অন্যান্য
কিছুদিনের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হবে: ফারুক খান
আওয়ামী লীগ কী চিন্তায় অগ্রসর হচ্ছে তা জানতে চেয়েছে ইইউ সদস্যরা। আমরা বলেছি, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী কিছুদিনের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন তাদের তফসিল ঘোষণা করবে।আমরা আমাদের সিডিউল মোতাবেক নির্বাচন করব। বললেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান।
রোববার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমনটি জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছোট আকারের এক্সপার্ট গ্রুপ পাঠাবে বলে আওয়ামী লীগকে জানিয়েছে।
ফারুক খান বলেন, আজকের আলোচনা মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে তারা বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, আমরা যেই সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাচ্ছি সেটাই তারা চাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা কী কী করব সেটাও তারা জানতে চেয়েছে।
বিএনপির বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের এ নেতা। তিনি বলেন, তবে আমরা বলেছি বিএনপি একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল, তারা আগামী নির্বাচনে আসবে বলে আমরা আশা করি। তবে সংলাপের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য।
ফারুক খান বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করলে দেশকে কীভাবে চালাবো সে বিষয়টিও জানতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা। সে বিষয়ে তাদের আমরা অবগত করেছি। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের সেই প্রশ্নের উত্তর তারা পেয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনের ইশতেহার কী রকম হবে তারা জানতে চেয়েছেন। আমরা তাদের ব্যাখ্যা করে বলেছি যে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে দুইটা দিক থাকবে। প্রথম অংশে, গত নির্বাচনে আমরা যে ইশতেহারে যে কমিটমেন্ট ছিল, সেই কমিটমেন্ট কতটুকু আমরা পূরণ করেছি তার জনগণকে জানাবো।
ফারুক খান বলেন, আগামী পাঁচ বছর আমরা কি করতে চাই সেটা ইশতেহার থাকবে। আমাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে, তারা এটা নিয়ে কাজ করছেন। সে কাজ শেষ হলে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সেটি প্রস্তাবিত ভাবে উপস্থাপন করা হবে, বৈঠকে পাস করা হলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তা জনগণকে জানিয়ে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা নিয়ে কি চিন্তা ভাবনা করছি। বর্তমানে যে অর্থনৈতিক সংকট সেটা নিয়ে আমরা কি চিন্তা ভাবনা করছি। এই বিষয়গুলো বৈঠক আলোচনা হয়েছে। আমি মনে করি সবচেয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের খুব ভালো মিটিং হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউ যেই ৫০ বছরের ডিপ্লোম্যাটি সম্পর্ক তা খুবই চমৎকার। কিছুদিনের মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ব্রাসেলসে যাচ্ছেন। সেখানে আমাদের মধ্যে পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট হবে। এ কথাগুলো তারা বৈঠকের প্রথমেই বলেছেন।
বেলা সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় দেড়ঘণ্টা উভয় পক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠকে ইইউ রাষ্ট্রদূতসহ ইইউভুক্ত ১০টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগেরর পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, নির্মল চ্যাটার্জী, আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য সোহরাব হোসেন, তারিক হাসান সমী, খালেদ মাসুদ আহমেদ।
অন্যান্য
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে জামায়াত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মাদ ইউনূসকে প্রধান করে ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকারের নিকট ছাত্র-জনতার অনেক প্রত্যাশা। আমরা আশা করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্রসমাজ ও দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবেন।’
জামায়াত আমীর বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। ছাত্র-জনতার বহু ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বৈরশাসক মুক্ত হয়েছে।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব উপদেষ্টাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করার এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বঙ্গভবনে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মাদ ইউনূস এবং অন্যান্য উপদেষ্টাগণ শপথ নিয়েছেন। শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাবৃন্দ, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ, বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, প্রকৌশলী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কবি-সাহিত্যিক, লেখক, গবেষকসহ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
শপথ অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান (সাবেক এমপি) ও ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের (সাবেক এমপি), সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জনাব হামিদুর রহমান আযাদ (সাবেক এমপি), মাওলানা আবদুল হালিম ও এডভোকেট মোয়ায্যম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি জনাব মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।
জেএইচ
অন্যান্য
ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে যা বললেন জামায়াতের আমীর
কোনো বাহবা বা রাজনৈতিক ফায়দার জন্য আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির পাহারা দিচ্ছি না, মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে থাকার জন্য এ কাজে নেমেছি। আপনাদের প্রয়োজনে জাতির প্রয়োজনে যদি কখনো জামায়াতকে অনুভব করেন সেটাই হবে আমাদের শ্রেষ্ঠ উপহার। তখন যেন প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া দিতে পারি। বলেছেন জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশের কোনো জায়গায় জামায়াতে ইসলামী বা ছাত্র সংগঠনে যারা কাজ করেন তারা যদি দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে গিয়ে কিছু করেন তাহলে তিনি হবেন দুর্বৃত্ত। আমাদের সুনির্দিষ্ট করে বলবেন। তখন দেখবেন আমরা কী করি, কী করব সেটাও জানবেন। আমরা সঠিক পথে থাকলে পরিবেশ ও মানুষ সাক্ষ্য দেবে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষভাবে এই পরিস্থিতিতে একটা বিষয়ে সহযোগিতা চাইতে এসেছি, ঢাকাসহ সারাদেশে আমাদের নামে, আমাদের ব্যানারে, আমাদের স্লোগান ব্যবহার করে কোনো দুর্বৃত্ত অপকর্ম করছে কি না তা জানাবেন। যদি কেউ কিছু করে এমন তথ্য জানাবেন। কোনো দুর্বৃত্তকে প্রশ্রয় দেব না, বরং সেই দুর্বৃত্তকে সমুচিত জবাব দিয়ে দেব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহা. দেলাওয়ার হোসেন, মুহা. কামাল হোসাইন ও ড. আবদুল মান্নান প্রমুখ।
এএম/
অন্যান্য
১৩ বছর পর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জামায়াত নেতারা
প্রায় ১৩ বছর ধরে বন্ধ ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়। মগবাজারের কার্যালয়ের পাশাপাশি পুরানা পল্টনে জামায়াতের ঢাকা মহানগরী কার্যালয়ের দশাও ছিল একই। টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হওয়ার পর পাল্টে যায় রাজনৈতিক দৃশ্যপট। স্বস্তি নেমে আসে জামায়াত-বিএনপিসহ দীর্ঘদিন কোণঠাসা হয়ে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর শিবিরে। এরইঅংশ হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজান ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে তারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। এ সময় গেটের সামনে দাঁড়িয়ে একজন উচ্চস্বরে আজান দেন। পরে মোনাজাত করা হয়।