বাংলাদেশ
বাম ভাইদের হরতালে প্রচন্ড ট্রাফিক জ্যাম ছিল: তথ্যমন্ত্রী
বাম ভাইদের হরতালের সময় গতকাল ঢাকা শহরে প্রচন্ড ট্রাফিক জ্যাম ছিল। বাম ভাইদের আমি সম্মান করি, কারণ তারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। কিন্তু তারা কেন হরতাল করে জনগণের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি করলেন সেটাই আমার প্রশ্ন। বললেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ।
আজ মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছেন। এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড মানে পাঁচ কোটি মানুষ। বাজারে দ্রব্য মূল্যও কমে গেছে। দ্রব্য মূল্য কমায় জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। জনগণের মধ্যে যখন স্বস্তি ফিরে এসেছে তখন বিএনপির অস্বস্তি বেড়ে গেছে। তারা সেজন্য বাম-ভাইদের দিয়ে হরতাল ডাকালেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনার কারণে এবং ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কিছু কিছু পণ্যের মূল্য যখন বৃদ্ধি পায়, তখন বিএনপি সারাদেশে নানা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। এক্ষেত্রে তারা দ্বীচারিতা নীতি অবলম্বন করেছে। একদিকে মজুদদার ও অসাধু ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিয়েছে পণ্য মজুদ করার জন্য এবং পণ্যের মূল্য বাড়ানোর জন্য, অন্যদিকে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য কর্মসূচি দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিএনপি সারাদেশে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। বিএনপির কাজটাই হচ্ছে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো। আপনারা দেখেছেন যখন পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয় তখন বিএনপি বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। ছেলেধরা গুজব ছড়িয়েছিল। এই পদ্মাসেতু করতে পারবেনা বলে তারা নানা ধরণের বিভ্রান্ত ছড়িয়েছিল। আজকে পদ্মাসেতু হয়ে গেছে, উদ্বোধনের অপেক্ষায়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে এপার থেকে ওপারে গেছেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীর ১৩০টি দেশ যখন করোনার টিকা দেওয়া শুরু করতে পারেনি, তখন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা টিকা দেয়া শুরু করলো। করোনার প্রথম, ২য় এবং ৩য় ঢেউ তিনি যেভাবে মোকাবেলা করেছেন এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রশংসা করেছেন। জাতিসংঘ প্রশংসা করেছেন, পৃথিবীর নেতৃবৃন্দ প্রশংসা করছেন। কিন্তু বিএনপি প্রশংসা না করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। তারা এই টিকা না নেওয়ার জন্য মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পরে নিজেরাই গোপনে টিকা নিয়েছে। লজ্জা শরম ভেঙে কেউ কেউ জনসম্মুখেও টিকা নিয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে প্রকৃতপক্ষে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায়না। বিএনপি আছে শুধু টেলিভিশনের পর্দায়। টেলিভিশনের সাংবাদিকরাই মূলত বিএনপিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। বিএনপিকে টেলিভিশন ছাড়া কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। মাঝেমধ্যে দুয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সমাবেশে আবার নিজেরা নিজেরা মারামারি করে।
এসআই/
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ