অপরাধ
চতুর্থ দফার অবরোধে ১৪ যানবাহনে আগুন: ফায়ার সার্ভিস
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি বিরোধী দলের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাত্রীবাহী বাসসহ ১৪টি যানবাহনে আগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গেলো রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ১৪টি যানবাহনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসব আগুনের সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ছুটে যান এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এসব ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
রোববার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া বিভাগ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
মিডিয়া বিভাগ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫টি আগুনের ঘটনার মধ্যে ঢাকা সিটিতে আটটি, ঢাকা বিভাগে (নারায়ণগঞ্জ, সাভার, ফরিদপুর) তিনটি, বরিশাল বিভাগ (বরিশাল সদর) একটি, রাজশাহী বিভাগে (নাটোর) একটি, রংপুর বিভাগে (দিনাজপুর) একটি ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ১১টি বাস, একটি নছিমন, একটি ট্রাক, একটি নছিমন পুড়ে যায়।
এছাড়া ৪ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে লাগানো আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৪১টি ইউনিট এবং ৭৭৬ জন জনবল কাজ করে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে ডাকা মহাসমাবেশ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর থেকে এক দিন হরতাল পালনের পর সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। ইতোমধ্যে চার দফা অবরোধ কর্মসূচি শেষে আগামী বুধবার ভোর থেকে পঞ্চম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। তাদের সঙ্গে মিল রেখে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা বিরোধী দলগুলোও একই কর্মসূচি পালন করছে।
এদিকে অবরোধ কর্মসূচির শুরু থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে আগুন দেওয়াসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে আসছে দুর্বৃত্তরা। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে নাশকতা রুখতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। হাতেনাতে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিএনপির নেতাকর্মী বলে দাবি করছে পুলিশ।
এএম/
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ