রাজশাহী
জামায়াত ও বিএনপির ঝটিকা মিছিল, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ
পাবনার ঈশ্বরদীতে জামায়াতে ইসলাম এবং বিএনপি সমর্থিত নেতা কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু করে উপজেলা শহরের রেলগেট ও স্টেশন রোডে বিএনপি এবং দাশুড়িয়া বাজার ও ট্রাফিক মোড় এলাকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার নেতা কর্মীরা ঝটিকা মিছিল ও অবস্থান ধর্মঘট করেছে।
এ সময় ঈশ্বরদী শহরের প্রাণকেন্দ্র রেলগেটের পশ্চিমপাড়ে সকাল সোয়া ৬ টায় সিএনজি চালিত পাঁচটি অটোরিকশা ভাংচুর করে বিএনপি সমর্থিত নেতা কর্মীরা। পরে পুলিশের ধাওয়ায় নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের একটি ঝটিকা মিছিল শহরের পশ্চিমটেংরী কাচারি পাড়া এলাকা থেকে শুরু করে রেলগেট ও স্টেশন রোড প্রদক্ষিণ করে। এসময় থাকা লোহার রড, পাইপ এবং বাঁশের লাঠি হাতে তারা রেলগেটের আশপাশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিলবোর্ড ও ফেস্টুন ভেঙ্গে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পরে পুলিশ মিছিলকারীদের ধাওয়া দিলে পালিয়ে যাওয়ার সময় রেলগেটের পশ্চিমপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পাঁচটি অটোরিকশা ভাংচুর করে।
অপরদিকে ঈশ্বরদী উপজেলা শাখা জামায়াতের উদ্যোগে দাশুড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা হয়। ঈশ্বরদী উপজেলা শাখা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে দাশুড়িয়া বাজার থেকে শুরু হয়ে দাশুড়িয়ার ট্রাফিক মোড় গোল চত্তরে এসে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়।
ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, আওয়ামীলীগ সমর্থিত নেতা কর্মীরা এলাকা ভেদে দলবদ্ধ হয়ে রাস্তার মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছে। বিএনপি জামায়াত যেন কোন রকম নৈরাজ্য তৈরী করতে না পারে সেজন্য তারা হাতে লাঠি, পাইপ নিয়ে অবস্থানের পাশাপাশি মোটর সাইকেল টহল অব্যাহত রেখেছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, সকালে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। এখন শহরের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ