অপরাধ
অবরোধের ৩০ ঘণ্টায় ১৮ যানবাহনে আগুন : ফায়ার সার্ভিস
বিএনপির ডাকা দ্বিতীয়বারের অবরোধ কর্মসূচি চলছে। রোববার (৫ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি শুরু হয়। শেষ হবে আগামী মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ভোর ৬টায়। এ অবরোধে সমর্থন জানিয়ে দলটির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্য দলগুলোও। এদিকে জামায়াতে ইসলামীও আলাদা করে ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
অবরোধের শুরুর দিন রোববার ভোর ৪ টা থেকে সোমবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত ৩০ ঘন্টায় মোট ১৮ টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ১০টি, ঢাকা বিভাগে (গাজীপুর, কালিয়াকৈর, নারায়ণগঞ্জ) ৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে (খাগড়াছড়ি, আনোয়ারা, পটিয়া) ৪টি ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনায় ১৩টি বাস, দুটি ট্রাক, একটি প্রাইভেটকার, একটি সিএনজি, একটি লেগুনা পুড়ে যায়। এই ১৮টি অগ্নিকাণ্ড নির্বাপণ করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৩৬টি ইউনিট ও ২১৬ জন কর্মী কাজ করে।
আগুনের ঘটনাগুলো হলো
১. ভোর ৪ টা সাদ্দামমার্কেট, মাতুয়াইল, ডেমরা, ঢাকা, বাসে আগুন
২. ভোর ৪ টা জুরাইন বালুর মাঠ, শ্যামপুর, ঢাকা, তুরাগ বাসে আগুন
৩. সকাল ৫ টা ১৭ মিনিটে মিরপুর-৬, ঢাকা, বাসে আগুন
৪. সকাল ৬ টা ২৪ মিনিটে ভোগরা, গাজীপুর, বাসে আগুন।
৫. সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটে জিরোমাইল, খাগড়াছড়ি সদর, ১টি মিনি ট্রাকে আগুন
৬. বিকেল ৩ টা ৪২ মিনিটে বাংলা কলেজের সামনে মিরপুর, ঢাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস (চৈতালি) আগুন।
৭. সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় বাংলামোটর মোড়, বাসে আগুন
৮. সন্ধ্যা ৬ টা ৫৮ মিনিটে মিরপুর ১২, পল্লবী, শিকড় পরিবহন বাসে আগুন
৯. রাত ১০ টা ১৫ মিনিটে নীলক্ষেত মোড় নিউমার্কেট প্রাইভেট কারে আগুন
১০. ১০ মিনিটে ২৫ মিনিটে বায়েজিদ চট্টগ্রাম, টাউন সার্ভিস পরিবহন বাসে আগুন
১১. সাড়ে ১১টায় হাজারীবাগ, সেন্ট্রাল লাইন ট্রান্সপোর্ট বাসে আগুন
১২. রাত ১২ টা ৩৬ মিনিটে জুরাইন পোস্তাগোলা, ঢাকা, বাংলাদেশ বিমান স্টাফ বাসে আগুন
১৩. রাত ১ টা ২৭ মিনিটে মুগদা সিএনজি পাম্পের সামনে ১টি লেগুনাতে আগুন
১৪. রাত ২ টা ১১ মিনিটে গাজীপুর, কদমতলী, বিআইডিসি রোড, বাসে আগুন
১৫. ভোর ৫ টা ৫ মিনিটে চৌমুহনী আনোয়ারা, চট্টগ্রাম, বাসে আগুন
১৬. ভোর ৫ টা ১৮ মিনিটে সফিপুর ওভার ব্রিজের নিচে কালিয়াকৈর পরিবহন বাসে আগুন
১৭. ভোর ৫ টা ৪৫ মিনিটে পটিয়া পৌরসভার, চট্টগ্রাম সিএনজিতে আগুন।
১৮. ভোর ৫ টা ৪৮ মিনিটে খোকা কমিউনিটি সেন্টার, বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশে ট্রাকে আগুন
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ