অপরাধ
কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ নেন, কেউ কাউকে ধরিয়ে দেবেন না
র্যাব পরিচয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ৪৮ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় মূলহোতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে একই অপরাধে একাধিক মামলা।
ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনকারীরাই চক্রটির মূল টার্গেট। ডাকাতির পরিকল্পনা হয় ৪ অক্টোবর। তারা পরস্পর কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ করেছিলেন, কেউ কাউকে ধরিয়ে দেবেন না। এমনকি ডাকাতির টাকায় পরিশোধ করা হয় এনজিওর কিস্তি ও আইনজীবীর ফিসহ ব্যক্তিগত ঋণ। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হলো না। বললেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
রোববার (২২ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
হারুন অর রশীদ জানান, ডাকাতিতে অংশ নেয়া সাতজনকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা এবং ডাকাতির টাকায় কেনা স্বর্ণালঙ্কার। গ্রেপ্তার ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন: মূলহোতা সাগর, আবু ইউসুফ, সবুজ মিয়া ও দিদার মুন্সীসহ আরও তিনজন।
ডিবি প্রধান আরও জানান, গেলো ১০ অক্টোবর বিকেলে খিলক্ষেত থানাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সাদা রংয়ের একটি প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে মেরুন রংয়ের আকেরটি প্রাইভেটকার। গাড়ি থেকে র্যাবের পোশাক পরা পাঁচ থেকে ছয়জন নেমে সাদা প্রাইভেটকারে থাকা দুজনকে হাতকড়া পরিয়ে, চোখ বেঁধে নিজেদের গাড়িতে তোলেন। ব্যাংক থেকে তোলা ৪৮ লাখ টাকাসহ ওই দুই ব্যক্তিকে প্রায় ২৫ মিনিট পর ৩০০ ফিটের বোয়ালিয়া ব্রিজে নামিয়ে তারা কাঞ্চন ব্রিজের দিকে চলে যান।
তিনি জানান, দিনের বেলায় প্রকাশ্যে ফিল্মি কায়দায় এমন ডাকাতির ঘটনা তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, র্যাব পরিচয় দেয়া ডাকাত চক্রটি ঘটনার দিন সকাল থেকেই রাজধানীর উত্তরার আল আরাফা ব্যাংক থেকেই ভুক্তভোগীদের অনুসরণ করছিলেন। টাকা তুলে বের হওয়ার পর ব্যাংকের ভেতরে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা বাইরে থাকা টিমকে জানিয়ে দেন। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে খিলক্ষেত এলাকায় এলে গতিরোধ করে আরেকটি টিম।
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ