Connect with us

আওয়ামী লীগ

‘তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে’

Avatar of author

Published

on

ওবায়দুল-কাদের

আগুন সন্ত্রাসসহ দেশের মধ্যে প্রপাগান্ডার নির্দেশনা দেয়ার অপরাধে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। জানালেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

সোমবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের অফিস পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত অবরোধের নামে যে আগুনসন্ত্রাস করছে তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এদেশে কালো মেঘ আসে আবার চলে যায়। জনগণের কাছে পারমাণবিক শক্তিও টিকে না। উদ্বেগ থাকবে, তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা একটি চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। রাশিয়া ইউক্রেনসহ কয়েকটি দেশে যুদ্ধ চলছে। সারা পৃথিবীতে যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে। এ প্রভাবেও আমরা আছি। এ কারণে বাংলাদেশ কোনো অপরাধ না করেও যুদ্ধের কারণের কষ্ট পাচ্ছে। দেশের মধ্যে দ্রব্যমূল্য যে অবস্থা এ কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা মাঝেমাঝে বিদেশে যান সাহায্য সহযোগিতা চান। তিনি কিছু আনার জন্যই বিদেশে যান। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। এই দুঃসময়ে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা মতো আমাদের দেশের একটি রাজনৈতিক দল আন্দোলন করছে আগুন সন্ত্রাস করছে। দলটি ব্যর্থ হয়ে বারবার অতীতের মতো আগুনসন্ত্রাস করছে। এ দলটির দেশের জন্য সামান্যতম ভালোবাসা নেই। তাদের উদ্দেশ্য যেকোনো উপায় ক্ষমতায় গিয়ে লুটপাট করা।’

Advertisement

২৮ অক্টোবরের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত ২৮ তারিখে একজন পুলিশ সদস্য পিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বিএনপি। এটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায়। এমনকি তারা ৩০ জন সাংবাদিককে মারধর করেছে, প্রধান বিচারকের বাসায় হামলা করেছে।’

আওয়ামী লীগের এ নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপি উল্লাপাড়ার এক পাগলকে ধরে এনে জো বাইডেনের বন্ধু বানিয়ে দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আন্দোলনের নামে প্রতারণার নাটক যারা করে তাদের হাতে এদেশ কখনো নিরাপদ নয়। তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।’

তিনি বলেন, বিএনপি বলেছিল আওয়ামী লীগ পালাবার পথ খুঁজে পাবে না। কিন্তু এখন বিএনপিই পালাবার অলিগলি খুঁজে পাচ্ছে না। ২৮ তারিখে আমরা দেখলাম মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নেতারা অলিগলি দিয়ে পালিয়ে গেল তাদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা তোড়া বোড়া পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিবৃতির কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিবৃতিতে ভুল আছে ঘাটতি আছে। তারা হয়তো সঠিক তথ্য পাননি। তারা বলছেন, বিএনপির আট হাজার নেতাকর্মী আটক করেছে। কিন্তু পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করা হবে, কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করবে, আগুন সন্ত্রাস করবে তাদের আইনের আওতায় আনা যাবে না?’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন চোরাগোপ্তা হামলা শুরু করেছে। এজন্য নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। এখন থেকে শুরু করে নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকতে হবে। চোরাগোপ্তা হামলা নিয়ে ভয় পাবেন না, আতঙ্কিত হবেন না।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। যারা প্রতিদিন আগুন সন্ত্রাস করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। কিন্তু আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে যেন কোনো নিরীহ, নিরপরাধ মানুষকে গ্রেপ্তার করা না হয়। যারা আগুনসন্ত্রাস করে তাদেরকে গ্রপ্তার করতে হবে। তাদের বিচার করতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা আবারও ক্ষমতা আসব। জনগণের সমর্থন নিয়ে আমরা এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। শেখ হাসিনা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব অপশক্তি প্রতিহত করব।’

 

Advertisement

আওয়ামী লীগ

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়

Published

on

এবার  শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।

জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।

এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন  শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।

প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়

Published

on

আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’

Advertisement

বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আওয়ামী লীগ

ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক

Published

on

সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷

নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷

Advertisement

তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it