয়া প্যাসিফিক মেট্রোলজি প্রোগ্রাম (এপিএমপি) এবং মান সংক্রান্ত সার্কভুক্ত আঞ্চলিক সংস্থা-সাউথ এশিয়ান রিজিওনাল স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন (এসএআরএসও)- এর সদস্যপদ অর্জন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের জন্য মানসম্মত খাদ্য ও পণ্য সরবরাহে বদ্ধপরিকর। মুক্ত বাজার অর্থনীতির যুগে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই। শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে পরিবেশবান্ধব ও রপ্তানিমুখী শিল্পায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি টেকসই শিল্পসমৃদ্ধ দেশে রূপান্তর করতে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সংবলিত আন্তর্জাতিক শিল্পায়ন ত্বরান্বিতকরণ এখন সময়ের দাবি। এসডিজি বাস্তবায়ন বিএসটিআই জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে সকল পর্যায়ে আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করি।
প্রধানমন্ত্রী সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানান।
তিনি ‘বিশ্ব মান দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ