হলিউড
ফিলিস্তিনিদের জন্য কাঁদছেন মডেল জিজি হাদিদ
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হামলার পরই গাজায় চলছে ইসরাইল সেনাবাহিনীর বিমান হামলা। এই হামলা শুরুর পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে গোটা বিশ্ব। বাদ যায়নি হলিউড, বলিউড থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন ইন্ডস্ট্রি।জনপ্রিয় তারকাদের কেউ কেউ প্রকাশ্যে সহমর্মিতা প্রকাশ করে ইসরাইলকে সমর্থন করছেন।আবার গাজায় ইসরাইলের পাল্টা হামলায় ব্যাপক প্রাণহানীতে দু:খ প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অনেকে। এবার প্রতিক্রিয়া জানালেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপার মডেল জেলেনা নোরা হাদিদ। মডেলিং জগতে যিনি সুপার মডেল জিজি হাদিদ নামে পরিচিত।
গাজায় সহিংসতার শিকার হওয়াদের জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করে গত মঙ্গলবার নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি পোস্ট করেছেন জিজি হাদিদ।ওই পোস্টে তিনি লিখেন-‘ফিলিস্তিনিদের সংগ্রাম এবং দখলদারিত্বের অধীনে জীবনযাপনের প্রতি আমার গভীর সহানুভূতি রয়েছে। এটি একটি দায়িত্বের মতো যা আমি প্রতিদিন পালন করি। এই অযৌক্তিক ট্র্যাজেডির ফলে প্রভাবিত সকলের প্রতি এবং প্রতিদিন যে নির্দোষ মানুষেরা এই সংঘাতে প্রাণ হারাচ্ছেন যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু, তাদের প্রতি আমি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকার্মী গোষ্ঠী হামাস। জল, স্থল ও আকাশপথ ব্যবহার করে নজিরবিহীন এই হামলা চালানো হয়। এর জেরে গাজায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ২১৫ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৭২৪ শিশু এবং ৪৫৮ জন নারী রয়েছেন। অন্যদিকে,ইসরাইলে মারা গেছেন ১ হাজার ৩০০ জন।আর আহত হয়েছেন আরো ৩ হাজার ৪০০ জন।
জিজির বাবা মোহাম্মদ হাদিদ একজন ফিলিস্তিনি এবং ধর্মপ্রাণ মুসলিম। তাই ফিলিস্তিনিদের প্রতি আগে থেকেই টান ও মমত্ববোধ রয়েছে এই মডেলের।
৩০ বছর বয়সী এই মডেল ইহুদি জনগণের বিষয়েও তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। জিজি বলেছেন তিনি তাদেরও কোনো ক্ষতি চান না। নিজের দীর্ঘ বিবৃতিতে এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নিরীহ মানুষের প্রাণহানিকে অর্থহীন বলেই দাবি করেছেন এই সুপার মডেল। তিনি জানিয়েছেন, ভূমির জন্য লড়াইয়ে সন্ত্রাসবাদও গ্রহনযোগ্য নয়। এতে সাধারণ মানুষই জীবন হারাচ্ছে।জিজি বলেন, ফ্রি প্যালেস্টাইন মুভমেন্টের সঙ্গে মানুষকে সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে ফেলার কোনো সম্পর্ক নেই। এটা আন্দোলনের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে না।
বিনোদন
বেআইনি কাজের জন্য ক্ষমা চাইলেন বিটিএস তারকা
প্রত্যেক সামর্থ্যবান দক্ষিণ কোরীয়ান তরুণকে সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হয়। পাঁচ সপ্তাহের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেকে দেড় বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করেন সামরিক বাহিনীতে। কোরিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ড বিটিএসের অন্যতম সদস্য সুগাও গিয়েছিলেন সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে। তবে প্রশিক্ষণ শেষ করলেও সামরিক বাহিনীতে দায়িত্ব পালনের জন্য ‘আনফিট’ হওয়ায় তাঁকে পাঠানো হয়েছে সমাজকল্যাণমূলক কাজে।
কিন্তু এত দিনের সামরিক প্রশিক্ষণ ও সমাজসেবার অভিজ্ঞতা যেন এক দিনেই ধূলিসাৎ হয়ে গেল একটি ঘটনায়। ৬ জুন গভীর রাতে মদ্যপান করে বাড়ি ফিরছিলেন সুগা। মদ্যপান করে গাড়ি চালানো বেআইনি হলেও তিনি ওই অবস্থায় বাইক চালাচ্ছিলেন। রাজধানী সিওলে তাঁর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বাইক দুর্ঘটনায় পড়েন সুগা। এ ঘটনায় তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করেছে দেশটির পুলিশ। জরিমানাও করা হয় তাঁকে। তবে পুরো বিষয়টি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সুগা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুগা লিখেছেন, ‘সেদিন রাতে মদ্যপান করে আমি বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। এ অবস্থায় গাড়ি চালানো বেআইনি। তবে আমার বাড়ি থেকে জায়গাটি কাছাকাছি দূরত্ব হওয়ায় বিষয়টি আমার মাথায় ছিল না। বাড়ির ঠিক সামনে এসে আমি বাইক দুর্ঘটনায় পড়ি। পুলিশ এসে আমাকে জরিমানা করে। লাইসেন্স বাতিল করে। যদিও কারও কোনো ক্ষতি হয়নি, তবু নিজের এ কর্মকাণ্ড নিয়ে আমি লজ্জিত। যারা আমার এই অসতর্কতা ও ভুলের জন্য কষ্ট পেয়েছেন, তাঁদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
সুগার এ কর্মকাণ্ডে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিটিএস ব্যান্ডের এজেন্সি বিগহিট মিউজিক। তারা জানিয়েছে, বাড়ির সামনে বাইক পার্ক করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। একজন গুরুত্বপূর্ণ সংগীততারকা ও সমাজকর্মী হয়েও সুগার এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড তাদের লজ্জিত করেছে। সুগার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানিয়েছে বিগহিট মিউজিক।
এসআই/
বিনোদন
বাগদান সেরেছেন টেইলর সুইফট!
মাস কয়েক ধরেই ফুটবলার ট্র্যাভিস কেলসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন মার্কিন পপ তারকা টেইলর সুইফট। একাধিক সাক্ষাৎকারে নিজেদের প্রেমের বিষয়’টি স্বীকারও করেছেন তারা। এমন কি নানা সময়ে তাদের একান্ত সময় কাটানোর মুহূর্ত ভাইরালও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এরপর থেকেই কবে এ জুটির বিয়ে হবে তা নিয়ে গুঞ্জনের পাশাপাশি গণমাধ্যমের প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন দুজনে। কিন্তু এবার বিশ্বস্তসূত্রের বরাত দিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে শিগগিরই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন টেইলর-ট্র্যাভিস।
পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো দাবি করেছে, সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে তারা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করছেন। সূত্র জানিয়েছে, শিগগিরই বাগদান হচ্ছে টেইলর-ট্র্যাভিসের। যদিও টেইলর ভক্তরা মনে করছেন, এরইমধ্যে বাগদান সেরেছেন তারা।
এছাড়া একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে একজন প্রধান নির্বাহীর স্ত্রী এই তারকা দম্পতির বাগদান সম্পর্কে কথা বলেছেন। এমনকি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একটি কনসার্টে টেইলরের পোশাক এবং আচার-আচরণে বাগদানের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। যদিও এই গুঞ্জনের বিষয়ে জোরালো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এসআই/
বিনোদন
একসঙ্গে মাতৃত্ব ও বিচ্ছেদের খবর দিলেন কার্ডি বি
লাইমলাইটের বাইরে তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহ বরাবরই বেশি থাকে। এবার আমেরিকান র্যাপার কার্ডি বি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন, তিনি মা হতে চলেছেন। সুখবরে আপ্লুত তার অনুরাগীরা। কিন্তু একই সঙ্গে শোনা যাচ্ছে, একই দিনে তিনি তার র্যাপার স্বামী অফ সেটের থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে মামলা করেছেন।
৩১ বছর বয়সি কার্ডি ইনস্টাগ্রামে তার স্ফীতোদরের ছবি প্রকাশ করে সুখবর জানিয়েছেন। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বারান্দায় লাল পোশাকে শিল্পী দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মমত্বের সঙ্গে তিনি হাত রেখেছেন তার স্ফীতোদরে।
সেখানে কার্ডি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘প্রতিটা সমাপ্তির সঙ্গেই একটা নতুন সূত্রপাত ঘটে।’ এই লেখা থেকেই শিল্পীর বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত যে চূড়ান্ত, তা আন্দাজ করা যাচ্ছে। আসন্ন সন্তানের প্রতি কার্ডি লিখেছেন, ‘এই সময়টা তোমার সঙ্গে কাটাতে পেরে বুঝতে পেরেছি, তুমি আমার জীবন ভালোবাসায় ভরিয়ে তুলেছ এবং আমাকে নতুন করে শক্তি জুগিয়েছ।’
২০১৭ সালে অফ সেটের সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন কার্ডি। এ তারকা দম্পতির এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। তৃতীয় বার মা হতে চলেছেন কার্ডি। জানা যায়, মা হওয়ার খবর জানানোর দিনেই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্তও জানিয়েছেন। একই সঙ্গে দুই সন্তানের ভরণপোষণের অধিকারও তিনি চেয়েছেন।
এই দুই খবরে শিল্পীর অনুরাগীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। একদিকে, কার্ডি মা হচ্ছেন বলে অনুরাগীরা তাকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে, বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসতেই, অনুরাগীদের একাংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচ্ছেদের কারণ খুঁজতে আলোচনা সমালোচনায় ব্যস্ত।
এসআই/