আওয়ামী লীগ
আ: লীগ ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে : মোরশেদ আলম এমপি
আওয়ামী লীগের আমলে কেউ না খেয়ে মরবে না। কারণ, আওয়ামী লীগ ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু দেশটাকে গড়েছেন, কিন্তু উন্নয়ন দিতে পারেনি। ঘাতকরা তাকে হত্যা করেছে। যে কারণে আওয়ামী লীগ একুশ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল। বলেছেন নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মোরশেদ আলম (এমপি)।
রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কাদরা ইউনিয়ন পরিষদ-সংলগ্ন নজরপুর টংকু আবদুল রহমান মেমোরিয়াল একাডেমি মাঠে আয়োজিত মতবিনিময় ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কাদরা ইউনিয়ন পরিষদ এ আলোচনাসভার আয়োজন করে। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় প্রায় দুই হাজার উপকারভোগী এ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
মোরশেদ আলম বলেন, নৌকা মানে উন্নয়ন। নৌকা মার্কায় ভোট দিলে আপনাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে, আপনারা উপকৃত হবেন। প্রধানমন্ত্রী ২০ রকমের ভাতা দিয়ে থাকে। এ ভাতা শেখ হাসিনার আগে কেউ আপনাদের দেয়নি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় ছিল। ২১ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে ছিল। এ ২১ বছরে যারা ক্ষমতায় আসছে, তারা দেশটাকে একেবারে জাহান্নামে নিয়ে গেছে। কারণ, তারা তো দেশ সৃষ্টি করেনি। ভাতাভোগীদের নৌকায় ভোট দেওয়ার শপথ করিয়ে মোরশেদ আলম বলেন, আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, আপনারা আর ভুল করবেন না।
তিনি আরও বলেন, সত্যিকার বাবাকে স্বীকার করতে হবে। দেশটা সৃষ্টি করেছে বঙ্গবন্ধু, বাবা না থাকলে সন্তানের জন্ম হয় না। দেশের পরিচয় দিতে হলে জাতির পিতার পরিচয় দিতে হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্থানীয় কাদরা ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক, সেনবাগ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. গোলাম কবির, সেনবাগ উপজেলা সমাবসেবা অফিসার বোরহান উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা সামছুদ্দিন রিয়াদ প্রমুখ।
এএম/
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/