অন্যান্য
সবজির দাম কিছুটা কমেছে, চড়া পেঁয়াজ-আলু
কাওরান বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ও পটল ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ধুন্দল, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, শশা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। টমেটোর কেজি ১২০ টাকা। বেগুন ৬০ থেকে ৭০, কপি ৪০, মূলা ৫০, গাজর ১০০। লাগামহীন গতিতে ছুটছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম। বাড়তে বাড়তে দেশি পেঁয়াজের কেজি গিয়ে ঠেকেছে ১৪০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। এর সঙ্গে চড়ছে আলুর দামও। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর কাওরান বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, আলু-পেঁয়াজের দাম নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রেতা- বিক্রেতারা উভয়েই। তারা ক্রেতাদের বোঝাতে গিয়ে মেজাজ হারাচ্ছেন। এ ছাড়া পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা ভারতের রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কায়নের কথা বললেও ক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, শিম ১২০ টাকা, পটল ৬০, করলা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স কেজি ৬০ টাকা, গোল বেগুন কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, গাজর ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৮০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ৮০ টাকা এবং কচুর লতি প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কাওরান বাজারে কিছু সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা কম।
পেঁয়াজ কিনতে আসা নাসরিন বেগম বলেন, ১ টাকাও আয় বাড়েনি। অথচ খরচ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। আগে যেখানে ২ কেজি সবজি লাগত, বাধ্য হয়ে সেখানে ১ কেজিতেই চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে।
এক খুচরা বিক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, কোল্ড স্টোরেজে প্রচুর পরিমাণে আলু মজুত রয়েছে। সরকার তাদের ধরেন না কেন? তারা কেন বড় বড় ব্যবসায়ীদের ধরেন না? তারাই তো আলু মজুত করে বসে আছেন।
কাওরান বাজারের এক মুদির দোকানি জানান, আড়ত মালিকরা সাধারণ ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে বেশি দামে আলু-পেঁয়াজ বিক্রি করছে। তাদের কাছে দোকানিদের বকেয়া থাকায় নির্ধারিত দামে না কিনলে মালপত্র না দেয়ার হুমকিও দিচ্ছে। ফলে ব্যবসার স্বার্থে বেশি দামে আলু-পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে এবং বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
প্রায় দেড় মাস আগে আলু, দেশি পেঁয়াজ ও ডিমের দামে যখন অস্থিরতা দেখা দেয়, তখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই তিনটি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছিল।
কিন্তু নির্ধারিত সেই দামে তো দূরে্র কথা, এখন আলু ও পেঁয়াজ দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
সরকার খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা। আর পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা।
তাজুল ইসলাম হাতিরপুল বাজারে আলু, পেঁয়াজ বিক্রি করেন। তিনি বলেন, “আজকে পাইকারি দেশি পেঁয়াজ কিনেছি ১৩৬ টাকা, ১৪০ টাকার নিচে আমরা বিক্রি না করলে লাভ থাকে না।”
মাহমুদা আক্তার নয়াটোলা আমবাগান থেকে আধাকেজি আলু ৩০ টাকা ও ৩০০ গ্রাম শিম ৩০ টাকা দিয়ে কেনেন। তিনি বলেন, “আমাদের সংসার চালাতে অসুবিধা হয়। দাম কম থাকলে ১ কেজি আলু কিনতাম।”
উল্লেখ্য, রাজধানীর অন্যতম প্রাণকেন্দ্র কারওয়ান বাজার এলাকার পাশেই সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) অফিস। সংস্থাটি নিয়মিত বাজার তদারকি করে থাকেন। এর পরেও কারওয়ান বাজারেই সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
অন্যান্য
শিক্ষকদের আন্দোলনের কোনো যুক্তি নেই: অর্থমন্ত্রী
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন অযৌক্তিক। শিক্ষকদের আন্দোলনের কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না। বললেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দক্ষিণ, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াংমিং ইয়ংয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেনম প্রত্যাশার চেয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বেশি সহায়তা করছে।
এদিকে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন একাডেমিক কাজ করতে আসা শিক্ষার্থীরা।
আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগেই খোলা হয়নি তালা। বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম। একই অবস্থা প্রশাসনিক ভবনেও। কিছু কিছু কক্ষের দরজা খোলা হলেও বন্ধ রয়েছে কার্যক্রম। ফলে জরুরি কাজে মার্কশিট, সার্টিফিকেট ইত্যাদি তুলতে আসা শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
গেলো ২৫ থেকে ২৭ জুন তিনদিনের অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শাবি শিক্ষকরা। দাবি আদায় না হওয়ায় গেলো ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন এবং ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। একই দাবি আদায়ে তিনদিনের কর্মবিরতির ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
টিআর/
অন্যান্য
এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ৩ টাকা কমেছে। ১২ কেজির দাম ১ হাজার ৩৬৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এই দাম মে মাসের তুলনায় জুনে ৩০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৩ টায় এক মাসের জন্য এলপিজির এই নতুন দাম ঘোষণা করা হয়।
এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে এতে বলা হয়, সৌদি আরামকো ঘোষিত চলতি মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী চলতি (জুলাই) মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির দাম সমন্বয় সম্পর্কে বিইআরসির নির্দেশনা ঘোষণা করা হবে।
বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন জানান, ১২ কেজির এলপিজির দাম ১ হাজার ৩৬৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে টানা ৮ মাস বাড়ার পর গেলো এপ্রিল মাসে কমেছিলো এলপি গ্যাসের দাম। সেই ধারাবাহিকতায় গেলো মে ও জুন মাসেও কমে এলপিজির দাম।
টিআর/
অন্যান্য
এলপিজির দাম কমছে নাকি বাড়ছে, জানা যাবে আজ
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম জুলাই মাসে বাড়ছে নাকি কমছে, তা জানা যাবে আজ। মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করা হবে।
সোমবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এ দিন বিকেল ৩টায় সৌদি আরামকো ঘোষিত চলতি মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী চলতি (জুলাই) মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির দাম সমন্বয় সম্পর্কে বিইআরসির নির্দেশনা ঘোষণা করা হবে।
এর আগে কয়েক দফায় বাড়ানো হয় এলিজির দাম। পরে গত ৩ এপ্রিল ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারে মূল্য ৪০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৪৪২ টাকা। এরপর ২ মে আরও ৪৯ টাকা কমিয়ে কমিয়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ধরা হয় ১ হাজার ৩৯৩ টাকা। সবশেষ গত ৩ জুন ৩০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।
টিআর/