বাংলাদেশ
২০২২ কাতার বিশ্বকাপ : ৩২ হতে বাকি আর পাঁচ
২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের পর্দা উন্মোচন হবে আগামী ২১ নভেম্বর কাতারের রাজধানী দোহা সিটির আল বাইত স্টেডিয়ামে। ৩২টি দলের মেগা এই টুর্নামেন্টে চলছে যোগ্যতা অর্জনের লড়াই। যেখানে স্বাগতিক কাতারসহ ইতোমধ্যে ২৭টি দল কাতার বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার টিকিট করেছে। বাকি আছে আর ৫টি দল।
আগামী ১ এপ্রিল (শুক্রবার) কাতারের দোহায় হবে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র। বাছাইপর্বে রোমাঞ্চ-উত্তেজনার নানা ধাপ পেরিয়ে মূল টুর্নামেন্টে খেলা নিশ্চিত করেছে অধিকাংশ দল। বহুল প্রতীক্ষার প্রহর শেষে অনেকে ফিরেছে বৈশ্বিক আসরে। হেভিওয়েট কেউ কেউ আবার বাদ পড়েছে বাছাই ম্যাচে। বাছাইপর্বে প্লে-অফের ফাইনাল নিশ্চিত করা ওয়েলশ অপেক্ষায় আছে কাতার বিশ্বআসরের টিকিট। সেক্ষেত্রে স্কটল্যান্ড আর ইউক্রেনের মধ্যকার জয়ী দলের সঙ্গে লড়বে ওয়েলশ। যে দল জিততে, তারাই উঠবে কাতারগামী বিমানে।
লাতিন আমেরিকা থেকে চারটি দল সরাসরি বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছে। তারা হলো ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর এবং উরুগুয়ে। আর পঞ্চম দল হিসেবে প্লে-অফের অপেক্ষায় আছে প্যারাগুয়ে। তারা কাতারের টিকিটের জন্য লড়বে এশিয়া অঞ্চলের প্লে-অফ খেলা দলের সঙ্গে। যেখান তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া অথবা সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আফ্রিকা অঞ্চল থেকে টিকিট পাওয়া পাঁচটি দল হলো- ঘানা, সেনেগাল, মরক্কো, তিউনিসিয়া, ক্যামেরুন। এছাড়া এশিয়া থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, জাপান আর সৌদি আরব। কনকাকাফ থেকে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ খেলার টিকিট পেয়েছে কানাডা। যারা এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে তাদের এ পর্যন্ত আসার চিত্র এবং সামনে যাদের সম্ভাবনা আছে তাদের সমীকরণ তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।
স্বাগতিক কাতার :
বরাবরের মতো আয়োজকদের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের বিষয়ে ভাবতে হচ্ছে না। স্বয়ংক্রিয়ভাবে টুর্নামেন্টে জায়গা করে নিয়েছে কাতার। ২০১৯ সালে প্রথমবার এশিয়ান কাপ জেতার দেশটি এই প্রথম খেলবে বৈশ্বিক আসরে।
ইউরোপ :
বিশ্বকাপ নিশ্চিত যাদের: জার্মানি, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া, স্পেন, সার্বিয়া, ইংল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, পোল্যান্ড
ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ে ১০ গ্রুপের শীর্ষ ১০ দল সরাসরি পায় কাতারের টিকেট। সম্ভাব্য ৩০ পয়েন্টের মধ্যে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম দুই দল হিসেবে বিশ্বকাপে জায়গায় পাকা করে জার্মানি ও ডেনমার্ক। অপরাজিত থেকে বাছাই শেষ করে সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও ইংল্যান্ড।
১০ গ্রুপের রানার্সআপ ও নেশন্স লিগের সেরা দুই গ্রুপ জয়ী মিলে ১২ দলের প্লে-অফে জিতে ইউরোপ থেকে আরো তিনটি দল থাকবে কাতারে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাতে নিশ্চিত হয়েছে তার মধ্যে দুটি।
প্লে-অফ ফাইনালে নর্থ মেসিডোনিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। আরেক প্লে-অফ ফাইনালে সুইডেনকে একই ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় রবের্ত লেভানদোভস্কির পোল্যান্ড। সুইডেনের ৪০ বছর বয়সী এসি মিলান তারকা জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচকে হয়তো আর বিশ্ব মঞ্চে দেখা যাবে না।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ইউক্রেনের স্থগিত হওয়া প্লে-অফ সেমি-ফাইনাল হবে জুনে। তাদের মধ্যে জয়ী দলের বিপক্ষে প্লে-অফ ফাইনালে খেলবে ওয়েলস। সেখানে জয়ী দল হবে বিশ্বকাপে যাওয়া ইউরোপের ১৩ নম্বর দল।
প্লে-অফ সেমি-ফাইনালে নর্থ মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে হেরে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে যেতে না পারার বিষাদ সঙ্গী হয় চারবারের শিরোপা জয়ী ও বর্তমান ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন ইতালির।
আফ্রিকা থেকে বিশ্বকাপ যাদের নিশ্চিত : ঘানা, সেনেগাল, মরক্কো, তিউনিসিয়া, ক্যামেরুন।
আফ্রিকা অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে যায় পাঁচ দল। সবগুলো দলই নির্ধারণ হয় মঙ্গলবার রাতে প্লে-অফের ফিরতি লেগ শেষে। প্রথম লেগে গোলশূন্য সমতার পর ফিরতি লেগে নাইজেরিয়ার মাঠে ১-১ গোলে ড্র করে ঘানা। অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে কাতারের টিকেট পায় তারা।
দুই লেগ মিলিয়ে ১-১ সমতার পর টাইব্রেকারে মোহামেদ সালাহর মিশরকে ৩-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে জায়গা পাকা করে সাদিও মানের সেনেগাল। গত মাসে আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালেও মিশরকে পেনাল্টি শুটআউটে হারিয়ে প্রথমবার প্রতিযোগিতাটির শিরোপা জিতেছিল তারা।
দুই লেগ মিলিয়ে কঙ্গোকে ৫-২ গোলে হারিয়ে মরক্কো নিশ্চিত করে বিশ্বকাপে খেলা। মালির প্রথমবার বিশ্ব মঞ্চে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি এবারও। ফিরতি লেগে তিউনিসিয়ার মাঠে গোলশূন্য ড্র করে তারা। প্রথম লেগে ১-০ গোলে জেতা তিউনিসিয়া ষষ্ঠবারের মতো ওঠে বিশ্বকাপে।
এই অঞ্চলের শেষ দল হিসেবে কাতারের টিকেট পায় ক্যামেরুন। প্রথম লেগে তাদের মাঠে ১-০ গোলে জিতে আসা আলজেরিয়া ফিরতি পর্বে হেরে যায় ২-১ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন ২-২ থাকায় অ্যাওয়ে গোল বেশি করায় অষ্টমবারের মতো মূল পর্বে পা রাখে ক্যামেরুন।
এশিয়া অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত যাদের: দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, জাপান, সৌদি আরব।
এশিয়া অঞ্চলের বাছাইয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের পর ১২ দলকে ভাগ করা হয় দুই গ্রুপে। দুই গ্রুপের শীর্ষ দুটি করে দল সরাসরি বিশ্বকাপে ওঠে। তৃতীয় হওয়া দুই দল নিজেদের মধ্যে খেলার পর বিজয়ী দল আরেকটি প্লে-অফে লড়বে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের পঞ্চম দলের সঙ্গে।
এ’গ্রুপের শীর্ষ দুইয়ে থেকে কাতারের টিকেট নিশ্চিত করেছে ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়া। বি’গ্রুপ থেকে বিশ্বকাপে উঠেছে জাপান ও সৌদি আরব। দুই গ্রুপের তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও অস্ট্রেলিয়া। আগামী জুনে হবে প্লে-অফ।
উত্তর আমেরিকা বা কনকাকাফ থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়েছে কানাডা’র। এই অঞ্চল থেকে বাছাইয়ে তৃতীয় রাউন্ডের পয়েন্ট টেবিলের উপরের তিনটি দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে। এক ম্যাচ বাকি থাকতে কাতারের টিকেট নিশ্চিত করেছে কানাডা। ৩৬ বছর পর দেশটিকে দেখা যাবে বিশ্বকাপের মঞ্চে। কানাডার সঙ্গী হওয়ার পথে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। শেষ রাউন্ডের আগে দুই দলেরই পয়েন্ট ২৫। ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কানাডা।
২২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থাকা কোস্টা রিকার সম্ভাবনাও বেঁচে আছে কাগজে-কলমে। শেষ রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে তারা খেলবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে, দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে জয়ের পাশাপাশি গোল পার্থক্যে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আছে অনেকটা। একই দিন মেক্সিকোর প্রতিপক্ষ আগেই বিদায় নেওয়া এল সালভাদর।
পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ দলকে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফ খেলতে হবে ওশেনিয়া অঞ্চলের নিউজিল্যান্ড অথবা সলোমন আইসল্যান্ডের বিপক্ষে।
ওশেনিয়া :
একমাত্র এই অঞ্চল থেকেই সরাসরি বিশ্বকাপের টিকেট পায় না কেউ। তাদের বাছাইপর্ব পৌঁছেছে শেষ পর্যায়ে। আজ বুধবার (৩০ মার্চ) ফাইনালে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড ও সলোমন আইসল্যান্ড। এই ম্যাচের জয়ী দল প্লে-অফে খেলবে কনকাকাফ অঞ্চলে চতুর্থ স্থানে থাকা দলের বিপক্ষে। ম্যাচটি আগামী জুনে হবে কাতারে। জয়ী দল খেলবে বিশ্বকাপে।
সংক্ষেপে দেখে নেওয়া যাক এখন পর্যন্ত কাতার বিশ্বকাপে অংগ্রহণ নিশ্চিত করা দলগুলো :
স্বাগতিক : কাতার।
ইউরোপ : জার্মানি, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া, স্পেন, সার্বিয়া, ইংল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড ও পর্তুগাল।
দক্ষিণ আমেরিকা : ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর ও উরুগুয়ে।
এশিয়া : দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, জাপান ও সৌদি আরব।
আফ্রিকা : সেনেগাল, ক্যামেরুন, ঘানা, মরক্কো ও তিউনিসিয়া।
উত্তর আমেরিকা : কানাডা।
হাসিব মোহাম্মদ
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ