আওয়ামী লীগ
মাঠে নাই কেউ, অবরোধের নেতৃত্বে কে, প্রশ্ন কাদেরের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আগের অবরোধ কবে শেষ হয়েছে তা মানুষ জানেনা। মির্জা ফখরুল জেলে, আর বাকিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে অবরোধের নেতৃত্ব দেবে কে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় কাদের বলেন, এতো নির্মমভাবে একজন পুলিশকে হত্যা করতে পারে! এটাই বিএনপির আসল রূপ। তারা সাংবাদিকদেরও ছাড়েনি। এমনকি প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও হামলা করেছে। নারীকর্মীদেরও ছাড়েনি, পোশাক ধরে টানাটানি করেছে, গায়ে হাত দিয়েছে। বিএনপি আন্দোলনের নামে এতো অপরাধ করেছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের কেন মারধর করা হলো? এই বিএনপি সাংবাদিক মানিক সাহা থেকে শুরু করে অনেক সাংবাদিককে হত্যা করেছে। যারা নিরপেক্ষ, বিএনপির চোখে তারা ভালো নয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নিশ্চিতভাবে নির্বাচনেও বিজয়ের দিকে যাচ্ছে। দেশে যে অবস্থা আছে তাতে আগামী নির্বাচনেও বিপুলভাবে বিজয়ী হবে আওয়ামী লীগ। তবে বিএনপি আরও ঘৃণ্য, জঘন্যভাবে আসবে। তাদের একমাত্র হাতিয়ার সহিংসতা।
আওয়ামী লীগ শান্তিপূ্র্ণ অবস্থানে থাকবে, সতর্ক থাকবে জানিয়ে কাদের বলেন, বিএনপি অবরোধের কর্মসূচি দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে যাবে না। বরাবরের মতোই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শান্তি সমাবেশ করবে। অবরোধের নামে বিএনপি যাতে উন্নয়ন স্থাপনা নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, কাউকে বাদ দিয়ে সরকারের নির্বাচনের পরিকল্পনা নেই। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। কে নির্বাচনে এলো, কে এলো না সেটা সরকারের বিষয় নয়।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায় না, তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়। নির্বাচন চাইলে বিএনপি এমন সহিংসতা করতো না। নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দেবে কারো জন্য বসে থাকবে না। আওয়ামী লীগ প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চায়, বড় দল হিসেবে বিএনপির অংশগ্রহণ চায়।
উল্লেখ্য, সোমবারের যৌথ সভায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, ঢাকা মহানগর উত্তর- দক্ষিণের সংসদ সদস্য এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/