Connect with us

চট্টগ্রাম

স্বপ্নের দুয়ার খোলার অপেক্ষায় কক্সবাজার

Avatar of author

Published

on

কক্সবাজার রেল স্টেশন

এক এক করে দেশবাসীর স্বপ্ন যেন আজ সত্যি হতে চলছে। অনেক অপেক্ষা। অবশেষে সেই অপেক্ষার পালা শেষ করে দুয়ার খুলছে আরেক স্বপ্নের। দেশের সবচেয়ে দক্ষিণের সাগরপারের কক্সবাজারে এবার ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি রেল যাবে।

কক্সবাজারের রেলস্টেশন ও লাইনের উদ্বোধন ছাড়াও প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকার ২০টি প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অপেক্ষায়।

আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) কক্সবাজারে এসে এসব প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এখানকার পর্যটনশিল্প ও অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। সৃষ্টি হবে বহু মানুষের কর্মসংস্থান। পাল্টে যাবে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান। এছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের ভোগান্তি ও যাতায়াত খরচ অনেকটা কমে যাবে।

সকালে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা চান্দেরপাড়া এলাকায় নির্মিত আইকনিক রেল স্টেশনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সুধীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সেরে বিকেলে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি। এ সময় রেললাইন প্রকল্প ছাড়াও ২০টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি।

Advertisement

নবনির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন ও নান্দনিক আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধনের পর নতুন এই সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথ ধরে ট্রেন ঢাকা থেকে সরাসরি চট্টগ্রামের দোহাজারী ও রামু হয়ে কক্সবাজার যাওয়া যাবে।

কক্সবাজারের লিংক রোড়ের বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, রেল চালু হলে আমাদের জন্য বহুমাত্রিক সুযোগ সৃষ্টি হবে৷ তা হচ্ছে, ঢাকা চট্টগ্রাম যেতে আমাদের বাসে যে টাকা খরচ হতো সেটি অনেকটা কমে যাবে। রেল দিয়ে বাসের চেয়ে কম খরচে ঢাকা, চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে বলে আমি শুনেছি। এছাড়াও রেল স্টেশন ঘিরে স্থানীয় অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

ব্যবসায়ী মোনাফ মিলাত বলেন, কক্সবাজারের সবজি, মাছ ও অন্যান্য পণ্য সহজেই কম খরচে বহন করা গেলে এখানকার ব্যবসায় অনেক পরিবর্তন আসবে। ট্রেন দিয়ে মালামাল পরিবহন খুবই সুবিধা।

ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটক শফিক আহমেদ বলেন, আশা করছি আগামীবার থেকে ট্রেনে কক্সবাজার আসতে পারব। ট্রেনের সুবিধা, এখানে টাকা খরচ কম হয়, যাতায়াতে নিরাপদ, দ্রুতগতির, আরামদায়ক ও ঝামেলামুক্ত। সুতরাং আমি মনে করি, ট্রেন চালু হলে কক্সবাজারে আগের চেয়ে বেশি পর্যটক আসবেন। পাশাপাশি কক্সবাজারের অর্থনৈতিক অবস্থারও পরিবর্তন হবে।

রেললাইন ও স্টেশন ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী আরও কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে রেললাইন প্রকল্পে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা, মাতারবাড়ী সমুদ্র বন্দর চ্যানেলে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা এবং অন্যান্য উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫৩ হাজার কোটি টাকা। একই দিন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে প্রায় ৬৮ কোটি টাকার অন্য চারটি প্রকল্পের। সবমিলিয়ে ৮৮ হাজার কোটি টাকার ২০টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন সরকারপ্রধান।

Advertisement

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রেললাইন ছাড়া প্রধানমন্ত্রী যে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করবেন তাতে রয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নির্মিত মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সংযুক্তি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাটে ৫৯৫ মিটার পিসি বক্স গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, কক্সবাজার সদরের খাল লাইনিং অ্যাপ্রোচ রোড ও ব্রিজ। এছাড়া আছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের চারটি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চারটি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প ও জেলা প্রশাসনের দুটি ছাদখোলা বাস।

সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর অন্যতম মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটি জাপানের আর্থিক সহায়তায় ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১২০০ মেগা ওয়াটের এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয় গত ২৯ জুলাই দুপুরে। তখন ছয় মেগাওয়াটের পরীক্ষামূলক উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর এটি ১২ মেগাওয়াট উৎপাদন শুরু করে অক্টোবরের শুরুতে।

মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনওয়ার হোসেন মজুমদার জানান, উৎপাদিত এ বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

মহেশখালী উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নের মাঝামাঝি এক হাজার ৬০৮ একর জমির ওপর স্থাপিত হচ্ছে দুটি ইউনিটে বিভক্ত এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিএল) বাস্তবায়ন করছে প্রকল্পটি।

Advertisement
Advertisement

চট্টগ্রাম

কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী

Published

on

কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।

বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।

 

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা

Published

on

সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।

নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম  বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।

আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে  ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত

Published

on

চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।

এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it