আইন-বিচার
খেলা চলার সময় কন ডমের বিজ্ঞাপন বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ
বিশ্বকাপ খেলা চলাকালে টিভিতে কনডমের বিজ্ঞাপন বন্ধে খেলা প্রচারকারী টি-স্পোর্টস ও জিটিভিকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির দশ সদস্য।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) টি-স্পোর্টসের সিইও ইশতিয়াক সাদিক ও জিটিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আমান আশরাফ ফায়েজকে দশজন আইনজীবীর পক্ষে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল। আইনজীবী আল মামুন রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
লিগ্যাল নোটিশ বলা হয়েছে, বর্তমান সময় আপনারা নোটিশ গ্রহীতাদের প্রচারিত কিছু অপ্রীতিকর বিজ্ঞাপন আমাদের পরিবারসহ খেলা দেখায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবারসহ অথবা অফিস কর্মী বা ছোট-বড় সকল বয়সের খেলা প্রেমীরা মিলে খেলা দেখছি অথবা বিশেষ করে বাংলাদেশের খেলা বা বিশ্বকাপ খেলা দেখার জন্য খেলা প্রেমীরা স্কুল মাঠে বা যেকোনো খোলা ময়দানে বড় প্রজেক্টরে খেলা উপভোগ করি। কিন্তু হঠাৎ কনডমের বিজ্ঞাপন, যেখানে দেশি-বিদেশি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অশালীন শরীর সমাচার। যা আমাদের চরম ভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়, যাহা খুবই দুঃখ জনক ও আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য হুমকি স্বরূপ বটে।
নোটিশে বলা হয়েছে, আমরা বাঙালি জাতি এবং আমাদের একটা বাঙ্গালী সংস্কৃতি রয়েছে, এমনকি আমাদের দেশে সংখ্যা গরিষ্ঠ জনগণ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। বিদেশি সংস্কৃতির অপপ্রয়োগ আমাদের থেকে শুরু করে আমাদের পারিবারিক ব্যবস্থাপনার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলাফল স্বরূপ ক্রিকেট সহ অন্যান্য জনপ্রিয় খেলা হওয়া সত্ত্বেও পরিবারসহ দেখতে আমাদেরই ইতস্ততাবোধ হয়। ভয় হয় কখন এমন বিজ্ঞাপন চোখের সামনে চলে আসে যা দেখার পর পিতা-মাতার সাথে সন্তানের, ভাইয়ের সাথে বোনের চোখ মিলাতে কষ্ট হয়। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা বিরোধী। যা আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
লিগ্যাল নোটিশে আরও বলা হয়, কনডমের বিজ্ঞাপন আমাদের ক্রিকেট প্রেমীদের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন সহ বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য চরম মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সুতরাং উক্ত বিজ্ঞাপন গুলো বাতিলের মাধ্যমে ক্রীড়া প্রেমীদের ইচ্ছাপূরণে আপনাকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায় উপরোল্লিখিত আইন ভঙ্গ ও সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে আপনি এবং আপনার প্রতিষ্ঠান কে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ করা গেলো। অন্যথায় আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ