উত্তর আমেরিকা
মার্কিন সিনেটের সিদ্ধান্তে ঘুম হারাম ইসরায়েলিদের!
ইসরায়েলিদের জন্য দুসংবাদ! দুশ্চিন্তায় ঘুম হারাম বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের। হামাস যোদ্ধাদের মোকাবিলায় তারা মার্কিন সহায়তা পাচ্ছে না। ইসরায়েলের সহায়তায় মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে পাস করা একটি বিল সিনেট ঠেকিয়ে দেওয়ায় চোখে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে নেতানিয়াহু সরকার।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের মধ্যেই ওই বিল আটকে দিলেন সিনেটের ডেমোক্র্যাট দলীয় সদস্যরা। মঙ্গলবার সিনেটে ওই বিল উত্থাপিত হলে ডেমোক্র্যাট সদস্যদের বাধার মুখে আলোরন মুখ দেখতে পারলো না।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের সহায়তায় এক হাজার ৪৩০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা দিতে একটি বিল পাস করে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ। রিপাবলিকানদের আনা ওই বিলে স্বল্প-পাল্লার রকেট হামলা মোকাবিলায় আয়রন ডোম ও ডেভিড স্লিং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনতে চারশ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। গত সপ্তাহে পাস হওয়া ওই বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ২২৬টি। অন্যদিকে, বিপক্ষে ভোট দেন ১৯৬ জন সদস্য।
দুই কক্ষ বিশিষ্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ নিয়ন্ত্রণ করেন সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান সদস্যরা। তবে উচ্চকক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সংখ্যাগরিষ্ট ডেমোক্র্যাটদের হাতে। যুক্তরাষ্ট্রে কোনো বিল আইনে পরিণত হতে হলে এই দুই কক্ষের অনুমোদন ছাড়াও প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সইয়ের প্রয়োজন হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্র্যাট দলীয় সরকা্র ক্ষমতায়।তারপরও ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট দলীয় সদস্যদের বিল আটকে দেয়ার কারণ হলো-রুশ বাহিনীর মোকাবিলায় ইউক্রেনের জন্য ওই বিলে কোনো অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়নি। একারণে রিপাবলিকানদের ওই প্রস্তাব ভালভাবে নেননি ডেমোক্র্যা্টরা। সিনেটে গিয়ে বিলটি ডেমোক্র্যাটদের বিরোধিতার মুখে পড়বে বলে আগেই সতর্ক করেছিলেন অনেকে। এবার তাদের কথাই সত্য হলো।
তবে রিপাবলিকান সিনেটর রজার মার্শাল বলেন, সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য ইসরায়েলের জন্য এই জরুরি সহায়তা অনুমোদনে সিনেটের একদম দেরি করা উচিত হবে না। ইসরায়েলের পাশাপাশি ইউক্রেনকে অর্থ সহায়তা দেওয়ার পক্ষে ডেমোক্র্যাটরা। তাই রিপাবলিকানদের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ইসরায়েলের পাশাপাশি ইউক্রেনকে অর্থ সহায়তা দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।অবশ্য হোয়াইট হাউস আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, প্রতিনিধি পরিষদে পাস হলেও এই বিলে ভেটো দেবেন বাইডেন, যিনি নিজেও একজন ডেমোক্র্যাট নেতা।
এ ছাড়া মানবিক সহায়তা, সীমান্ত নিরাপত্তা তহবিল এবং চীনকে মোকাবিলার জন্য ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ১০৬ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তার একটি প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে পাঠিয়েছেন বাইডেন।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত : মার্কিন মুখপাত্র
অন্তর্বর্তী সরকার এবং ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শপথ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিলার বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ একটি শুভ দিন। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস সবেমাত্র বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র এ সরকারকে অভিননন্দ জানিয়েছে কি না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স আজ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের জন্য ড. ইউনুসের আহ্বানকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, এসময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের যোগাযোগ হয়েছে বলেও জানান ম্যাথিউ মিলার। তবে কোন বিষয়ে যোগাযোগ হয়েছে তিনি সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেন নি।
আই/এ
উত্তর আমেরিকা
গাজার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীকে চাপ দিলেন কামলা হ্যারিস
গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ প্রয়োগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামলা হ্যারিস।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ( ২৫ জুলাই) হোয়াইট হাউজে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ বিষয়ে নেতানিয়াহুকে চাপ প্রয়োগ করেন। এর মধ্য দিয়ে কামলা প্রেসিডেন্ট হলে ইসরাইল ইস্যুতে কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে পরিবর্তন আনবেন তা স্পষ্ট হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কামলা বলেন, ‘ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। কিন্তু সেটি কীভাবে করা হচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘আমি গাজায় ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আমার উৎকণ্ঠা জানিয়েছে। আমি চুপ করে থাকব না।’
হ্যারিসের এই তীক্ষ্ণ ও জোরালো মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি কিভাবে নেতানিয়াহুকে মোকাবেলা করছেন সে বিষয়ে বাইডেনের সঙ্গে তার পার্থক্য পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।
এর কয়েক ঘন্টা আগে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউজে বৈঠক করেন। গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর বাইডেনের ইসরাইলে সফর শেষে এটিই নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার প্রথম মুখোমুখি আলোচনা। এই আলোচনায় গাজায় ৯ মাস ধরে চলা সংঘাতে একটি যুদ্ধবিরতির জন্য নেতানিয়াহুকে চাপ দেন বাইডেন।
এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এখনও ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে ব্যবধান রয়ে গেছে তবে আমরা আগের চেয়ে এখন চুক্তির কাছাকাছি আছি। যা আগে কখনও ছিলাম না।
নেতানিয়াহুর এই সফর এমন সময় হলো যখন মার্কিন রাজনীতিতে পরিবর্তন এসেছে। রোববার ( ২১ জুলাই) ৮১ বছরের বাইডেন ডেমোক্র্যাটদের চাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এবং দলের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট মনোনয়নের জন্য হ্যারিসকে সমর্থন করেন।
জেএইচ
উত্তর আমেরিকা
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌঁড়ে ‘শেষ পর্যন্ত’ থাকছেন বাইডেন
২০২৪ সালের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে জো বাইডেন সরে যাচ্ছেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনী দৌঁড় থেকে কেউ তাকে বাইরে ঠেলে দিচ্ছে না। তিনি দলের মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। সব চাপ উপেক্ষা করে লড়াইয়ে ‘শেষ পর্যন্ত’ থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমেরিকার এই প্রেসিডেন্ট।
স্থানীয় সময় বুধবার (৩ জুলাই) ডেমোক্রেটিক দলের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে থাকা কিছু কর্তা ব্যক্তির সঙ্গে এক ফোনালাপে তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
জো বাইডেন গেলো সপ্তাহে তার দুর্বল বিতর্কের জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। নির্বাচনী দৌঁড় থেকে সরে যেতে তার ওপর চাপ কার্যত বেড়েই চলেছে। এমনকি নিজের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতর থেকেও চাপের মুখে পড়েছেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতেই বাইডেনের এই ফোনকল।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার তার প্রচারণা কর্মীদের সঙ্গে ফোন কলে কথা বলেন এবং ডেমোক্র্যাটিক আইন প্রণেতা ও গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসময় আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আসন্ন এই নির্বাচনকে সামনে রেখে গেলো বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় সিএনএনের স্টুডিওতে ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
বিতর্কে পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, সীমান্ত ইস্যু, সামাজিক নিরাপত্তা, চাইল্ড কেয়ার, কংগ্রেস ভবনে হামলার ঘটনা এবং গর্ভপাতসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই বিতর্কে বাইডেনের পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত দুর্বল। অনেকেই বলছেন, ৮০ বছরের বেশি বয়সী বাইডেনের এবার আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত নয়। কারণ, তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না। বিতর্কের সময় প্রতিপক্ষের কথার জবাবও দিতে পারছেন না।
নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই বাইডেনের বয়স এবং কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।
এমন অবস্থায় বুধবার প্রচারণা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটিক আইন প্রণেতা ও গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাইডেন। এর মাধ্যমে তিনি মূলত গেলো সপ্তাহের বিতর্কে নড়বড়ে পারফরম্যান্সের পরে তাকে নির্বাচনী লড়াই বাদ দেয়ার আহ্বানগুলো ঝেড়ে ফেলেন।
তবে ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেকেই মনে করছেন, দলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জো বাইডেনের আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত হবে না।
টিআর/