পরিবেশ ও জীববৈচিত্র
ঢাকার বায়ু আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
রাজধানী ঢাকায় বায়ু দূষণ কমছেই না। আজ (শুক্রবার) সকালের ঢাকায় ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু নিয়ে বায়ু দূষণে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে এর অবস্থান দ্বিতীয়।
আজ সকাল ১০টার দিকে আইকিউএয়ারের বাতাসের মান সূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ২২৩। বাতাসের এই মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গেলো প্রায় এক মাসের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর, অর্থাই প্রায় এক মাসের মধ্যে আজই ঢাকার বাতাসের মান সবচেয়ে খারাপ।
আজ দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে কলকাতা। ভারতীয় শহরটির স্কোর ৩০৩, যা বিপজ্জনক বলে বিবেচনা করা হয়।
দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র
বিশ্ব পরিবেশ দিবস আজ
আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা।’
১৯৭২ সালে জাতিসংঘের মানবিক পরিবেশ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) উদ্যোগে প্রতি বছর ৫ জুন ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
দেশজুড়ে কমছে বনভূমি ও সবুজ
একটি দেশের পরিবেশ-প্রকৃতি ঠিক রাখতে অন্তত ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা দরকার হলেও বাংলাদেশে মোট আয়তনের ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ এলাকায় বনভূমি রয়েছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট পরিচালিত প্ল্যাটফর্ম গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচের তথ্য অনুযায়ী, ২০০১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা কমেছে প্রায় ৬ লাখ ৭ হাজার ৬২০ একর। এই সময়ে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ আগের তুলনায় ১৩ শতাংশ কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে ২০১৭ সালে প্রায় ৭০ হাজার একর।
এছাড়াও গত ২৮ বছরে রাজধানী ঢাকার সবুজ এলাকা কমে মাত্র ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যদিও নগর পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি আদর্শ শহরে ২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা থাকার কথা বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)।
বছর বছর বাড়ছে দাবদাহ
গত মার্চ-এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহে কষ্ট পেয়েছে মানুষ। বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্য থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে শ্রমজীবীরা। এবার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে ১ এপ্রিল থেকে। এটি শেষ হয় ২৬ এপ্রিল। অর্থাৎ টানা ২৬ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ১৯৪৮ সাল থেকে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এপ্রিলে যতদিন তাপপ্রবাহ ছিল তা গত ৭৬ বছরেও হয়নি। সর্বশেষ গত বছর ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। কিন্তু এবার গত ২০ এপ্রিল যশোরে ৪২.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃদ্ধি পাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সময়ে ২৪টি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়েছে। ভূ-পৃষ্ঠের সঙ্গে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা সমানভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একইভাবে বঙ্গোপসাগরে তাপমাত্রা বাড়ছে। ফলে ঘূর্ণিঝড় তীব্র হচ্ছে।
সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় রিমাল উপকূলে স্পর্শ করা থেকে শুরু করে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পরও প্রায় ৫০ ঘণ্টা বাংলাদেশে ছিল। এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাস বয়ে গেছে। তবে এর দীর্ঘ সময় থাকা নিয়ে অবাক হওয়ার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা বলছেন, বছর বছর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এর পাশাপাশি ভূমির তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে ঘূর্ণিঝড় তীব্র হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালে উপকূলীয় এলাকার ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩৫ হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও রিমালের প্রভাবে ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর প্রভাবে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ১৩৪টি হরিণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে বুধবার বাংলাদেশে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন নানান কর্মসূচির উদ্যেগ নিয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৪ জুন) এক সংবাদ সন্মেলনে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, পরিবেশ দিবস উপলক্ষে শেরেবাংলা নগরের পরিবেশ মেলা চলবে ৫ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত এবং বৃক্ষমেলা চলবে ৫ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
মন্ত্রী বলেন, অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড কনজারভেশন ২০২৩ ও ২০২৪, বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০২২ ও ২০২৩ এবং সামাজিক বনায়নে উপকারভোগীদের মধ্যে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হবে। দেশের সব জেলা ও উপজেলায় এবং ঢাকা মহানগরীর ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হবে।
টিআর/
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র
‘জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে’
জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় ক্রমবর্ধমান ব্যয়বৃদ্ধি মেটাতে একটি সমন্বিত সর্বজনীন অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। বললেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং কপ২৮ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান ড. হাছান মাহমুদ।
আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে কপ২৮ সম্মেলনের সাইডলাইনে ‘রাইজিং উইথ দ্য টাইড : ট্র্যাকিং রিফর্মস ইন ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার ফর এক্সিলারেটেড ডেভেলপমেন্ট-পজিটিভ ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম এবং ২০টি ভালনারেবল দেশের জোট- সিভিএফ-ভি ২০ এর বর্তমান চেয়ারম্যান ঘানার রাষ্ট্রপতি নানা আকুফো আডোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন ফোরামের পরবর্তী চেয়ারম্যান বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে, ফোরামের থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ এবং প্রথম মহাসচিব মোহাম্মদ নাশিদ। ঘানার রাষ্ট্রপতি এই ফোরামে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বের দুই মেয়াদে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সিভিএফ-ভি ২০ ফোরমে দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জলবায়ুঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো সহনীয়তা ও সক্ষমতায় সমৃদ্ধ হয়েছে। সেই সময়ে বৈশ্বিক জয়েন্ট মাল্টি ডোনার ফান্ড গঠন এবং দেশে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ প্রণীত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’র অধীনেই প্রতি বছর দেশের প্রয়োজন ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। একইসাথে মন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, বাংলাদেশ উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ নয়, বরং এর অসহায় শিকার। তবুও বঙ্গবন্ধুকন্যার পরিকল্পনামাফিক ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ ৪০ শতাংশ সবুজ শক্তি ব্যবহারের দিকে এগিয়ে চলেছে।
পরে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ কপ ২৮ প্রেসিডেন্সি গোলটেবিল বৈঠকে ‘অ্যাক্সিলারেটিং ওয়াটার অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন’ বৈঠকেও অংশ নেন।
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র
ওজন বাড়লেই পুরুষ থেকে নারীতে পরিণত হয় কোরাল মাছ
হাজারো বৈচিত্র্যে ভরপুর আমাদের প্রাণিজগৎ। বৈচিত্র্যের শেষ নেই এই জগতে। প্রাণীদের জীবনযাপন আরও বেশি চমকপ্রদ।প্রতিনিয়ত আবিষ্কার হচ্ছে এই প্রাণিজগতের নানা অজানা তথ্য।বৈজ্ঞানিক গবেষণার নিত্যনতুন ফলাফল রীতিমতো চমকে দেয় আমাদের। জনপ্রিয় ও সুস্বাদু কোরাল মাছের একটি বৈশিষ্ট্যও সম্প্রতি মৎস্যবিজ্ঞানীদের কৌতূহলী করে তুলেছে।
গবেষণায় জানা গেছে, কোরাল মাছ জন্মায় উভলিঙ্গ পরিচয় নিয়ে। এরপর পুরুষ হিসেবে বাড়ে।আর বয়সকালে পরিণত হয় নারীতে। তবে এই রূপান্তরের প্রক্রিয়াটি বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো অজানা রয়ে গেছে।
গবেষণায় জানা গেছে, স্তন্যপায়ী প্রাণীরা জন্মের সময় যে লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে পৃথিবীতে আসে,সেটাই তার আজীবন লৈঙ্গিক পরিচয় হয়।তবে মাছের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।উষ্ণ পানির অধিকাংশ মাছই জন্মায় পুরুষ হয়ে। লিঙ্গ নির্ধারণে তাপমাত্রাও ভূমিকা রাখে।
যুক্তরাজ্যের স্যালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞানী ও গবেষক অধ্যাপক স্টিফানো মারিয়ানির মতে,লিঙ্গ পরিবর্তনে মাছের পারদর্শিতা প্রাণিজগতে সবাইকে ছাপিয়ে যায়। গবেষণায় তিনি দেখেছেন, মাছেরা নিজেদের অ্যান্ড্রোজেন হরমোনকে দ্রুতই অ্যাসট্রোজেনিক হরমোনে রূপান্তর করতে পারে। এর ফলে তারা নিজেদের লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারে।
কোরাল মাছ নিয়ে গবেষণা করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কক্সবাজারের সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তিকেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল হক। ২০১৮ সালে পরিচালিত গবেষণায় তিনি দেখতে পান কোরাল মাছ প্রথমে উভলিঙ্গ হয়ে জন্মায়। এরপর পুরুষ হয়। আর চার কেজির বেশি ওজন হলে অধিকাংশ কোরাল স্ত্রীতে রূপান্তরিত হয়।
একই কথা বলেছেন,কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান।বায়ান্ন টিভিকে তিনি বলেন,কোরাল মাছ জন্ম নেয় পুরুষ হিসেবে। ওজন যখন চার কেজির বেশি হয়, তখন পুরুষ কোরাল আপনা-আপনি স্ত্রী জাতে রূপান্তর ঘটে।
কিন্তু কোরাল পুরুষ হয়ে জন্মায় কেন এবং পুরুষ থেকে স্ত্রী জাতে রূপান্তর কেন ঘটে, এ নিয়ে বিশদ গবেষণা হয়নি বলেও জানান্ তিনি।