রাজশাহী
রাজশাহীতে গভীর রাতে চিকিৎসককে কুপিয়ে হত্যা
রাজশাহীতে গভীর রাতে দুর্বৃত্তের হামলায় গোলাম কাজেম আলী আহমেদ নামে এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিহত হয়েছেন।
রোববার (২৯ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে নগরীর বর্ণালীর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
লক্ষ্মীপুর এলাকায় চেম্বার শেষে রোববার রাত পৌনে ১২টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে বর্ণালীর মোড়ে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
প্রাণ হারানো কাজেম আলী আহমেদ চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তিনি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের (রামেক) এমবিবিএস ৪২তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত রোগী দেখতেন তিনি।
ঘটনার পর রামেক হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার জামিরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘রোববার রাতে নগরীর লক্ষ্মীপুরে অবস্থিত পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন ডা. কাজেম আলী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নগরীর বর্ণালীর মোড়ে পৌঁছলে কয়েকজন অস্ত্রধারী তার পথরোধ করে তার বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।’
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি, তবে ঘটনার পরই হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।’
এদিকে, এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে নগরীর সিটিহাট এলাকা থেকে এক গ্রাম্য চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করে নগরীর শাহমখদুম থানা পুলিশ।
প্রাণ হারানো চিকিৎসক এরশাদ আলী দুলাল নগরীর চন্দ্রিমা থানার পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা। প্রায় ২৫ বছর ধরে এলাকার মোড়ে ওষুধের দোকান পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি।
স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, রাজশাহীর কিস্টগঞ্জ বাইপাস মোড়ে রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুখে কালো কাপড় বাঁধা কয়েকজন ব্যক্তি মাইক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যান দুলালকে। রাত ৮টার দিকে সিটি হাট এলাকায় একটি মরদেহ উদ্ধার হলে সেটি দুলালের বলে শনাক্ত করে পুলিশ।
শাহমখদুম থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি পূর্ব শত্রুতার জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহে যেভাবে আঘাত আছে, তাতে মনে হচ্ছে রক্তক্ষরণেই তিনি মারা গেছেন।’
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ